জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে।
হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাসের বিকট শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কারণে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান পুরো জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয়েছেন, তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছিল। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে ঘটনার শুরু হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশ মঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটে। এনসিপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জয়বাংলা স্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে এসে পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশে হামলা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আবারও হামলা হয়। হামলার মুখে নেতারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন এবং পরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে একজন নেতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সমাবেশস্থলের চেয়ারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং সমাবেশ এলাকায় আগুন দেখা যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন। তারা চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থান নেয়, যেখানে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। তাদের হাতে লাঠি ছিল এবং তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছিলেন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের পিছু হটানোর চেষ্টা করে। পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে।
হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাসের বিকট শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কারণে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান পুরো জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয়েছেন, তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছিল। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে ঘটনার শুরু হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
বেলা দেড়টার দিকে সমাবেশ মঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটে। এনসিপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জয়বাংলা স্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে এসে পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশে হামলা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আবারও হামলা হয়। হামলার মুখে নেতারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন এবং পরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে একজন নেতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সমাবেশস্থলের চেয়ারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং সমাবেশ এলাকায় আগুন দেখা যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন। তারা চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থান নেয়, যেখানে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। তাদের হাতে লাঠি ছিল এবং তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছিলেন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের পিছু হটানোর চেষ্টা করে। পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।