তাহিরপুরে ভিজিডির চাল আত্মসাৎ
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য দেয়া সুবিধাভোগী সরকারি ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে আবু মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় সুবিধাভোগী দুই নারীকে মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের। আবু মিয়া বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য। গত ৮ ও ৯ই জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দুই নারী রেহেনা বেগম ও কমলা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য দেয়া সুবিধাভোগী সরকারি ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির কার্ডের বরাদ্দকৃত সরকারি চাল বিভিন্ন সুবিধাভোগী নারীর নামে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু মিয়া আত্মসাৎ করে আসছেন। ওইসব অসহায় নারীরা প্রথম চাল উত্তোলন করার পর তাদের কার্ড রেখে দেয় ইউপি সদস্য আবু মিয়। পরবর্তীতে তাদের কার্ড পাচ্ছি না মর্মে বেশ কয়েকবার চাল উত্তোলন করে নেয় ইউপি সদস্য আবু মিয়। ভুক্তভোগী রেহেনা বেগমের অভিযোগে লিখা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভিডব্লিউবি তার নামে বরাদ্দ পাওয়া কার্ড (নং-০৪৮)। তিনি ওই কার্ড ব্যবহার করে দুইবার অর্থাৎ (মার্চ ও এপ্রিল) মাসের চাল উত্তোলন করার পর তার কার্ডটি আবু মিয়া রেখে দেয়। পরবর্তীতে কার্ড না পেলে জানতে পারেন ইউপি সদস্য আবু মিয়ার কাছে ভুক্তভোগী রেহেনার তার কার্ডটি রয়েছে। কার্ড হাতে পাওয়ার পর তিনি দেখতে পান তার নামে ওই কার্ডে দুই মাসের চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে- যা তিনি নিজে গ্রহণ করেননি বা পাননি। পরে বিষয়টি আবু মেম্বারকে জানালে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। শুধু রেহেনাই নয় আবু মেম্বার এমন প্রতারণা শিকার হয়েছে ভুক্তভোগী আরও কয়েক নারীর সঙ্গে করেছেন।
আবু মেম্বারের এমন প্রতারণা শিকার কমলা বেগম বলেন, চাল উত্তোলনের পার আমার কার্ডটিও আবু মেম্বারের রেখে দিয়েছিল। ফেরত পাওয়ার পর দেখি এই কার্ডে আরও কয়েকবার অতিরিক্ত চাল তোলা হয়েছে- যা আমি নিজেও জানিনা বা পাইনি। এই চাল কোথায় গেছে! কে নিয়েছে জানতে চাইলে আবু মেম্বার আমাকে হুমকি ধামকি ও অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে। এবং এ কথা বললে সে আমার কার্ড বাতিল করে দিওয়াও হুমকি দেয়। দক্ষিণ বড়দল ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, ভুক্তভোগী দুই নারী জানিয়েছেন তাদের কার্ডের বরাদ্দকৃত চাল আবু মেম্বার তুলে নিয়েগেছে। এবং এ বিষয়ে অপর ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া ও সামুয়ূন মিয়া আবু মেম্বারকে বলেছি চাল ফেরত দিতে এবং তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করতে। কিন্তু সে তা করেনি।
এ বিষয়ে আবু মেম্বার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাদের চাল তারাই টিপসই দিয়ে তুলেছে। এখন ওই দুই নারী আমার নামে মিথ্যা বলছে। দুই নারীর ভিজিডি কার্ড তার কাছে ছিল বলে শিকার করে বলেন, তারা চাওয়ার পর তাদের ফেরত দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, এ বিষয়ে দুই ভুক্তভোগী নারী লিখত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের জন্য সমাজসেবা মহিলাবিষয়ক সম্পাদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সত্যতা পাওয়া গেলে ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাহিরপুরে ভিজিডির চাল আত্মসাৎ
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য দেয়া সুবিধাভোগী সরকারি ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে আবু মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় সুবিধাভোগী দুই নারীকে মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের। আবু মিয়া বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য। গত ৮ ও ৯ই জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দুই নারী রেহেনা বেগম ও কমলা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে দরিদ্র ও অসহায় মহিলাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্য দেয়া সুবিধাভোগী সরকারি ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির কার্ডের বরাদ্দকৃত সরকারি চাল বিভিন্ন সুবিধাভোগী নারীর নামে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু মিয়া আত্মসাৎ করে আসছেন। ওইসব অসহায় নারীরা প্রথম চাল উত্তোলন করার পর তাদের কার্ড রেখে দেয় ইউপি সদস্য আবু মিয়। পরবর্তীতে তাদের কার্ড পাচ্ছি না মর্মে বেশ কয়েকবার চাল উত্তোলন করে নেয় ইউপি সদস্য আবু মিয়। ভুক্তভোগী রেহেনা বেগমের অভিযোগে লিখা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভিডব্লিউবি তার নামে বরাদ্দ পাওয়া কার্ড (নং-০৪৮)। তিনি ওই কার্ড ব্যবহার করে দুইবার অর্থাৎ (মার্চ ও এপ্রিল) মাসের চাল উত্তোলন করার পর তার কার্ডটি আবু মিয়া রেখে দেয়। পরবর্তীতে কার্ড না পেলে জানতে পারেন ইউপি সদস্য আবু মিয়ার কাছে ভুক্তভোগী রেহেনার তার কার্ডটি রয়েছে। কার্ড হাতে পাওয়ার পর তিনি দেখতে পান তার নামে ওই কার্ডে দুই মাসের চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে- যা তিনি নিজে গ্রহণ করেননি বা পাননি। পরে বিষয়টি আবু মেম্বারকে জানালে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। শুধু রেহেনাই নয় আবু মেম্বার এমন প্রতারণা শিকার হয়েছে ভুক্তভোগী আরও কয়েক নারীর সঙ্গে করেছেন।
আবু মেম্বারের এমন প্রতারণা শিকার কমলা বেগম বলেন, চাল উত্তোলনের পার আমার কার্ডটিও আবু মেম্বারের রেখে দিয়েছিল। ফেরত পাওয়ার পর দেখি এই কার্ডে আরও কয়েকবার অতিরিক্ত চাল তোলা হয়েছে- যা আমি নিজেও জানিনা বা পাইনি। এই চাল কোথায় গেছে! কে নিয়েছে জানতে চাইলে আবু মেম্বার আমাকে হুমকি ধামকি ও অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে। এবং এ কথা বললে সে আমার কার্ড বাতিল করে দিওয়াও হুমকি দেয়। দক্ষিণ বড়দল ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, ভুক্তভোগী দুই নারী জানিয়েছেন তাদের কার্ডের বরাদ্দকৃত চাল আবু মেম্বার তুলে নিয়েগেছে। এবং এ বিষয়ে অপর ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া ও সামুয়ূন মিয়া আবু মেম্বারকে বলেছি চাল ফেরত দিতে এবং তাদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করতে। কিন্তু সে তা করেনি।
এ বিষয়ে আবু মেম্বার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাদের চাল তারাই টিপসই দিয়ে তুলেছে। এখন ওই দুই নারী আমার নামে মিথ্যা বলছে। দুই নারীর ভিজিডি কার্ড তার কাছে ছিল বলে শিকার করে বলেন, তারা চাওয়ার পর তাদের ফেরত দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, এ বিষয়ে দুই ভুক্তভোগী নারী লিখত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের জন্য সমাজসেবা মহিলাবিষয়ক সম্পাদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সত্যতা পাওয়া গেলে ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।