সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একইসঙ্গে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় রোববার তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন।
অভিযুক্ত স্বামী হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারকে (৪০) সোমবার দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার চরিপাড়া গ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার কান্দলা গ্রামের বাসিন্দা।
দগ্ধ গৃহবধূ সাবানা বেগম (২২) কান্দলা গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে। তার সঙ্গে এক বছর আগে আক্তারের বিয়ে হয় এবং এটি তাদের প্রথম সন্তান ছিল।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর বিছানায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন আক্তার। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় সাবানাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সাবানা বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হলেও পরিবার তাকে সিলেটেই রাখতে চায়। রোববার তিনি মৃত কন্যাসন্তান প্রসব করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাবানাকে দেখতে তিনি রাতেই হাসপাতালে যান। শিশুটির জন্মের পর থানা-পুলিশকে জানানো হয় এবং নবজাতককে দাফন করা হয়।
সাবানার বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, “বিয়ের পর মেয়েটা বেশিরভাগ সময় আমার বাড়িতেই ছিল। ঘটনার রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। সে সুযোগে আক্তার এসে মেয়ের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এখন মেয়েটা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।”
ওসি আউয়াল জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটক স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একইসঙ্গে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় রোববার তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন।
অভিযুক্ত স্বামী হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারকে (৪০) সোমবার দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার চরিপাড়া গ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার কান্দলা গ্রামের বাসিন্দা।
দগ্ধ গৃহবধূ সাবানা বেগম (২২) কান্দলা গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে। তার সঙ্গে এক বছর আগে আক্তারের বিয়ে হয় এবং এটি তাদের প্রথম সন্তান ছিল।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর বিছানায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন আক্তার। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় সাবানাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সাবানা বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হলেও পরিবার তাকে সিলেটেই রাখতে চায়। রোববার তিনি মৃত কন্যাসন্তান প্রসব করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাবানাকে দেখতে তিনি রাতেই হাসপাতালে যান। শিশুটির জন্মের পর থানা-পুলিশকে জানানো হয় এবং নবজাতককে দাফন করা হয়।
সাবানার বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, “বিয়ের পর মেয়েটা বেশিরভাগ সময় আমার বাড়িতেই ছিল। ঘটনার রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। সে সুযোগে আক্তার এসে মেয়ের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এখন মেয়েটা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।”
ওসি আউয়াল জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটক স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।