ভালুকায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে শয়ণ কক্ষের বিছানায় জবাই করে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া খুনি নজরুল ইসলামকে গত ১৫ জুলাই মঙ্গলাবার বিকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে গ্রেপ্তার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য ১৪ জুলাই সোমবার সকালে ভালুকা পৌর সভার পনাশাইল রোডে স্থানীয় হাইছুমের ভাড়া বাসা হতে মা ও দুই শিশুর জবাই করা লাশ উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনজন হলেন, নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা (৭) ও ছেলে নীরব (২)। ভালুকা পৌরসভার পনাশাইল রোডের হাইছুম মিয়ার বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন নেত্রকোণা কেন্দুয়ার সেনের বাজার এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম ভালুকার কাঠালীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। অন্যদিকে ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পৌর এলাকায় অটো রিক্সা চালাতেন। ১৪ জুলাই সোমবার সকালে রফিকুল ইসলাম কর্মস্থল থেকে ফিরে বাসার গেইট বন্ধ দেখেতে পান। পরে, দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় গেইটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে বিছানার উপর স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর পাশের কক্ষে বসবাসকারী রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। তার কক্ষ থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা দা ও কাপড় উদ্ধার করে। রফিকুল ইসলাম জানান প্রায় দেড় মাস পূর্বে স্ত্রী ময়না, শিশুকন্যা রাইসা, শিশুপুত্র নিরব ও ছোট ভাই নজরুলকে নিয়ে দুই রুমের বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। তিনি বার বার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছিলেন ছোট ভাইকে নিজের বাসায় রেখে সব কিছু হারালেন। চোখের সামনে স্ত্রী ও দুই সন্তানের নিথর দেহ বিছানায় পরে থাকতে দেখে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে যান।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ময়না বেগম সব সময় খাবার খোটা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
ভালুকায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে শয়ণ কক্ষের বিছানায় জবাই করে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া খুনি নজরুল ইসলামকে গত ১৫ জুলাই মঙ্গলাবার বিকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে গ্রেপ্তার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য ১৪ জুলাই সোমবার সকালে ভালুকা পৌর সভার পনাশাইল রোডে স্থানীয় হাইছুমের ভাড়া বাসা হতে মা ও দুই শিশুর জবাই করা লাশ উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের শিকার তিনজন হলেন, নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা (৭) ও ছেলে নীরব (২)। ভালুকা পৌরসভার পনাশাইল রোডের হাইছুম মিয়ার বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন নেত্রকোণা কেন্দুয়ার সেনের বাজার এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম ভালুকার কাঠালীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। অন্যদিকে ছোট ভাই নজরুল ইসলাম পৌর এলাকায় অটো রিক্সা চালাতেন। ১৪ জুলাই সোমবার সকালে রফিকুল ইসলাম কর্মস্থল থেকে ফিরে বাসার গেইট বন্ধ দেখেতে পান। পরে, দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার সহযোগিতায় গেইটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে বিছানার উপর স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর পাশের কক্ষে বসবাসকারী রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। তার কক্ষ থেকে পুলিশ একটি রক্তমাখা দা ও কাপড় উদ্ধার করে। রফিকুল ইসলাম জানান প্রায় দেড় মাস পূর্বে স্ত্রী ময়না, শিশুকন্যা রাইসা, শিশুপুত্র নিরব ও ছোট ভাই নজরুলকে নিয়ে দুই রুমের বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। তিনি বার বার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছিলেন ছোট ভাইকে নিজের বাসায় রেখে সব কিছু হারালেন। চোখের সামনে স্ত্রী ও দুই সন্তানের নিথর দেহ বিছানায় পরে থাকতে দেখে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে যান।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ময়না বেগম সব সময় খাবার খোটা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।