বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আলোচনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে আমরা আজকে শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলেছি, বিশেষ করে রপ্তানিকারক বড় শিল্পপতি যারা জড়িত আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, বিজনেস লিডার যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতামত শুনেছি, তারা (শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা) সবাই মনে করছেন এই নেগোসিয়েশনটাকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এই আলোচনায় শিল্প, গার্মেন্টস, এমপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতসহ অনেক বিষয় জড়িত।’ দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি।
আমীর খসরু জানান, বিএনপি ব্যবসায়ীদের মতামতসহ বিষয়টি সরকারকে জানাবে এবং সমন্বিতভাবে চেষ্টা করবে যাতে এই আলোচনা থেকে বাংলাদেশের জন্য কিছু অর্জন করা যায়।
গত ৮ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তারা ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে।
পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এবং ভারতও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ সরকারও শুল্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষে দেশে ফিরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, আলোচনা ইতিবাচক এবং আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করে দ্রুত তৃতীয় দফার আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
সরকারের আলোচনার মধ্যেই ব্যবসায়িক নেতারা বিকেলে বনানীর হোটেল সেরিনায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ ও সিমিন রহমান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, লেদার গুডস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নিজাম মনসুর, সিরামিক ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, ইকোনোমিক জোনস ইনভেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ জাব্বার এবং বাংলাদেশে টেরি টাওয়াল অ্যান্ড লেনিন ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরুর সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাসভীরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিনও ছিলেন।
আমীর খসরু উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, ‘টোটাল এক্সপোর্টের একটা বিশাল অংশ আমরা যুক্তরাষ্ট্রে এক্সপোর্ট করি। সেখানে গার্মেন্টসের একটা বিশাল অংশ যায়। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্য যায় তার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৫/১৬ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি নয়, এটার সঙ্গে অনেক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস সেক্টরের সঙ্গে অনেক খাত জড়িত এবং বাংলাদেশের প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপিতে রপ্তানি পণ্যের একটি বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘যদি এই সমস্যার সমাধান সঠিকভাবে না করা যায়, তবে অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আলোচনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে আমরা আজকে শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলেছি, বিশেষ করে রপ্তানিকারক বড় শিল্পপতি যারা জড়িত আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, বিজনেস লিডার যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মতামত শুনেছি, তারা (শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরা) সবাই মনে করছেন এই নেগোসিয়েশনটাকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এই আলোচনায় শিল্প, গার্মেন্টস, এমপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতসহ অনেক বিষয় জড়িত।’ দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি।
আমীর খসরু জানান, বিএনপি ব্যবসায়ীদের মতামতসহ বিষয়টি সরকারকে জানাবে এবং সমন্বিতভাবে চেষ্টা করবে যাতে এই আলোচনা থেকে বাংলাদেশের জন্য কিছু অর্জন করা যায়।
গত ৮ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তারা ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ করবেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে।
পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এবং ভারতও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ সরকারও শুল্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষে দেশে ফিরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, আলোচনা ইতিবাচক এবং আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করে দ্রুত তৃতীয় দফার আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
সরকারের আলোচনার মধ্যেই ব্যবসায়িক নেতারা বিকেলে বনানীর হোটেল সেরিনায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ ও সিমিন রহমান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, লেদার গুডস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নিজাম মনসুর, সিরামিক ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, ইকোনোমিক জোনস ইনভেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ জাব্বার এবং বাংলাদেশে টেরি টাওয়াল অ্যান্ড লেনিন ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরুর সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাসভীরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিনও ছিলেন।
আমীর খসরু উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, ‘টোটাল এক্সপোর্টের একটা বিশাল অংশ আমরা যুক্তরাষ্ট্রে এক্সপোর্ট করি। সেখানে গার্মেন্টসের একটা বিশাল অংশ যায়। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্য যায় তার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৫/১৬ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি নয়, এটার সঙ্গে অনেক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস সেক্টরের সঙ্গে অনেক খাত জড়িত এবং বাংলাদেশের প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপিতে রপ্তানি পণ্যের একটি বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘যদি এই সমস্যার সমাধান সঠিকভাবে না করা যায়, তবে অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’