বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ উপকূল অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে পুনরায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
টানা দ্বিতীয় সপ্তাহেও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কৃষি অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অতিবৃষ্টির ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল অঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলিক বিভাগের তথ্যমতে, এ অঞ্চলের ২৩টি গেজ স্টেশনের মধ্যে ২২টিতে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঘণ্টায় ৪৫৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কায় বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় আনা হয়েছে।
জুন মাসে বরিশালে স্বাভাবিক ৪৬৫ মিলিমিটারের পরিবর্তে ৫২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১২.৩% বেশি। অথচ একই সময়ে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় ১৯.৩% কম ছিল। চলতি জুলাই মাসে বরিশালে স্বাভাবিক ৪৩৫ মিলিমিটারের তুলনায় ৪৯০ থেকে ৫৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এর মধ্যে মাসের প্রথম ১৫ দিনেই বরিশালে প্রায় ৪৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় এবং দুপুর ৩টা পর্যন্ত আরও ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।
বরিশালের পশ্চিমাংশজুড়ে বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আষাঢ় মাসের শেষে শ্রাবণের এ অঝোর ধারার সঙ্গে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির প্রভাব কৃষিতে গভীর দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। বরিশাল কৃষি অঞ্চলের প্রধান দানাদার ফসল আমন ও উঠতি আউশ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বরিশালের মাঠে থাকা ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির আমন বীজতলা, উঠতি আউশ, পাট ও পান বরজসহ প্রায় ৪০ হাজার হেক্টরের ফসল প্লাবিত হয়। তবে তখন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকায় দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় ছিল। এবার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
চলতি খরিপ-২ মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় ২৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিছু এলাকায় আমন রোপণও শুরু হয়েছে। আগষ্টের মধ্যভাগ পর্যন্ত আমন রোপণ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে চলতি মৌসুমে বরিশালের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া আউশ ধান এখন ঘরে তোলার সময় হলেও, গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে এর প্রায় অর্ধেক নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে কিছু ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর নতুন করে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপ থেকেও বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে আগামী সপ্তাহজুড়েও কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ উপকূল অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে পুনরায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
টানা দ্বিতীয় সপ্তাহেও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কৃষি অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অতিবৃষ্টির ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল অঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলিক বিভাগের তথ্যমতে, এ অঞ্চলের ২৩টি গেজ স্টেশনের মধ্যে ২২টিতে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঘণ্টায় ৪৫৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কায় বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় আনা হয়েছে।
জুন মাসে বরিশালে স্বাভাবিক ৪৬৫ মিলিমিটারের পরিবর্তে ৫২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১২.৩% বেশি। অথচ একই সময়ে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় ১৯.৩% কম ছিল। চলতি জুলাই মাসে বরিশালে স্বাভাবিক ৪৩৫ মিলিমিটারের তুলনায় ৪৯০ থেকে ৫৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এর মধ্যে মাসের প্রথম ১৫ দিনেই বরিশালে প্রায় ৪৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় এবং দুপুর ৩টা পর্যন্ত আরও ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।
বরিশালের পশ্চিমাংশজুড়ে বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আষাঢ় মাসের শেষে শ্রাবণের এ অঝোর ধারার সঙ্গে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির প্রভাব কৃষিতে গভীর দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। বরিশাল কৃষি অঞ্চলের প্রধান দানাদার ফসল আমন ও উঠতি আউশ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বরিশালের মাঠে থাকা ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির আমন বীজতলা, উঠতি আউশ, পাট ও পান বরজসহ প্রায় ৪০ হাজার হেক্টরের ফসল প্লাবিত হয়। তবে তখন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকায় দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় ছিল। এবার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
চলতি খরিপ-২ মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় ২৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিছু এলাকায় আমন রোপণও শুরু হয়েছে। আগষ্টের মধ্যভাগ পর্যন্ত আমন রোপণ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে চলতি মৌসুমে বরিশালের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া আউশ ধান এখন ঘরে তোলার সময় হলেও, গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে এর প্রায় অর্ধেক নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে কিছু ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর নতুন করে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপ থেকেও বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে আগামী সপ্তাহজুড়েও কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।