চলছে আষাঢ় মাস, ভরা বর্ষার মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিলেও উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ভিন্ন চিত্র। পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে ফসলি মাঠ। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার আমন ধানের চাষিরা।
উত্তরের খাদ্য উদ্বৃত্তের এ জেলায় বিগত বছরগুলোতে ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়লেও এবার তা হয়নি।
চাষিরা জানান, প্রায় ২০ দিন ধরে এই জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হলেও জমিতে পানি জমেনি। ফলে শুকনো মাঠে আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয় থাকায় এখনো সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ শূন্য মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আষাঢ়ের এ সময়ে যে জমিগুলোতে পানি থৈ থৈ করত, সেগুলো এখন শুকনো আর ফেটে চৌচির। অনেক কৃষক এখনো জমিতে হালচাষ শুরু করতে পারেননি। কিছু এলাকায় দহলা বা নিচু জমিতে সেচের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হচ্ছে।
বোদা উপজেলার বোসপাড়া গ্রামের কৃষক তছির উদ্দিন বলেন, “গত বছর ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন চারা রোপণ করেছিলাম, এবারে জমিতে পানি না থাকায় এখনো হালচাষ করতে পারিনি। সময় মতো চারা রোপণ না হলে ফলন কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
একই উপজেলার বালাভীড় গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, “অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। বীজতলায় চারা প্রস্তুত হলেও রোপণ করতে পারছি না।”
একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আষাঢ় শেষের দিকে। কিন্তু এ মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা, তা হয়নি। আকাশে মেঘ জমলেও ভারি বৃষ্টি হয় না। এই সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে রোপণ করতে হবে, এতে খরচ বেড়ে যাবে।”
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন ধান।
তিনি বলেন, “আমন চাষের যথেষ্ট সময় রয়েছে, আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি নামলে পুরোদমে আমন চাষ শুরু হবে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
চলছে আষাঢ় মাস, ভরা বর্ষার মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিলেও উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ভিন্ন চিত্র। পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে ফসলি মাঠ। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার আমন ধানের চাষিরা।
উত্তরের খাদ্য উদ্বৃত্তের এ জেলায় বিগত বছরগুলোতে ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়লেও এবার তা হয়নি।
চাষিরা জানান, প্রায় ২০ দিন ধরে এই জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হলেও জমিতে পানি জমেনি। ফলে শুকনো মাঠে আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয় থাকায় এখনো সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ শূন্য মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আষাঢ়ের এ সময়ে যে জমিগুলোতে পানি থৈ থৈ করত, সেগুলো এখন শুকনো আর ফেটে চৌচির। অনেক কৃষক এখনো জমিতে হালচাষ শুরু করতে পারেননি। কিছু এলাকায় দহলা বা নিচু জমিতে সেচের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হচ্ছে।
বোদা উপজেলার বোসপাড়া গ্রামের কৃষক তছির উদ্দিন বলেন, “গত বছর ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন চারা রোপণ করেছিলাম, এবারে জমিতে পানি না থাকায় এখনো হালচাষ করতে পারিনি। সময় মতো চারা রোপণ না হলে ফলন কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
একই উপজেলার বালাভীড় গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, “অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। বীজতলায় চারা প্রস্তুত হলেও রোপণ করতে পারছি না।”
একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আষাঢ় শেষের দিকে। কিন্তু এ মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা, তা হয়নি। আকাশে মেঘ জমলেও ভারি বৃষ্টি হয় না। এই সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে রোপণ করতে হবে, এতে খরচ বেড়ে যাবে।”
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন ধান।
তিনি বলেন, “আমন চাষের যথেষ্ট সময় রয়েছে, আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি নামলে পুরোদমে আমন চাষ শুরু হবে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”