জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আর হতাহতের উত্তাল দিন পার করে বৃহস্পতিবার সকালে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে গোপালগঞ্জে।
বুধবার দিনভর দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের পর রাত থেকেই শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।
তবুও আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিছু মানুষ জরুরি প্রয়োজনে সড়কে বের হয়েছেন। সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শহরের ঘোনাপাড়া, এলজিইডি মোড়, জেনারেল হাসপাতাল, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশের চেকপোস্ট বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। কিছু এলাকায় শুধু গ্রাম পুলিশ ও পৌরকর্মীদের দেখা গেছে।
গতকালের সহিংসতায় ৪ জন নিহত ও অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। ককটেল বিস্ফোরণ, তোরণ ভাঙচুর ও রাস্তায় গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করার ঘটনাও ঘটে।
সকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পড়ে থাকা গাছ ও বাঁশ সরিয়ে চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। ঘোনাপাড়া মোড়সংলগ্ন সড়কে পড়ে থাকা রেইনট্রি গাছ কাটতে দেখা যায় বাদাম বিক্রেতা রোজিনা বেগমকে। তিনি বলেন, “রাতে কেউ গাছ কেটে রেখেছে, সকালে হাঁটতে বের হয়ে দেখি। সংসারের কাজে লাগবে ভেবে ডালপালা কেটে সরাচ্ছি।”
কারফিউয়ের কারণে স্থানীয় রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর, গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট রুটে বাস চলেনি। তবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাসগুলো চলেছে স্বাভাবিকভাবেই।
সকাল ৮টা পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। কাঁচাবাজারে কিছু ফলের দোকানেও লোকজনের আনাগোনা দেখা গেছে।
তবে শহরের চেহারায় এখনও বিক্ষোভ ও সহিংসতার ছাপ স্পষ্ট—ইটপাটকেল, বাঁশ ও গাছের গুড়ি সড়কের একাংশ জুড়ে পড়ে থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে কারফিউয়ের কারণে স্থানীয়ভাবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের পুলিশ লাইনস মোড় এলাকার পরিবহনশ্রমিক আজগার আলী শেখ বলেন, ‘কারফিউয়ের কারণে রাস্তায় লোকজন নেই, তাই লোকাল গাড়িগুলো চলছে না। এখান থেকে স্থানীয় দুটি রুটে বাস চলে—গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট ও গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর। এই দুই রুট ছাড়াও গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট রুটেও বাস চলছে না। তবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবেই।’
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আর হতাহতের উত্তাল দিন পার করে বৃহস্পতিবার সকালে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে গোপালগঞ্জে।
বুধবার দিনভর দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের পর রাত থেকেই শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়।
তবুও আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিছু মানুষ জরুরি প্রয়োজনে সড়কে বের হয়েছেন। সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শহরের ঘোনাপাড়া, এলজিইডি মোড়, জেনারেল হাসপাতাল, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশের চেকপোস্ট বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। কিছু এলাকায় শুধু গ্রাম পুলিশ ও পৌরকর্মীদের দেখা গেছে।
গতকালের সহিংসতায় ৪ জন নিহত ও অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। ককটেল বিস্ফোরণ, তোরণ ভাঙচুর ও রাস্তায় গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করার ঘটনাও ঘটে।
সকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পড়ে থাকা গাছ ও বাঁশ সরিয়ে চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। ঘোনাপাড়া মোড়সংলগ্ন সড়কে পড়ে থাকা রেইনট্রি গাছ কাটতে দেখা যায় বাদাম বিক্রেতা রোজিনা বেগমকে। তিনি বলেন, “রাতে কেউ গাছ কেটে রেখেছে, সকালে হাঁটতে বের হয়ে দেখি। সংসারের কাজে লাগবে ভেবে ডালপালা কেটে সরাচ্ছি।”
কারফিউয়ের কারণে স্থানীয় রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর, গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট রুটে বাস চলেনি। তবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাসগুলো চলেছে স্বাভাবিকভাবেই।
সকাল ৮টা পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। কাঁচাবাজারে কিছু ফলের দোকানেও লোকজনের আনাগোনা দেখা গেছে।
তবে শহরের চেহারায় এখনও বিক্ষোভ ও সহিংসতার ছাপ স্পষ্ট—ইটপাটকেল, বাঁশ ও গাছের গুড়ি সড়কের একাংশ জুড়ে পড়ে থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে কারফিউয়ের কারণে স্থানীয়ভাবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের পুলিশ লাইনস মোড় এলাকার পরিবহনশ্রমিক আজগার আলী শেখ বলেন, ‘কারফিউয়ের কারণে রাস্তায় লোকজন নেই, তাই লোকাল গাড়িগুলো চলছে না। এখান থেকে স্থানীয় দুটি রুটে বাস চলে—গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট ও গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর। এই দুই রুট ছাড়াও গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট রুটেও বাস চলছে না। তবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবেই।’