কক্সবাজার সদরে ‘জামায়াত’ নেতার নেতৃত্বে মব তৈরি করে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে সদর উপজেলা বিএনপি।
দুপুরে কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারের হত্যায় নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান।
লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মাবুদ বলেন, ১৩ জুলাই রহিম উদ্দিন সিকদার পানিরছড়া বটতলী বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে ছাত্রদলের ভারুয়াখালী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাকিব উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা হয়। এতে রহিম উদ্দিন সিকদার, সাকিব উদ্দিনসহ চারজন আহত হন। পরে তাঁদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিম উদ্দিন সিকদার মারা যান।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলাকারী আবদুল্লাহ আল নোমান দলটির কেউ নন। তাঁরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। জামায়াত দাবি করেছে, মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধ থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনায় জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবদুল্লাহ আল নোমান জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এবং জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে।
বিএনপি নেতারা দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের জামায়াতে ইসলামীতে পদ–পদবি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত জামায়াত নেতাসহ অন্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, মসজিদের জায়গা নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। এর সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। কিছু লোক ঘটনাকে জামায়াতের সঙ্গে জড়িয়ে দলের বদনাম করছেন।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
কক্সবাজার সদরে ‘জামায়াত’ নেতার নেতৃত্বে মব তৈরি করে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে সদর উপজেলা বিএনপি।
দুপুরে কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারের হত্যায় নেতৃত্ব দেন জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান।
লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মাবুদ বলেন, ১৩ জুলাই রহিম উদ্দিন সিকদার পানিরছড়া বটতলী বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে ছাত্রদলের ভারুয়াখালী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাকিব উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের ওপরও হামলা হয়। এতে রহিম উদ্দিন সিকদার, সাকিব উদ্দিনসহ চারজন আহত হন। পরে তাঁদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিম উদ্দিন সিকদার মারা যান।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলাকারী আবদুল্লাহ আল নোমান দলটির কেউ নন। তাঁরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। জামায়াত দাবি করেছে, মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধ থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনায় জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবদুল্লাহ আল নোমান জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এবং জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে।
বিএনপি নেতারা দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের জামায়াতে ইসলামীতে পদ–পদবি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত জামায়াত নেতাসহ অন্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, মসজিদের জায়গা নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। এর সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। কিছু লোক ঘটনাকে জামায়াতের সঙ্গে জড়িয়ে দলের বদনাম করছেন।