বরুড়া (কুমিল্লা) : উপজেলা পরিষদের মিনি শিশু পার্ক -সংবাদ
বরুড়ায় সদ্য নির্মিত উপজেলা পরিষদের মিনি শিশু পার্কটি শিশুদের নির্ভরযোগ্য একমাত্র বিনোদন স্থান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। প্রতিদিন পড়ন্ত বেলায় কিংবা ছুটির দিনে অভিভাবকদের সাথে ওই পার্কে আসা নানা বয়সের শিশু-কিশোরদের কোলাহল আর দোলনা, বাঘ, ঘোড়া, বাজপাখি আর বিভিন্ন রাইডারে চড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত কোমলমতি শিশুরা।
তাদের বাঁধ ভাঙা এ উচ্ছাসে পুলকিত হচ্ছে অভিভাবকেরা। আর এ কর্মযজ্ঞের পূর্ণতায় অভিভাকদের প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং। বরুড়ায় দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখানে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের দৈহিক আর মননবিকাশের বিনোদনের কোন পার্ক গড়ে উঠেনি।
এমতাবস্থায় বিষয়টিকে সামনে গত ২০১৬ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন নাহার নাজিম উপজেলা পরিষদের চত্বরে স্বল্প পরিসরে গাছ-গাছালির সুশীতল ছায়াতলে দুটি স্লিপার আর দোলনা স্থাপনের মধ্যদিয়ে উপজেলা পরিষদের শিশু-কিশোরদের বিনোদনের পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে এর অভিষেক শুরু করা হয়। পরবর্তীতে যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং সম্প্রতি কোমলমতি শিশু-কিশোরদের শারীরিক আর মানসিক বিকাশের নিমিত্তে তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ওই স্থানটিতে শিশু পার্কটি নির্মাণ করা হয়।
প্রায় চার হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট এই পার্কটি বাঘ, বাজপাখি, তিনটি ঘোড়া, চারটি দোলনা, দুটি স্লিপারসহ রাইডার স্থাপন করা হয়। এছাড়া পার্কটিতে স্থাপন করা হয়েছে ব্যাঙের ছাতা সদৃশ, বৈঠক টেবিল। বর্তমানে দৃষ্টি নন্দন এই শিশু পার্কটি নজর কেড়েছে সব বয়সের সাধারণদের।
ফলে প্রতিদিন পড়ন্ত বেলায় কিংবা ছুটির দিনে শিশুদের খেলাধুলা আর রাইডারে অংশ গ্রহণে পার্কটি কোলাহলে মুখোরিত হয়ে উঠে। এসময় শতশত কিশোরদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এসময় পার্কে আসা শিশুদের মধ্যে প্রাপ্তি সাহা (৭), কামরুন্নাহার (৮), আরমান হক (১০) অনেকে জানায়, এখানে এসে দোলনায় চড়ে বাঘ, ঘোড়া সহ বিভিন্ন রাইডারে উঠতে পেরে আর ছুটা-ছুটি করতে পেরে তাদের খুব ভালো লাগছে। এতে তারা কাছে খুবই খুশি।
অভিভাবক মোসা. রুকসানা খাতুন, মো. শাহজালাল সহ অনেকে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং নিঃসন্দেহ তিনি একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। আমরা বাসা বাড়িতে বসবাস করি। এখানে এসে শিশুরা মন উজার করে খেলা-ধুলা করতে পারছে, ছুটা-ছুটি করতে পারছে। এতে শিশুরা মহা খুশি, আমরাও আনন্দিত। এমন অভিমত প্রকাশ করেন তারা।
এছাড়া তারা আরও জানান শিশুদের এই বিনোদনের পার্কটি আরও কলবরে বৃদ্ধি করে নাগর দোলা সহ আরও নতুন কিছু রাইডার স্থাপনের দাবি জানান তারা।
পৌর শহরের পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক মো. ফারুকুল ইসলাম ভূঁইয়া, তলাগ্রামের বাসিন্দা সাংস্কৃতিক কর্মী মো. সাহেব আলী সহ অনেকে জানায়, উপজেলা পর্যায়ে এই ধরণের শিশু পার্ক স্থাপন অসাধারণ উদ্যোগ। এখানে শিশুদের বিনোদন মাধ্যমে তাদের দৈহিক এবং মানসিক মনোনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মংকে তারা অশেষ ধন্যবাদ জানান তারা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং জানান, আগের পরিত্যক্ত স্থানটিতে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে পার্কটি নতুন ভাবে নির্মাণ করা হয়।
শিশুরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে খেলাধুলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় এ পার্কটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া এটি ভবিষ্যতে সম্প্রসারণের ইচ্ছা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বরুড়া (কুমিল্লা) : উপজেলা পরিষদের মিনি শিশু পার্ক -সংবাদ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
