মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট : নদীর প্রবল স্রোতে বারইখালী ফেরীঘাট সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা -সংবাদ
উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর তীরবর্তী বারইখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৫০০ পরিবারের আড়াই হাজার মানুষ জোয়ার-ভাটার দুঃখ নিয়ে দিন পার করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদীভাঙনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তাদের প্রধান দাবি—বারইখালী পুরাতন থানা থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ও গাইডওয়াল নির্মাণ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, পৌর শহরের নদীতীরবর্তী বারইখালী ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বছরের একটি বড় সময়ই ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে থাকেন। জোয়ার এলেই দিনে ও রাতে দু’বার করে পানিতে তলিয়ে যায় অধিকাংশ বাড়িঘর।
রান্নাবান্না, চলাচল এমনকি রোগী পরিবহনেও বিপাকে পড়তে হয়। পূর্ণিমা বা অমাবস্যার সময় অতিরিক্ত জোয়ারে তৈরি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় বাসিন্দা এখলাস মুন্সী, বেদার মুন্সী, সোহান খান, শেফালী বেগম, কামাল হাওলাদার, মিরাজ মোল্লা ও এনাম ফকির বলেন, “প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোতে নতুন নতুন জায়গায় ভাঙন শুরু হয়। বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পুরাতন থানা থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সিসি রাস্তাটি প্রায় ছয় বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল। তারপর আর সংস্কার হয়নি।”
তারা আরও বলেন, “ছেলে-মেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বৃদ্ধ ও নারীরা বাইরে বের হতে ভয় পান। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে হিমশিম খেতে হয়। একদিকে হাঁটু পানি, অন্যদিকে রাস্তা নেই। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?”
ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস মুন্সী ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু বলেন, “সরকার একাধিকবার বরাদ্দ দিলেও রাস্তাটি টেকসইভাবে নির্মিত হয়নি। গাইডওয়ালসহ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ পুনঃনির্মাণ দাবি করছি।”
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াজিহুর রহমান বলেন, “পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তা পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বারইখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তা বিষয়ে স্থানীয়দের লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট : নদীর প্রবল স্রোতে বারইখালী ফেরীঘাট সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা -সংবাদ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর তীরবর্তী বারইখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৫০০ পরিবারের আড়াই হাজার মানুষ জোয়ার-ভাটার দুঃখ নিয়ে দিন পার করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদীভাঙনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তাদের প্রধান দাবি—বারইখালী পুরাতন থানা থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ও গাইডওয়াল নির্মাণ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, পৌর শহরের নদীতীরবর্তী বারইখালী ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বছরের একটি বড় সময়ই ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়ে থাকেন। জোয়ার এলেই দিনে ও রাতে দু’বার করে পানিতে তলিয়ে যায় অধিকাংশ বাড়িঘর।
রান্নাবান্না, চলাচল এমনকি রোগী পরিবহনেও বিপাকে পড়তে হয়। পূর্ণিমা বা অমাবস্যার সময় অতিরিক্ত জোয়ারে তৈরি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় বাসিন্দা এখলাস মুন্সী, বেদার মুন্সী, সোহান খান, শেফালী বেগম, কামাল হাওলাদার, মিরাজ মোল্লা ও এনাম ফকির বলেন, “প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোতে নতুন নতুন জায়গায় ভাঙন শুরু হয়। বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পুরাতন থানা থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সিসি রাস্তাটি প্রায় ছয় বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল। তারপর আর সংস্কার হয়নি।”
তারা আরও বলেন, “ছেলে-মেয়েরা কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বৃদ্ধ ও নারীরা বাইরে বের হতে ভয় পান। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে হিমশিম খেতে হয়। একদিকে হাঁটু পানি, অন্যদিকে রাস্তা নেই। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?”
ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস মুন্সী ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান নান্নু বলেন, “সরকার একাধিকবার বরাদ্দ দিলেও রাস্তাটি টেকসইভাবে নির্মিত হয়নি। গাইডওয়ালসহ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ পুনঃনির্মাণ দাবি করছি।”
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াজিহুর রহমান বলেন, “পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তা পুনঃনির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বারইখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তা বিষয়ে স্থানীয়দের লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”