দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকার খোট্টারডাঙা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে প্রচণ্ড শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আবাসিক এলাকায় পাথর ভাঙার মেশিন বসিয়ে নিয়মিতভাবে শব্দ ও বায়ু দূষণ সৃষ্টি করছে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চক্র। স্থানীয়রা অভিযোগ করেও পাচ্ছেন না কোনো কার্যকর প্রতিকার।
শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে পাথর ভাঙার যন্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এ নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন জোরপূর্বক চলছে পাথর ভাঙার কাজ।
ফলে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে কণাকণায় ভরা ধুলাবালি এবং কানে ধ্বংসাত্মক শব্দ, যা মারাত্মক প্রভাব ফেলছে জনস্বাস্থ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেশিনের প্রচণ্ড শব্দে শিশুরা ঘুমাতে পারছে না, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না, এমনকি পাশের মসজিদে ইবাদতেও বিঘ্ন ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এলাকার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর আলম ও আল আমিন নিয়মিতভাবে এই পাথর ভাঙার মেশিন চালাচ্ছেন। তারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে পুরো এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলছেন।
এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬-এর ১৮ নম্বর বিধি অনুযায়ী শব্দ দূষণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ধরনের দূষণের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ভুক্তভোগীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্রতিকার চাইতে পারেন।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকার খোট্টারডাঙা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে প্রচণ্ড শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আবাসিক এলাকায় পাথর ভাঙার মেশিন বসিয়ে নিয়মিতভাবে শব্দ ও বায়ু দূষণ সৃষ্টি করছে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চক্র। স্থানীয়রা অভিযোগ করেও পাচ্ছেন না কোনো কার্যকর প্রতিকার।
শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে পাথর ভাঙার যন্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এ নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন জোরপূর্বক চলছে পাথর ভাঙার কাজ।
ফলে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে কণাকণায় ভরা ধুলাবালি এবং কানে ধ্বংসাত্মক শব্দ, যা মারাত্মক প্রভাব ফেলছে জনস্বাস্থ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেশিনের প্রচণ্ড শব্দে শিশুরা ঘুমাতে পারছে না, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না, এমনকি পাশের মসজিদে ইবাদতেও বিঘ্ন ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এলাকার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর আলম ও আল আমিন নিয়মিতভাবে এই পাথর ভাঙার মেশিন চালাচ্ছেন। তারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে পুরো এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলছেন।
এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬-এর ১৮ নম্বর বিধি অনুযায়ী শব্দ দূষণ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ধরনের দূষণের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ভুক্তভোগীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্রতিকার চাইতে পারেন।