ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম শাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা দিয়ে সোমবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়। বিক্ষুব্ধরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে যান। সেখানে তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে দুই ঘণ্টা অবস্থান নেন। এ সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিক্ষুদ্ধরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এর আগে থেকেই হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। পরে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা হাসপাতালের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। তারা ছাত্রদের থামানোর চেষ্টা করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম শাখাওয়াত হোসেন রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের বিষয়টিতে এড়িয়ে যান। তিনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারি নির্দেশনা তুলে ধরে সেবা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ছাত্রদের অফিস কক্ষে এসে কথা বলার আহ্বান জানালে ছাত্ররা অসম্মতি জ্ঞাপন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। আমাকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের হুমকি দেন। আমরা গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চাই এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগ চাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তফা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা পাওয়ার অধিকার সবার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসপাতালে সামান্য কোন রোগ নিয়ে এলে ঢাকায় পাঠানো হয়। রোগীদের জন্য সুঁই, সিরিঞ্জ, স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি করেন না। নার্স কিংবা বিছানা পেতে হলে টাকা দিতে হয়। আমরা অনতিবিলম্বে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ চাই।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইয়াহিয়া, মো. আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব ইসরাত জাহান রুমি প্রমুখ।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম শাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা দিয়ে সোমবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়। বিক্ষুব্ধরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে যান। সেখানে তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে দুই ঘণ্টা অবস্থান নেন। এ সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিক্ষুদ্ধরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এর আগে থেকেই হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। পরে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা হাসপাতালের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। তারা ছাত্রদের থামানোর চেষ্টা করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম শাখাওয়াত হোসেন রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের বিষয়টিতে এড়িয়ে যান। তিনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারি নির্দেশনা তুলে ধরে সেবা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ছাত্রদের অফিস কক্ষে এসে কথা বলার আহ্বান জানালে ছাত্ররা অসম্মতি জ্ঞাপন করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। আমাকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের হুমকি দেন। আমরা গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চাই এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগ চাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তফা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা পাওয়ার অধিকার সবার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসপাতালে সামান্য কোন রোগ নিয়ে এলে ঢাকায় পাঠানো হয়। রোগীদের জন্য সুঁই, সিরিঞ্জ, স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি করেন না। নার্স কিংবা বিছানা পেতে হলে টাকা দিতে হয়। আমরা অনতিবিলম্বে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ চাই।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- নবাবগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইয়াহিয়া, মো. আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব ইসরাত জাহান রুমি প্রমুখ।