পীরগঞ্জে আদিবাসীদের বিবাদমান ৫১ শতক জমি স্থানীয় প্রভাবশালী আবু সাঈদ মিয়া জোরপূর্বক দখল করায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। উপজেলার আদিবাসী পল্লী কাঙ্গুরপাড়া (বিরামপুর) আদিবাসী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কাঙ্গুরপাড়া (বিরামপুর) গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের রেন্টা মর্মু তার ভোগদখলীয় ৫ শতাংশ জমি প্রতিবেশি আদিবাসী নেতা আমিন হাসদার কাছে বিক্রির জন্য বায়নাপত্র করে দেন। জমিটির মৌজা- কাঙ্গুরপাড়া, জেএল- ২৬৬, আরএস দাগ নং- ১৩৬২, খতিয়ান নং-৪০১, জমির পরিমান-৫১ শতক। বায়নাপত্র হওয়ার পর আমিন হাসদা জমিটিতে পানি সেচের পাইপ বোরিং করে প্রায় ১৫ বছর ধরে ভোগদখল করা অবস্থায় রেন্টা মর্মু মারা গেলে আর দলিল করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ওই জমির মালিকানা নিয়েও আদিবাসীদের মাঝে অসন্তোষ চলছে। উল্লেখিত খতিয়ানভুক্ত জমিটি ক্রয় সুত্রে মালিকানা দাবী করে কাঙ্গুরপাড়া নয়াপাড়ার আবু সাঈদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ২ জুলাই ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করেন। এ ঘটনায় যে কোন মুহুর্তে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
আবু সাঈদ বলেন, জমিটির মালিক রেন্টা মর্মুর মেয়ে কলোনী মর্মু। বলেন, আমি কলোনীকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু কোন দলিল নেই। তবে জেলা প্রশাসকের কাছে জমি বিক্রির পারমিশনের আবেদন করা আছে। আমিন হাসদা জানান, আমি ওই জমির ৫ শতক ক্রয়ের বায়নাপত্র করেছি। সেই জমিতে আবু সাঈদ হালচাষ করে দখল করায় ৫ জনকে বিবাদী করে অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়াও জমিটিতে আমার অংশ থাকায় আদালতে ল্যান্ড সার্ভে মামলাও করেছি। জমিটির মালিকানা দাবী করে আদিবাসী কন্যা ইনু মাই মর্মু জানান, জমিটি আবু সাঈদ জোর করে চাষ করে। তাকে আমরা এই জমিতে নামতে দিবো না। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মশিউর রহমান বলেন, আবু সাঈদ যে জমিটি চাষ করেছে, সেটির কোন দলিল-দস্তাবেজ তিনি দেখাতে পারেননি। অভিযোগকারী আমিন হাসদা বিবাদমান ওই জমির ৫ শতাংশ ক্রয়ের বায়নাপত্র রয়েছে। সেই জমিও আবু সাঈদ চাষ করায় তা উদ্ধারের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছি।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
পীরগঞ্জে আদিবাসীদের বিবাদমান ৫১ শতক জমি স্থানীয় প্রভাবশালী আবু সাঈদ মিয়া জোরপূর্বক দখল করায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। উপজেলার আদিবাসী পল্লী কাঙ্গুরপাড়া (বিরামপুর) আদিবাসী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কাঙ্গুরপাড়া (বিরামপুর) গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের রেন্টা মর্মু তার ভোগদখলীয় ৫ শতাংশ জমি প্রতিবেশি আদিবাসী নেতা আমিন হাসদার কাছে বিক্রির জন্য বায়নাপত্র করে দেন। জমিটির মৌজা- কাঙ্গুরপাড়া, জেএল- ২৬৬, আরএস দাগ নং- ১৩৬২, খতিয়ান নং-৪০১, জমির পরিমান-৫১ শতক। বায়নাপত্র হওয়ার পর আমিন হাসদা জমিটিতে পানি সেচের পাইপ বোরিং করে প্রায় ১৫ বছর ধরে ভোগদখল করা অবস্থায় রেন্টা মর্মু মারা গেলে আর দলিল করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ওই জমির মালিকানা নিয়েও আদিবাসীদের মাঝে অসন্তোষ চলছে। উল্লেখিত খতিয়ানভুক্ত জমিটি ক্রয় সুত্রে মালিকানা দাবী করে কাঙ্গুরপাড়া নয়াপাড়ার আবু সাঈদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ২ জুলাই ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করেন। এ ঘটনায় যে কোন মুহুর্তে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
আবু সাঈদ বলেন, জমিটির মালিক রেন্টা মর্মুর মেয়ে কলোনী মর্মু। বলেন, আমি কলোনীকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু কোন দলিল নেই। তবে জেলা প্রশাসকের কাছে জমি বিক্রির পারমিশনের আবেদন করা আছে। আমিন হাসদা জানান, আমি ওই জমির ৫ শতক ক্রয়ের বায়নাপত্র করেছি। সেই জমিতে আবু সাঈদ হালচাষ করে দখল করায় ৫ জনকে বিবাদী করে অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়াও জমিটিতে আমার অংশ থাকায় আদালতে ল্যান্ড সার্ভে মামলাও করেছি। জমিটির মালিকানা দাবী করে আদিবাসী কন্যা ইনু মাই মর্মু জানান, জমিটি আবু সাঈদ জোর করে চাষ করে। তাকে আমরা এই জমিতে নামতে দিবো না। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মশিউর রহমান বলেন, আবু সাঈদ যে জমিটি চাষ করেছে, সেটির কোন দলিল-দস্তাবেজ তিনি দেখাতে পারেননি। অভিযোগকারী আমিন হাসদা বিবাদমান ওই জমির ৫ শতাংশ ক্রয়ের বায়নাপত্র রয়েছে। সেই জমিও আবু সাঈদ চাষ করায় তা উদ্ধারের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছি।