গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হওয়ার জন্য মূলত জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকাকেই দায়ী করেছেন মার্কিন তদন্তকারীরা। তাদের ধারণা, প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালই জ্বালানির সুইচ বন্ধ করেছিলেন।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শেষ মুহূর্তের কথোপকথনে শোনা যায়, আতঙ্কিত সহকারী পাইলট ক্যাপ্টেনকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি জ্বালানি নিয়ন্ত্রণের সুইচ ‘কাট-অফ’ পজিশনে নিলেন। জবাবে সবরওয়াল বলেন, তিনি কিছু করেননি। ওই সময়ে তিনি অনেকটাই শান্ত ছিলেন।
ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের পথে উড়োজাহাজটি উড়াল দেওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই একটি হোস্টেল ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৩০ যাত্রীর মধ্যে ২২৯ জন ও ১২ জন ক্রুর সবাই নিহত হন। মাটিতে থাকা আরও ১৯ জন মারা যান।
গত সপ্তাহে ভারতীয় তদন্তকারীদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণের সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট-অফ’ অবস্থায় যাওয়াকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এতে পাইলটদের দায়ী করা হয়নি।
সুইচটি ইচ্ছাকৃত না দুর্ঘটনাবশত বন্ধ হয়েছিল, সে বিষয়েও ভারতীয় প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।
ভারতের দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পাইলট অন্যজনকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি সুইচ পরিবর্তন করেছেন। জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছু করেননি।
মার্কিন পাইলটদের ধারণা, দুর্ঘটনার সময় সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্ডেরে উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন, আর সবরওয়াল কেবল মনিটর করছিলেন। তাই হাত খালি থাকা অবস্থায় জ্বালানির সুইচ পরিবর্তনের সুযোগ বেশি ছিল সবরওয়ালের।
ভারতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানির সুইচগুলো এক সেকেন্ডের ব্যবধানে বন্ধ হয় এবং ১০ সেকেন্ড পর আবার চালু হয়।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সমালোচনা করে একে একপেশে বলে উল্লেখ করেছে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।
ভারতের কমার্শিয়াল পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, “চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ক্রুরা তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছেন। অনুমানের ভিত্তিতে পাইলটদের দায়ী করা ঠিক নয়।” তারা আরও বলেছে, “তথ্যপ্রমাণ ছাড়া আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেওয়া সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও পেশার প্রতি অসম্মান।”
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৬০ জন নিহত হওয়ার জন্য মূলত জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকাকেই দায়ী করেছেন মার্কিন তদন্তকারীরা। তাদের ধারণা, প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালই জ্বালানির সুইচ বন্ধ করেছিলেন।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শেষ মুহূর্তের কথোপকথনে শোনা যায়, আতঙ্কিত সহকারী পাইলট ক্যাপ্টেনকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি জ্বালানি নিয়ন্ত্রণের সুইচ ‘কাট-অফ’ পজিশনে নিলেন। জবাবে সবরওয়াল বলেন, তিনি কিছু করেননি। ওই সময়ে তিনি অনেকটাই শান্ত ছিলেন।
ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের পথে উড়োজাহাজটি উড়াল দেওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই একটি হোস্টেল ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৩০ যাত্রীর মধ্যে ২২৯ জন ও ১২ জন ক্রুর সবাই নিহত হন। মাটিতে থাকা আরও ১৯ জন মারা যান।
গত সপ্তাহে ভারতীয় তদন্তকারীদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণের সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাট-অফ’ অবস্থায় যাওয়াকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এতে পাইলটদের দায়ী করা হয়নি।
সুইচটি ইচ্ছাকৃত না দুর্ঘটনাবশত বন্ধ হয়েছিল, সে বিষয়েও ভারতীয় প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।
ভারতের দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পাইলট অন্যজনকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি সুইচ পরিবর্তন করেছেন। জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছু করেননি।
মার্কিন পাইলটদের ধারণা, দুর্ঘটনার সময় সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্ডেরে উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন, আর সবরওয়াল কেবল মনিটর করছিলেন। তাই হাত খালি থাকা অবস্থায় জ্বালানির সুইচ পরিবর্তনের সুযোগ বেশি ছিল সবরওয়ালের।
ভারতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানির সুইচগুলো এক সেকেন্ডের ব্যবধানে বন্ধ হয় এবং ১০ সেকেন্ড পর আবার চালু হয়।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সমালোচনা করে একে একপেশে বলে উল্লেখ করেছে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।
ভারতের কমার্শিয়াল পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, “চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ক্রুরা তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছেন। অনুমানের ভিত্তিতে পাইলটদের দায়ী করা ঠিক নয়।” তারা আরও বলেছে, “তথ্যপ্রমাণ ছাড়া আত্মহত্যার ইঙ্গিত দেওয়া সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও পেশার প্রতি অসম্মান।”