বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে অর্থকরী ফসল সোনালি আঁশ পাট। এটি একটি প্রাকৃতিক তন্তু যা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। পরিপূর্ণ পাটগাছ কেটে পানিতে জাগ দিয়ে পঁচানো হয়। পরে কাঠি থেকে ছাড়িয়ে পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়। মূলত আষাঢ় শ্রাবণ পাটের মৌসুম। বিভিন্ন হাটবাজারে পাট আসা শুরু হয়েছে। পাটের একটি নামকরা প্রাচীন বাজার নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ। পাটের জন্য বাজারের একটি রোডের নাম পাটপট্টি। নেত্রকোণা সদরেও পাটপট্টি রয়েছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা, আটপাড়া ( বুর্জের বাজার), নাজিরগঞ্জ পাটের বাজারের সুনাম আছে। এ সময়ে মোহনগঞ্জের পাটপট্টিতে জমে উঠেছে পাটের বাজার। প্রতি বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িতে,ভ্যানে,রিকশায় করে গৃহস্থরা পাট নিয়ে আসছেন মোহনগঞ্জের পাটপট্টিতে। এমন এক সময় ছিল যখন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাট বোঝাই নৌকা আসতো মোহনগঞ্জ বাজারে। নৌকার চল আগের মতো নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহনগঞ্জের পাটপট্টিতে পাটের হাট জমজমাট। কেউ কেউ আবার রাস্তার ধারে বসে পাট কিনছেন। দিনশেষে তারা আবার মহাজনের ঘরে বিক্রি করছেন। মহাজনরা আবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট চালান দেন। এক সময় ছিল যখন পাট চাষে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। দামও কমে যায়। বর্তমানে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঐতিহ্যের পাট চাষ। বর্তমানে পাটের দামও ভালো। জনৈক পাট ব্যবসায়ী জানান, পাটের বাজার মূল্য ভালো। প্রতি মণ পাট ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম পেয়ে পাটচাষী খুশি।একজন প্রবীণ পাটচাষী জানান, মোহনগঞ্জের পাটের বাজারের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। জোক করে বলেন,নৌকায় করে পাট নিয়ে শিয়ালজানি খালে, কংশ নদ তীরে নৌকা ভিড়াতাম। পাট বেইচ্যা কচু আর ইলিশ মাছ কিনতাম। পাট আমাদের চিরচেনা ঐতিহ্যের স্মারক। অর্থকরী ফসল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। পরিবেশ বান্ধব পাটের বিভিন্ন সামগ্রী মানুষের কাছে অনেক প্রিয়। মানতেই হবে, বলতেই হবে টিকে থাকুক সোনালি আঁশের সোনালি ঐতিহ্য। ফিরে আসুক সোনালি আঁশের সোনালি অতীত। মৌসুমে জমে উঠুক মোহনগঞ্জের পাটের বাজার পাটপট্টি সহ অন্যান্য অঞ্চলের পাটের বাজারগুলো।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে অর্থকরী ফসল সোনালি আঁশ পাট। এটি একটি প্রাকৃতিক তন্তু যা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। পরিপূর্ণ পাটগাছ কেটে পানিতে জাগ দিয়ে পঁচানো হয়। পরে কাঠি থেকে ছাড়িয়ে পানিতে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়। মূলত আষাঢ় শ্রাবণ পাটের মৌসুম। বিভিন্ন হাটবাজারে পাট আসা শুরু হয়েছে। পাটের একটি নামকরা প্রাচীন বাজার নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ। পাটের জন্য বাজারের একটি রোডের নাম পাটপট্টি। নেত্রকোণা সদরেও পাটপট্টি রয়েছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী বারহাট্টা, আটপাড়া ( বুর্জের বাজার), নাজিরগঞ্জ পাটের বাজারের সুনাম আছে। এ সময়ে মোহনগঞ্জের পাটপট্টিতে জমে উঠেছে পাটের বাজার। প্রতি বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়িতে,ভ্যানে,রিকশায় করে গৃহস্থরা পাট নিয়ে আসছেন মোহনগঞ্জের পাটপট্টিতে। এমন এক সময় ছিল যখন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাট বোঝাই নৌকা আসতো মোহনগঞ্জ বাজারে। নৌকার চল আগের মতো নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহনগঞ্জের পাটপট্টিতে পাটের হাট জমজমাট। কেউ কেউ আবার রাস্তার ধারে বসে পাট কিনছেন। দিনশেষে তারা আবার মহাজনের ঘরে বিক্রি করছেন। মহাজনরা আবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট চালান দেন। এক সময় ছিল যখন পাট চাষে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। দামও কমে যায়। বর্তমানে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঐতিহ্যের পাট চাষ। বর্তমানে পাটের দামও ভালো। জনৈক পাট ব্যবসায়ী জানান, পাটের বাজার মূল্য ভালো। প্রতি মণ পাট ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম পেয়ে পাটচাষী খুশি।একজন প্রবীণ পাটচাষী জানান, মোহনগঞ্জের পাটের বাজারের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। জোক করে বলেন,নৌকায় করে পাট নিয়ে শিয়ালজানি খালে, কংশ নদ তীরে নৌকা ভিড়াতাম। পাট বেইচ্যা কচু আর ইলিশ মাছ কিনতাম। পাট আমাদের চিরচেনা ঐতিহ্যের স্মারক। অর্থকরী ফসল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। পরিবেশ বান্ধব পাটের বিভিন্ন সামগ্রী মানুষের কাছে অনেক প্রিয়। মানতেই হবে, বলতেই হবে টিকে থাকুক সোনালি আঁশের সোনালি ঐতিহ্য। ফিরে আসুক সোনালি আঁশের সোনালি অতীত। মৌসুমে জমে উঠুক মোহনগঞ্জের পাটের বাজার পাটপট্টি সহ অন্যান্য অঞ্চলের পাটের বাজারগুলো।