বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশার এপিএস ও খাদ্য পরিদর্শক অচীন কুমার দাস ও তার মা এবং স্ত্রীর নামীয় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি বেরিয়ে আসায় বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল ইসলাম গত মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সময়ে অচীন কুমার দাস খাদ্য অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি বাগেরহাট জেলা সদর আসনের তৎকালীন এমপি অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশার এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীদের জানান, খাদ্য পরিদর্শক অচীন কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ জমা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানকালে অচীন কুমার দাস ও তার মা কল্পনা রানী দাস ও প্রথম স্ত্রী পরিবার কল্যাণ সহকারী সংগীতা সেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা ঝিমি মন্ডলের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ-দখলে রাখার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। তাদের নামে অর্জিত সম্পদসমূহ বেহাত করার চেষ্টা করায় তাদের নামে থাকা সম্পদ ক্রোক/জব্দ এবং অবরুদ্ধকরণ করার জন্য বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে আবেদন করে দুদক। সেই আবদনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এই ক্রোক আদেশ দিয়েছেন। আদেশে অচীন কুমার দাসের নামে অর্জনকৃত খুলনার বটিয়াঘাটা, বাগেরহাট পৌরসভার সরুই ও সদর উপজেলার খলসী পাঁচলী এলাকার জমি ও বাড়ীসহ প্রায় দুই কোটি টাকা মুল্যের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া অচীন কুমার দাসের মা কল্পনা রানী দাসের নামে ক্রয়কৃত একটি প্রাইভেট গাড়ী ও ৫ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, প্রথম স্ত্রী সংগীতা সেনের নামে ২০ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে ক্রয়কৃত একটি টয়োটা গাড়ী, অবরুদ্ধকরণ তথা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেনছেন বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশার এপিএস ও খাদ্য পরিদর্শক অচীন কুমার দাস ও তার মা এবং স্ত্রীর নামীয় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি বেরিয়ে আসায় বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আশরাফুল ইসলাম গত মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সময়ে অচীন কুমার দাস খাদ্য অধিদপ্তরে চাকরির পাশাপাশি বাগেরহাট জেলা সদর আসনের তৎকালীন এমপি অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশার এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীদের জানান, খাদ্য পরিদর্শক অচীন কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৪ সালের শেষের দিকে বাগেরহাট দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ জমা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানকালে অচীন কুমার দাস ও তার মা কল্পনা রানী দাস ও প্রথম স্ত্রী পরিবার কল্যাণ সহকারী সংগীতা সেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা ঝিমি মন্ডলের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ-দখলে রাখার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। তাদের নামে অর্জিত সম্পদসমূহ বেহাত করার চেষ্টা করায় তাদের নামে থাকা সম্পদ ক্রোক/জব্দ এবং অবরুদ্ধকরণ করার জন্য বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে আবেদন করে দুদক। সেই আবদনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এই ক্রোক আদেশ দিয়েছেন। আদেশে অচীন কুমার দাসের নামে অর্জনকৃত খুলনার বটিয়াঘাটা, বাগেরহাট পৌরসভার সরুই ও সদর উপজেলার খলসী পাঁচলী এলাকার জমি ও বাড়ীসহ প্রায় দুই কোটি টাকা মুল্যের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া অচীন কুমার দাসের মা কল্পনা রানী দাসের নামে ক্রয়কৃত একটি প্রাইভেট গাড়ী ও ৫ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, প্রথম স্ত্রী সংগীতা সেনের নামে ২০ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে ক্রয়কৃত একটি টয়োটা গাড়ী, অবরুদ্ধকরণ তথা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেনছেন বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।