সিরাজগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কামারখন্দ উপজেলায় হাজেরা খাতুন (৭) নামের এক শিশুর মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সৎমায়ের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কুঠিরচর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার(১৪-৭-২০২৫) সকালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।

নিহত হাজেরা খাতুন কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা হারুন অর রশীদ।

শিশুটির স্বজনরা জানান, গতকাল রবিবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে হাজেরা সৎমায়ের কাছে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যার দিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের ভেতরে একটি বালতির মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় ঘরে তালা ঝুলছিল, সৎমা ছিলেন না।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি বালতির মধ্যে পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাটিপে বা বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

অপর ঘটনায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শান্ত (২০) নামের এক সেলুনকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শান্ত উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান। পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, রাতে শান্ত তার নিজ ঘরে শুয়ে ছিল।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে দরজা ভেঙে দেখতে পান শান্তর লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা কেও নিশ্চিত করতে পারেননি। খবর পেয়ে তাড়াশ থানার উপপরিদর্শক মো. শিমুল প্রামাণিক ঘটনা স্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় আইনুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।