সিরাজগঞ্জ : সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় -সংবাদ
পরীক্ষা হলেই প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয় সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্লাস শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পরলেই পাওয়া যায় এই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। দির্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি চক্র এই প্রশ্ন ফাঁস করে আসছেন। সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না প্রধান শিক্ষক মো. আফসার আলী। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি জেলা শিক্ষা অফিসারের।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের নারী শিক্ষার একমাত্র সরকারি বিদ্যাপিঠ সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় শতবর্ষী এই বিদ্যালয় থেকে অনেক ভালো ফলাফল পেয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি চক্র প্রতিটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন। এই বিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষক প্রাইভেট ও কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যে কারণে এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে হলে এই শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট ও কোচিং করতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে। আর তাদের কাছে প্রাইভেট কোচিং করলে পরীক্ষার দুই দিন আগে শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যাবে অগ্রীম প্রশ্নপত্র। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ বারবার অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রধান শিক্ষক।
এ বিদ্যালয়টি নিয়ে শুধু প্রশ্ন পত্র ফাঁস নয়, রয়েছে আরও নানা অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ। বিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেল ছাত্রীদের নয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের দখলে। ল্যাব রুম, টিফিন, গাছ বিক্রি, উন্নয়ন অবকাঠামো নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসাহাক সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অভিভাবকদের অভিযোগপত্র। গত ৭ জুলাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ জেলা প্রশাসক বরাবর দেয় অভিযোগের কপি পাঠানো হয়েছে।
সালেহা ইসহাক বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক কামরুজ্জামান পদার্থ ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তৈমুর হাসান, বাংলা-সমাজ-ধর্মের শিক্ষক লিলি খাতুন, গণিতের শিক্ষক সামান আলী শেখ ও ইংরেজি শিক্ষক আবুল কাশেম সমন্বয়ের বিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট এইসব প্রশ্ন নিজ নিজ কোচিং সেন্টারে ফাঁস করছেন বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিজেই অসহায়। তিনিও এই সিন্ডিকেটের কাছে পরাজিত হচ্ছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি অবগত। এর আগেও তিনি বিভাগীয় তদন্ত করেছেন। ওই সিন্ডিকেটের হাত অনেক লম্বা, বিধায় জেলা প্রশাসক মহোদয় শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারেননি। তবে গত ১০ জুলাই প্রধান শিক্ষক অভিযোগকারী অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে ছিলেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিযোগের তীর প্রধান ধর্ম শিক্ষক কামরুজ্জামানের দিকে হলেও তিনি জানান, আমি এসবের কিছুই জানি না।
এদিকে, সিন্ডিকেট কি তা জানে না এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা জানালেন প্রধান শিক্ষকের অদক্ষতার কারণেই এমন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. আফসার আলী বলেন, আমি অপারগ। আমার পক্ষে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। আমি যেহেতু জেলা শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে আছি, সেই কারণে তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেবো। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) প্রধান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ : সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় -সংবাদ
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
পরীক্ষা হলেই প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয় সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্লাস শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পরলেই পাওয়া যায় এই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। দির্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি চক্র এই প্রশ্ন ফাঁস করে আসছেন। সব জেনেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না প্রধান শিক্ষক মো. আফসার আলী। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি জেলা শিক্ষা অফিসারের।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের নারী শিক্ষার একমাত্র সরকারি বিদ্যাপিঠ সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় শতবর্ষী এই বিদ্যালয় থেকে অনেক ভালো ফলাফল পেয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি চক্র প্রতিটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন। এই বিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষক প্রাইভেট ও কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যে কারণে এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে হলে এই শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট ও কোচিং করতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে। আর তাদের কাছে প্রাইভেট কোচিং করলে পরীক্ষার দুই দিন আগে শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যাবে অগ্রীম প্রশ্নপত্র। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ বারবার অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রধান শিক্ষক।
এ বিদ্যালয়টি নিয়ে শুধু প্রশ্ন পত্র ফাঁস নয়, রয়েছে আরও নানা অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ। বিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেল ছাত্রীদের নয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের দখলে। ল্যাব রুম, টিফিন, গাছ বিক্রি, উন্নয়ন অবকাঠামো নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসাহাক সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অভিভাবকদের অভিযোগপত্র। গত ৭ জুলাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ জেলা প্রশাসক বরাবর দেয় অভিযোগের কপি পাঠানো হয়েছে।
সালেহা ইসহাক বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক কামরুজ্জামান পদার্থ ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তৈমুর হাসান, বাংলা-সমাজ-ধর্মের শিক্ষক লিলি খাতুন, গণিতের শিক্ষক সামান আলী শেখ ও ইংরেজি শিক্ষক আবুল কাশেম সমন্বয়ের বিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট এইসব প্রশ্ন নিজ নিজ কোচিং সেন্টারে ফাঁস করছেন বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক নিজেই অসহায়। তিনিও এই সিন্ডিকেটের কাছে পরাজিত হচ্ছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি অবগত। এর আগেও তিনি বিভাগীয় তদন্ত করেছেন। ওই সিন্ডিকেটের হাত অনেক লম্বা, বিধায় জেলা প্রশাসক মহোদয় শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারেননি। তবে গত ১০ জুলাই প্রধান শিক্ষক অভিযোগকারী অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে ছিলেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিযোগের তীর প্রধান ধর্ম শিক্ষক কামরুজ্জামানের দিকে হলেও তিনি জানান, আমি এসবের কিছুই জানি না।
এদিকে, সিন্ডিকেট কি তা জানে না এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা জানালেন প্রধান শিক্ষকের অদক্ষতার কারণেই এমন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মো. আফসার আলী বলেন, আমি অপারগ। আমার পক্ষে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। আমি যেহেতু জেলা শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে আছি, সেই কারণে তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেবো। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) প্রধান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।