মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) : সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা। প্রায় দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার মূল ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা ও নেত্রকোণার বারহাট্টা, আটপাড়া, হাওর জনপদ খালিয়াজুড়ি উপজেলা অনেক অংশের মানুষ এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ২০২৩ সালে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অবকাঠামোগত হিসেবে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এখনো ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
কিন্তু এ ক্ষেত্রেও জনবল সংকটে ভুগছে হাওরপাড়ের চিকিৎসা সেবাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৬৮ জনবলের মধ্যে ৬৩ পদ শূন্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। জুনিয়র কনসালটেন্ট ১০টি পদে কর্মরত রয়েছেন ২জন, আরএমও পদটি খালি, মেডিকেল অফিসার ১৬টি পদের বিপরীতে ১০টিই শূন্য মিডওয়াইফ ৬ জনে ২টি, সহকারী নার্স পদটি শূন্য, ইপিআই টেকনিশিয়ান পদ, পরিসংখ্যানবিদ, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, সহস্বাস্থ্য পরিদর্শক ২টির মধ্যে ২টিই শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, ড্রাইভার, হার্বাল অ্যাসিস্টেণ্ট, বাবুর্চি ৩টি পদই শূন্য।
অফিস সহকারী ৩টিতে ২টি, অফিস সহায়ক ৫টিতে ৩টি, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৬টিতে ২টি, স্বাস্থ্য সহকারী ৩০টিতে ১০টি, ফার্মাসিস্ট ৪টিতে ২টি, স্যাকমো ৯টিতে ৩টি, কম্পিউটার অপারেটর ৩টিতে ২টি সহ কার্ডিওগ্রাফার পদটি শূন্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও বিভাগওয়ারী জনবলের অভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরতদের। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য কার্যক্রম। প্রতিদিন বহির্বিভাগে টিকিট কিনে গড়ে ৩০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। এ ছাড়াও অন্তঃবিভাগ, জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ অনেক। প্রয়োজন মাফিক লোকবল না থাকাতে চিকিৎসা সেবা দিতে সংশ্লিষ্টদের খুব বেগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমিনুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
হাওর জনপদ মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল পোস্টিং দিয়ে চিকিৎসা সেবা সুগম করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) : সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা। প্রায় দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার মূল ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা ও নেত্রকোণার বারহাট্টা, আটপাড়া, হাওর জনপদ খালিয়াজুড়ি উপজেলা অনেক অংশের মানুষ এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ২০২৩ সালে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে অবকাঠামোগত হিসেবে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এখনো ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
কিন্তু এ ক্ষেত্রেও জনবল সংকটে ভুগছে হাওরপাড়ের চিকিৎসা সেবাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৬৮ জনবলের মধ্যে ৬৩ পদ শূন্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। জুনিয়র কনসালটেন্ট ১০টি পদে কর্মরত রয়েছেন ২জন, আরএমও পদটি খালি, মেডিকেল অফিসার ১৬টি পদের বিপরীতে ১০টিই শূন্য মিডওয়াইফ ৬ জনে ২টি, সহকারী নার্স পদটি শূন্য, ইপিআই টেকনিশিয়ান পদ, পরিসংখ্যানবিদ, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, সহস্বাস্থ্য পরিদর্শক ২টির মধ্যে ২টিই শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, ড্রাইভার, হার্বাল অ্যাসিস্টেণ্ট, বাবুর্চি ৩টি পদই শূন্য।
অফিস সহকারী ৩টিতে ২টি, অফিস সহায়ক ৫টিতে ৩টি, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৬টিতে ২টি, স্বাস্থ্য সহকারী ৩০টিতে ১০টি, ফার্মাসিস্ট ৪টিতে ২টি, স্যাকমো ৯টিতে ৩টি, কম্পিউটার অপারেটর ৩টিতে ২টি সহ কার্ডিওগ্রাফার পদটি শূন্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও বিভাগওয়ারী জনবলের অভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরতদের। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য কার্যক্রম। প্রতিদিন বহির্বিভাগে টিকিট কিনে গড়ে ৩০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। এ ছাড়াও অন্তঃবিভাগ, জরুরি বিভাগেও রোগীর চাপ অনেক। প্রয়োজন মাফিক লোকবল না থাকাতে চিকিৎসা সেবা দিতে সংশ্লিষ্টদের খুব বেগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমিনুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
হাওর জনপদ মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল পোস্টিং দিয়ে চিকিৎসা সেবা সুগম করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।