দুমকি (পটুয়াখালী) : বৃষ্টির পানি ছাদ চুইয়ে ওয়ার্ডগুলোর ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে -সংবাদ
পটুয়াখালীর দুমকিতে ভবন সংকটে ব্যাবহার অনুপযোগী ড্যামযুক্ত পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। অর্থছাড়ের জটিলতা আর ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে নূতন ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ২বছর যাবৎ বন্ধ থাকায় সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদানে এ উপজেলার হাসপাতালটি যেন নতুন এক ভোগান্তিতে পরিনত হয়েছে।
বৃষ্টির পানি ছাদ চুঁইয়ে ওয়ার্ডগুলোর ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। ড্যামধরা দেয়াল ও ছাদের নীচে ফ্লোরে পানি জমায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগী ভর্তি করা হলে সুস্থ হওয়ার পরিবর্ত আরও অসুস্থ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। স্বচ্ছল পরিবারের মুমূর্ষ রুগীদের স্বজনরা ওয়ার্ডের পরিস্থিতি দেখে কেউ ভর্তি হতে না চাইলেও হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের অসুস্থ রোগী সরকারি চিকিৎসা সুবিধা পেতে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এর মধ্যেই চলছে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম।
রোববার(১৩-৭-২০২৫) সরেজমিন ঘুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটির এমন করুণ চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, নির্মাণাধীন উপজেলা হাসপাতালের নতুন আধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ দু‘বছর যাবৎ ফেলে রাখায় পুরাতন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। নূতন ভবন নির্মিত হলে এ সমস্যা কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, ২০২২সালে টেন্ডারকৃত হাসপাতাল ভবনের কার্যাদেশ পেয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন বরিশালের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোদ্দার কনস্ট্রাকশন। বর্তমান ভবনের পেছনের দিকে অত্যাধুনিক ডিজাইনের হাসপাতাল ভবনের পাইলের কাজ সম্পন্ন করার পরেই নির্মাণ কাজ ফেলে রাখা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক উজ্জল পোদ্দারের দাবি অর্থছাড় বন্ধ থাকায় নির্মাণ কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। অর্থ ছাড় হলেই পুন:রায় নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তবে অপর একটি সূত্রমতে ২০১৮ সালের রেডকোডের টেন্ডারের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বর্তমান বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় সমুহ লোকসান আশঙ্কায় ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছে। এভাবে টানা ২/৩বছর যাবৎ নির্মাণ কাজ ঝুলে থাকায় ভবন সংকটের মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্যহয়ে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ভবনটির নীচতলায় আউট ডোর ও দোতলায় ইনডোরের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড দু‘টির দেয়াল ও ফ্লোরে পানি চুঁইয়ে স্যাত স্যাতে হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে বেশীরভাগ বেড বেডিং নষ্ট হয়ে গেছে। এর মধ্যেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম।
ইনডোরে ভর্তি হওয়া রুগীর স্বজন জলিশা গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া বেগম বলেন, দরজা, জানালা ভাংগা, রাতে ঝড়-বৃষ্টির পানি ঢুকে বেড বেডিং সব কিছুই ভিজে গেছে। এর মধ্যে কোন সুস্থ মানুষই থাকতে পারে না। সেখানে রুগী রাখা খুবই কস্টসাধ্য ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও উপজেলা প. প. কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, অর্থছাড় হওয়ার ইতিবাচক খবর পেয়েছি। অর্থছাড় হলেই ঠিকাদার খুব শীঘ্রই নূতন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করবেন বলে আশাবাদি। নূতন ভবন নির্মিত হলে আর কোন সমস্য থাকবে না। তা ছাড়া পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ আজকেই শুরু হয়েছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে আপাতত: হাসপাতালের সকল সমস্যার সমাধান হবে।
দুমকি (পটুয়াখালী) : বৃষ্টির পানি ছাদ চুইয়ে ওয়ার্ডগুলোর ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে -সংবাদ
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে ভবন সংকটে ব্যাবহার অনুপযোগী ড্যামযুক্ত পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। অর্থছাড়ের জটিলতা আর ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে নূতন ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ২বছর যাবৎ বন্ধ থাকায় সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদানে এ উপজেলার হাসপাতালটি যেন নতুন এক ভোগান্তিতে পরিনত হয়েছে।
বৃষ্টির পানি ছাদ চুঁইয়ে ওয়ার্ডগুলোর ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। ড্যামধরা দেয়াল ও ছাদের নীচে ফ্লোরে পানি জমায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগী ভর্তি করা হলে সুস্থ হওয়ার পরিবর্ত আরও অসুস্থ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। স্বচ্ছল পরিবারের মুমূর্ষ রুগীদের স্বজনরা ওয়ার্ডের পরিস্থিতি দেখে কেউ ভর্তি হতে না চাইলেও হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের অসুস্থ রোগী সরকারি চিকিৎসা সুবিধা পেতে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এর মধ্যেই চলছে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম।
রোববার(১৩-৭-২০২৫) সরেজমিন ঘুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটির এমন করুণ চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, নির্মাণাধীন উপজেলা হাসপাতালের নতুন আধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ দু‘বছর যাবৎ ফেলে রাখায় পুরাতন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। নূতন ভবন নির্মিত হলে এ সমস্যা কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, ২০২২সালে টেন্ডারকৃত হাসপাতাল ভবনের কার্যাদেশ পেয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন বরিশালের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোদ্দার কনস্ট্রাকশন। বর্তমান ভবনের পেছনের দিকে অত্যাধুনিক ডিজাইনের হাসপাতাল ভবনের পাইলের কাজ সম্পন্ন করার পরেই নির্মাণ কাজ ফেলে রাখা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক উজ্জল পোদ্দারের দাবি অর্থছাড় বন্ধ থাকায় নির্মাণ কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। অর্থ ছাড় হলেই পুন:রায় নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তবে অপর একটি সূত্রমতে ২০১৮ সালের রেডকোডের টেন্ডারের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বর্তমান বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় সমুহ লোকসান আশঙ্কায় ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছে। এভাবে টানা ২/৩বছর যাবৎ নির্মাণ কাজ ঝুলে থাকায় ভবন সংকটের মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্যহয়ে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ভবনটির নীচতলায় আউট ডোর ও দোতলায় ইনডোরের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড দু‘টির দেয়াল ও ফ্লোরে পানি চুঁইয়ে স্যাত স্যাতে হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে বেশীরভাগ বেড বেডিং নষ্ট হয়ে গেছে। এর মধ্যেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম।
ইনডোরে ভর্তি হওয়া রুগীর স্বজন জলিশা গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া বেগম বলেন, দরজা, জানালা ভাংগা, রাতে ঝড়-বৃষ্টির পানি ঢুকে বেড বেডিং সব কিছুই ভিজে গেছে। এর মধ্যে কোন সুস্থ মানুষই থাকতে পারে না। সেখানে রুগী রাখা খুবই কস্টসাধ্য ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও উপজেলা প. প. কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, অর্থছাড় হওয়ার ইতিবাচক খবর পেয়েছি। অর্থছাড় হলেই ঠিকাদার খুব শীঘ্রই নূতন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করবেন বলে আশাবাদি। নূতন ভবন নির্মিত হলে আর কোন সমস্য থাকবে না। তা ছাড়া পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ আজকেই শুরু হয়েছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে আপাতত: হাসপাতালের সকল সমস্যার সমাধান হবে।