হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষে হামলা চালিয়ে ইউনাইডেট হাসপাতালে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৩৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরো দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহবুবুল আলম সুমন বাদি হয়েছে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলায় নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ছাবির আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, ইনাতগঞ্জ ও তিমিরপুরের দুজন সাংবাদিকের পূর্বের বিরোধের জের ধরে ট্রাফিক পয়েন্টে মারামারির ঘটনায় আনমনু গ্রামের কয়েক ব্যক্তি তিমির পুরের দুইজনকে ধরে পুলিশে দেন। স্থানীয় মুরব্বিয়ান সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির শর্তে থানা থেকে ওই দুজনকে ছাড়িয়ে নেন। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধানে গোল্ডেন প্লাজায় সালিশ বৈঠকে বসেন। তবে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষ মারমুখী হয়ে ইট, পাথরসহ বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় কেউ কেউ আহত হন। দ্বদ্বের জের ধরে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ৭ জুলাই দুপুর ৩ টার দিকে আসামীগণ ইউনাইটেড হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভিতরে থাকা বিভিন্ন রুমের এক্সরে মেশিন, আলট্রা সাইন্ড মেশিন, ইসিজি মেশিন, প্যাথলজি ল্যাবে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও মেশিনারী, অপারেশন থিয়েটার, পোষ্ট অপারেটিভ রুম, রোগীর কেবিন, রোগীর ওয়ার্ড, ষ্টাফদের থাকার রুম, ইত্যাদি ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয় এবং মূল্যবান আসবাবপত্রসহ চেয়ার, টেবিল ও বিভিন্ন ফার্নিচার আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মুখে লুঠে নিয়ে যায়। এছাড়া ছাঁদের উপরে থাকা প্রায় সতেরটি এসির আউটডোর হাতুড়ি এবং দা দিয়ে কুপিয়ে ধ্বংস করে ফেলে। হাসপাতলের কাউন্টার থেকে হাসপাতাল সংক্রান্তে বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন অনুমতিপত্রসহ মূল্যবান সার্টিফিকেট, কাগজপত্র, রোগীদের রিপোর্ট, ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা অনুমান ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হেলমেট পড়ে দুজন আসামী নিয়ে যায়। এতে আসামীরা সর্বমোট হাসপাতালের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া মামলায় বলা হয়, ১নং আসামী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আসামীরা বিভিন্ন প্রানঘাতী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে ঘটনাস্থলে এসে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে গালিগালজ কওে এবং বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। হাসপাতালে অবস্থান নেয়া রোগী ও চিকিৎসার সেবা নিতে আসা মানুষজন চরমভাবে ভীত ও আতংকিত হয়ে উঠেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কামরুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষে হামলা চালিয়ে ইউনাইডেট হাসপাতালে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৩৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরো দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহবুবুল আলম সুমন বাদি হয়েছে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলায় নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ছাবির আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, ইনাতগঞ্জ ও তিমিরপুরের দুজন সাংবাদিকের পূর্বের বিরোধের জের ধরে ট্রাফিক পয়েন্টে মারামারির ঘটনায় আনমনু গ্রামের কয়েক ব্যক্তি তিমির পুরের দুইজনকে ধরে পুলিশে দেন। স্থানীয় মুরব্বিয়ান সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির শর্তে থানা থেকে ওই দুজনকে ছাড়িয়ে নেন। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধানে গোল্ডেন প্লাজায় সালিশ বৈঠকে বসেন। তবে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষ মারমুখী হয়ে ইট, পাথরসহ বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় কেউ কেউ আহত হন। দ্বদ্বের জের ধরে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ৭ জুলাই দুপুর ৩ টার দিকে আসামীগণ ইউনাইটেড হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভিতরে থাকা বিভিন্ন রুমের এক্সরে মেশিন, আলট্রা সাইন্ড মেশিন, ইসিজি মেশিন, প্যাথলজি ল্যাবে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও মেশিনারী, অপারেশন থিয়েটার, পোষ্ট অপারেটিভ রুম, রোগীর কেবিন, রোগীর ওয়ার্ড, ষ্টাফদের থাকার রুম, ইত্যাদি ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয় এবং মূল্যবান আসবাবপত্রসহ চেয়ার, টেবিল ও বিভিন্ন ফার্নিচার আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রের মুখে লুঠে নিয়ে যায়। এছাড়া ছাঁদের উপরে থাকা প্রায় সতেরটি এসির আউটডোর হাতুড়ি এবং দা দিয়ে কুপিয়ে ধ্বংস করে ফেলে। হাসপাতলের কাউন্টার থেকে হাসপাতাল সংক্রান্তে বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন অনুমতিপত্রসহ মূল্যবান সার্টিফিকেট, কাগজপত্র, রোগীদের রিপোর্ট, ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা অনুমান ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হেলমেট পড়ে দুজন আসামী নিয়ে যায়। এতে আসামীরা সর্বমোট হাসপাতালের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া মামলায় বলা হয়, ১নং আসামী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আসামীরা বিভিন্ন প্রানঘাতী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে ঘটনাস্থলে এসে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে গালিগালজ কওে এবং বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। হাসপাতালে অবস্থান নেয়া রোগী ও চিকিৎসার সেবা নিতে আসা মানুষজন চরমভাবে ভীত ও আতংকিত হয়ে উঠেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কামরুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।