বরুড়ায় সদ্য নির্মিত উপজেলা পরিষদের মিনি শিশু পার্কটি শিশুদের নির্ভরযোগ্য একমাত্র বিনোদন স্থান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। প্রতিদিন পড়ন্ত বেলায় কিংবা ছুটির দিনে অভিভাবকদের সাথে ওই পার্কে আসা নানা বয়সের শিশু-কিশোরদের কোলাহল আর দোলনা, বাঘ, ঘোড়া, বাজপাখি আর বিভিন্ন রাইডারে চড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত কোমলমতি শিশুরা।
তাদের বাঁধ ভাঙা এ উচ্ছাসে পুলকিত হচ্ছে অভিভাবকেরা। আর এ কর্মযজ্ঞের পূর্ণতায় অভিভাকদের প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং। বরুড়ায় দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখানে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের দৈহিক আর মননবিকাশের বিনোদনের কোন পার্ক গড়ে উঠেনি।
এমতাবস্থায় বিষয়টিকে সামনে গত ২০১৬ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন নাহার নাজিম উপজেলা পরিষদের চত্বরে স্বল্প পরিসরে গাছ-গাছালির সুশীতল ছায়াতলে দুটি স্লিপার আর দোলনা স্থাপনের মধ্যদিয়ে উপজেলা পরিষদের শিশু-কিশোরদের বিনোদনের পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে এর অভিষেক শুরু করা হয়। পরবর্তীতে যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং সম্প্রতি কোমলমতি শিশু-কিশোরদের শারীরিক আর মানসিক বিকাশের নিমিত্তে তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ওই স্থানটিতে শিশু পার্কটি নির্মাণ করা হয়।
প্রায় চার হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট এই পার্কটি বাঘ, বাজপাখি, তিনটি ঘোড়া, চারটি দোলনা, দুটি স্লিপারসহ রাইডার স্থাপন করা হয়। এছাড়া পার্কটিতে স্থাপন করা হয়েছে ব্যাঙের ছাতা সদৃশ, বৈঠক টেবিল। বর্তমানে দৃষ্টি নন্দন এই শিশু পার্কটি নজর কেড়েছে সব বয়সের সাধারণদের।
ফলে প্রতিদিন পড়ন্ত বেলায় কিংবা ছুটির দিনে শিশুদের খেলাধুলা আর রাইডারে অংশ গ্রহণে পার্কটি কোলাহলে মুখোরিত হয়ে উঠে। এসময় শতশত কিশোরদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এসময় পার্কে আসা শিশুদের মধ্যে প্রাপ্তি সাহা (৭), কামরুন্নাহার (৮), আরমান হক (১০) অনেকে জানায়, এখানে এসে দোলনায় চড়ে বাঘ, ঘোড়া সহ বিভিন্ন রাইডারে উঠতে পেরে আর ছুটা-ছুটি করতে পেরে তাদের খুব ভালো লাগছে। এতে তারা কাছে খুবই খুশি।
অভিভাবক মোসা. রুকসানা খাতুন, মো. শাহজালাল সহ অনেকে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং নিঃসন্দেহ তিনি একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। আমরা বাসা বাড়িতে বসবাস করি। এখানে এসে শিশুরা মন উজার করে খেলা-ধুলা করতে পারছে, ছুটা-ছুটি করতে পারছে। এতে শিশুরা মহা খুশি, আমরাও আনন্দিত। এমন অভিমত প্রকাশ করেন তারা।
এছাড়া তারা আরও জানান শিশুদের এই বিনোদনের পার্কটি আরও কলবরে বৃদ্ধি করে নাগর দোলা সহ আরও নতুন কিছু রাইডার স্থাপনের দাবি জানান তারা।
পৌর শহরের পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক মো. ফারুকুল ইসলাম ভূঁইয়া, তলাগ্রামের বাসিন্দা সাংস্কৃতিক কর্মী মো. সাহেব আলী সহ অনেকে জানায়, উপজেলা পর্যায়ে এই ধরণের শিশু পার্ক স্থাপন অসাধারণ উদ্যোগ। এখানে শিশুদের বিনোদন মাধ্যমে তাদের দৈহিক এবং মানসিক মনোনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মংকে তারা অশেষ ধন্যবাদ জানান তারা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং জানান, আগের পরিত্যক্ত স্থানটিতে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে পার্কটি নতুন ভাবে নির্মাণ করা হয়।
শিশুরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে খেলাধুলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় এ পার্কটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া এটি ভবিষ্যতে সম্প্রসারণের ইচ্ছা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।