পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় প্রতিদিন নামিদামী কোম্পানি ‘র পরিবহনের ১৫ টি সহ অসংখ্য গাড়ী চলাচল করলেও বর্তমানে মহম্মদপুর টু ঢাকার সাথে সংযোগ ২ কিলোমিটার সড়কের করুণ দশার কারণে চরম জনদুর্ভোগেরস্বীকার হচ্ছেন সাধারণ জনগন। বিশেষ করে মহম্মদপুর বাজার সংলগ্ন ‘’মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে রুইজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে যে, যে কোন যানবাহন স্বাভাবিক চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পাকা অংশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত। বর্ষাকালে এসব গর্তে পানি জমে তা রীতিমতো পুকুরে রূপ নেয়। ফলে অদৃশ্য গর্তে প্রতিনিয়ত আটকে পড়ছে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়, আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি চালুর অল্প সময় পর থেকেই ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। প্রতিদিন শত শত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বড় বড় খানাখন্দ। এমনকি ছোট যানবাহনও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রায় নিয়মিত।
এই রুট দিয়ে গোল্ডেন লাইনের,বি আর সিটির ও সাদ পরিবহণের ঢাকাগামী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল করে অসংখ্য। ফলে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যেমন পণ্য পরিবহনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজনে বা অসুস্থ্য রোগী নিয়ে দ্রুত যাতায়াত করাও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয়রা জানান, এখন বর্ষাকালে সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
‘আমরা চরম দুর্ভোগে আছি। কখন গাড়ি গর্তে আটকে পড়ে জানি না, রিকশা-ভ্যান তো চলছেই না। এতে করে বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রভাব পড়ছে।’
এমতাবস্থায় মহম্মদপুরবাসী এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দ্রুত সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তাদের দাবি দীর্ঘসূত্রতা না করে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বাড়বে, তেমনি ঢাকা-মহম্মদপুর সড়কের প্রাণচাঞ্চল্যও হারিয়ে ফেলবে তার গতি।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় প্রতিদিন নামিদামী কোম্পানি ‘র পরিবহনের ১৫ টি সহ অসংখ্য গাড়ী চলাচল করলেও বর্তমানে মহম্মদপুর টু ঢাকার সাথে সংযোগ ২ কিলোমিটার সড়কের করুণ দশার কারণে চরম জনদুর্ভোগেরস্বীকার হচ্ছেন সাধারণ জনগন। বিশেষ করে মহম্মদপুর বাজার সংলগ্ন ‘’মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে রুইজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে যে, যে কোন যানবাহন স্বাভাবিক চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পাকা অংশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত। বর্ষাকালে এসব গর্তে পানি জমে তা রীতিমতো পুকুরে রূপ নেয়। ফলে অদৃশ্য গর্তে প্রতিনিয়ত আটকে পড়ছে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়, আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি চালুর অল্প সময় পর থেকেই ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। প্রতিদিন শত শত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বড় বড় খানাখন্দ। এমনকি ছোট যানবাহনও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রায় নিয়মিত।
এই রুট দিয়ে গোল্ডেন লাইনের,বি আর সিটির ও সাদ পরিবহণের ঢাকাগামী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক চলাচল করে অসংখ্য। ফলে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যেমন পণ্য পরিবহনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজনে বা অসুস্থ্য রোগী নিয়ে দ্রুত যাতায়াত করাও হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয়রা জানান, এখন বর্ষাকালে সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
‘আমরা চরম দুর্ভোগে আছি। কখন গাড়ি গর্তে আটকে পড়ে জানি না, রিকশা-ভ্যান তো চলছেই না। এতে করে বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রভাব পড়ছে।’
এমতাবস্থায় মহম্মদপুরবাসী এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দ্রুত সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তাদের দাবি দীর্ঘসূত্রতা না করে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বাড়বে, তেমনি ঢাকা-মহম্মদপুর সড়কের প্রাণচাঞ্চল্যও হারিয়ে ফেলবে তার গতি।