ঝিকরগাছা (যশোর) : ওজনের কম দেয়ায় বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -সংবাদ
যশোরের ঝিকরগাছায় ভিজি ডি’র চাল বস্তায় ওজনে কম থাকার অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী সরকার। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক উপকারভোগী নারীকে ৩০ কেজির বস্তায় ছয় মাসের জন্য ছয় বস্তা চাল দেওয়া হচ্ছিলো । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, চালের বস্তাগুলোর প্রতিটিতে ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ কেজি পর্যন্ত কম রয়েছে। কোন বস্তায় ২৫ কেজি, কোনো বস্তায় ২৬ বা ২৭ কেজি করে চাল পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে চাল বিতরণের সময় উপকারভোগীরা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সরাসরি অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। পরে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নিজে এসে তাৎক্ষণিকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়। উপকারভোগী রেখা খাতুন বলেন, আমাদের জন্য সরকার ৩০ কেজি করে চাল দেয়। কিন্তু এখানে ২৫-২৬ কেজি করে দিচ্ছে। গরিবের চাল এটা। এতেও যদি কম দেয় তাহলে এই চাল দিয়ে কীভাবে সংসার চলবে?
নাজমা খাতুন বলেন, প্রত্যেকবারই চাল কম দেয়, এবার সহ্য করতে পারিনি। গরিবের হক এভাবে কেটে নেওয়া চলবে না। লাভলী খাতুন জানান, এখানে কেউ চোর, কেউ গাফিলতিকারী মিলে চাল চুরি হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি, যাতে ভবিষ্যতে আর এমন না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালী সরকার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চালের বস্তাগুলো পরিদর্শন করি। বাস্তবেই ওজনে চাল কম পাওয়া যাওয়ার সত্যতা পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাদ্য কর্মকর্তাকে সব বস্তাগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তীতে সঠিক ভাবে ৩০ কেজির বস্তুা আমরা বুঝে নিয়ে, উপকারভোগীর চাল বিতরণ করব।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শংকরপুর ইউনিয়নে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম চলে আসছে। একটি অসাধু ঠিকাদারি সিন্ডিকেট এবং কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণেই বারবার এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা।
ঝিকরগাছা (যশোর) : ওজনের কম দেয়ায় বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -সংবাদ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
যশোরের ঝিকরগাছায় ভিজি ডি’র চাল বস্তায় ওজনে কম থাকার অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী সরকার। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক উপকারভোগী নারীকে ৩০ কেজির বস্তায় ছয় মাসের জন্য ছয় বস্তা চাল দেওয়া হচ্ছিলো । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, চালের বস্তাগুলোর প্রতিটিতে ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ কেজি পর্যন্ত কম রয়েছে। কোন বস্তায় ২৫ কেজি, কোনো বস্তায় ২৬ বা ২৭ কেজি করে চাল পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে চাল বিতরণের সময় উপকারভোগীরা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সরাসরি অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। পরে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নিজে এসে তাৎক্ষণিকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়। উপকারভোগী রেখা খাতুন বলেন, আমাদের জন্য সরকার ৩০ কেজি করে চাল দেয়। কিন্তু এখানে ২৫-২৬ কেজি করে দিচ্ছে। গরিবের চাল এটা। এতেও যদি কম দেয় তাহলে এই চাল দিয়ে কীভাবে সংসার চলবে?
নাজমা খাতুন বলেন, প্রত্যেকবারই চাল কম দেয়, এবার সহ্য করতে পারিনি। গরিবের হক এভাবে কেটে নেওয়া চলবে না। লাভলী খাতুন জানান, এখানে কেউ চোর, কেউ গাফিলতিকারী মিলে চাল চুরি হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি, যাতে ভবিষ্যতে আর এমন না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালী সরকার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চালের বস্তাগুলো পরিদর্শন করি। বাস্তবেই ওজনে চাল কম পাওয়া যাওয়ার সত্যতা পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাদ্য কর্মকর্তাকে সব বস্তাগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তীতে সঠিক ভাবে ৩০ কেজির বস্তুা আমরা বুঝে নিয়ে, উপকারভোগীর চাল বিতরণ করব।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শংকরপুর ইউনিয়নে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম চলে আসছে। একটি অসাধু ঠিকাদারি সিন্ডিকেট এবং কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণেই বারবার এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা।