যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বাড়েধাপাড়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি পুননির্মাণ ও সংস্কার শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকালে ২ ইস্ট বেংগলের ব্যবস্থাপনায় ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বাড়েধাপাড়া সংলগ্ন ডহরমশিয়াহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এই হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, যশোর সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কর্নেল স্টাফ কর্নেল আরিফুল হকসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর ই আলম সিদ্দিকী, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল, অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি যশোর সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ডগরমশিয়াহাটী এলাকায় সংঘর্ষের জেরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৪টি পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামত/পুননির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত ১২ জুলাই এ কাজ সম্পন্ন হয় এবং আজ ১৫ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তা হস্তান্তর করা হয়।’
অনুষ্ঠান শেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বিকাশ বিশ্বাস, কামনা বিশ্বাস ও ছন্দা বিশ্বাস বলেন, আগুন দেওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম দেশ ছেড়ে চলে যাবো। কিন্তু সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ও নজরদারির কারণে আমরা আর দেশ ছেড়ে যেতে চাই না। এ দেশ আমার এ মাটি আমার। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আমাদের ঘরবাড়ি নতুন করে নির্মাণসহ সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া টিভি, ফ্রিজসহ ঘরের সব আসবাবপত্র এবং নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সেনাবাহিনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছি।
গত ২২ মে বৃহস্পতিবার বিকালে ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বাড়েধাপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তরিকুলের সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়েধাপাড়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৪ পরিবারের ১৮টি ঘর ভাঙচুর-লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর অভয়নগর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলা দুটি চলমান রয়েছে।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বাড়েধাপাড়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি পুননির্মাণ ও সংস্কার শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকালে ২ ইস্ট বেংগলের ব্যবস্থাপনায় ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে বাড়েধাপাড়া সংলগ্ন ডহরমশিয়াহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এই হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, যশোর সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কর্নেল স্টাফ কর্নেল আরিফুল হকসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর ই আলম সিদ্দিকী, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল, অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি যশোর সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ডগরমশিয়াহাটী এলাকায় সংঘর্ষের জেরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৪টি পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামত/পুননির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত ১২ জুলাই এ কাজ সম্পন্ন হয় এবং আজ ১৫ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তা হস্তান্তর করা হয়।’
অনুষ্ঠান শেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বিকাশ বিশ্বাস, কামনা বিশ্বাস ও ছন্দা বিশ্বাস বলেন, আগুন দেওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম দেশ ছেড়ে চলে যাবো। কিন্তু সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ও নজরদারির কারণে আমরা আর দেশ ছেড়ে যেতে চাই না। এ দেশ আমার এ মাটি আমার। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আমাদের ঘরবাড়ি নতুন করে নির্মাণসহ সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া টিভি, ফ্রিজসহ ঘরের সব আসবাবপত্র এবং নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সেনাবাহিনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছি।
গত ২২ মে বৃহস্পতিবার বিকালে ডহরমশিয়াহাটী গ্রামের বাড়েধাপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তরিকুলের সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়েধাপাড়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৪ পরিবারের ১৮টি ঘর ভাঙচুর-লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর অভয়নগর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলা দুটি চলমান রয়েছে।