সিরাজগঞ্জ : বন্যা না হওয়ায় পাথার এলাকা গোচারণ ভূমিতে পরিণত -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলার চলনবিল অধ্যুশিত পাথার এলাকায় ভরা বন্যার সময়ও মাঠগুলোতে বন্যার পানি নেই। এখন বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়কাল চলছে। বর্ষাকালের মধ্যভাগে পাথার এলাকার মাঠগুলোতে বন্যার পানি না থাকায় মাছের বংশ তেমন বাড়ছে না আবার বন্যার ভয়ে কৃষকরা আবাদও করছেন না বলে জানা গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই দুই উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২শ ৯৬ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। ফলে এই সব জমি এখন গো চারণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে । বন্যা না হওয়ায় মাঠগুলোয় এখনো পানি হয়নি। বর্ষাকালের মধ্য ভাগে এবারে এখনো স্বাভাবিক বন্যা হয়নি। তাই স্বাভাবিক বন্যা হলেই পানিতে তলিয়ে যায় এমন মাঠ এলাকাগুলো এখন পানি শূন্য অবস্থায় আছে। তবে চলনবিল মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোয় বন্যার পানি হয়েছে।
কোনো কোনো মাঠে বৃষ্টিতে কাদা ও হালকা পানি জমে আছে। আবাদী মাঠগুলোয় বোরো (ইরি) ধান কাটার পর মোথা থেকে কুশি বের হয়েছে। এছাড়া জলজ আগাছা জন্মেছে। বিভিন্ন এলাকায় পতিত মাঠে গরু চড়ানো হচ্ছে।
উপজেলার ধরইলের আনোয়ার হোসেন, বিনায়েকপুরের আলমগীর হোসেন, হাওড়ার আজাদ বলেন উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলে স্বাভাবিক বন্যা হলেই মোহনপুর, বড় পাঙ্গাসী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা ইউনিয়ন এলাকার মাঠ ও নীচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া তাড়াশ উপজেলার মনোহরপুর, কুসুম্বি গ্রামের আব্দুস সালাম, সাহেব আলী জানান, প্রায় প্রতি বছরই এই সময় আমাদের এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় কিন্তু এবছর এখনও পানি আসে নাই।
এবারে এখনো বন্যার পানি নেই বলে মাঠগুলো পানি শূন্য অবস্থায় আছে। অনেকেই মাঠে সকাল বিকাল গরু চড়াচ্ছেন। এদিকে বন্যা হলেই মাঠগুলোয় দেশিয় মাছের বংশ বাড়ে এবং মুক্ত জলাশয়ে অবাধ চলাচল করে। এবারে তা নেই। নদীতে বন্যার পানি হয়েছে।
উল্লাপাড়ায় কাশেম বিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সেখানকার মাঠে নীচু কয়েক বিঘা জায়গায় বৃষ্টির হালকা পানি জমে আছে। আর পানি শূন্য পুরো মাঠে এলাকার গৃহস্থ কৃষকদের পালের গরু চড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, এই উপজেলায় ১ হাজার ২শ ৯৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়নি। বন্যার কারনে এই জমিগুলি প্রতি বছরের মত এবারও অনাবাদি রয়েছে। তিনি আরো বলেন পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে এখানকার কৃষকরা সরিষার আবাদ করে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্মা কৃষিবিদ সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, এই এলাকা বন্যা প্রবন হওয়ায় প্রাকৃতিক কারনেই এই জমি গুলি এক ফসলী। যে কারনে আত্র উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। তিনি আরো জানান বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা আবাদ করে কৃষকরা। আবার সরিষা তুলে ধানের আবাদ করে এতে কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
সিরাজগঞ্জ : বন্যা না হওয়ায় পাথার এলাকা গোচারণ ভূমিতে পরিণত -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলার চলনবিল অধ্যুশিত পাথার এলাকায় ভরা বন্যার সময়ও মাঠগুলোতে বন্যার পানি নেই। এখন বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়কাল চলছে। বর্ষাকালের মধ্যভাগে পাথার এলাকার মাঠগুলোতে বন্যার পানি না থাকায় মাছের বংশ তেমন বাড়ছে না আবার বন্যার ভয়ে কৃষকরা আবাদও করছেন না বলে জানা গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই দুই উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২শ ৯৬ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। ফলে এই সব জমি এখন গো চারণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে । বন্যা না হওয়ায় মাঠগুলোয় এখনো পানি হয়নি। বর্ষাকালের মধ্য ভাগে এবারে এখনো স্বাভাবিক বন্যা হয়নি। তাই স্বাভাবিক বন্যা হলেই পানিতে তলিয়ে যায় এমন মাঠ এলাকাগুলো এখন পানি শূন্য অবস্থায় আছে। তবে চলনবিল মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোয় বন্যার পানি হয়েছে।
কোনো কোনো মাঠে বৃষ্টিতে কাদা ও হালকা পানি জমে আছে। আবাদী মাঠগুলোয় বোরো (ইরি) ধান কাটার পর মোথা থেকে কুশি বের হয়েছে। এছাড়া জলজ আগাছা জন্মেছে। বিভিন্ন এলাকায় পতিত মাঠে গরু চড়ানো হচ্ছে।
উপজেলার ধরইলের আনোয়ার হোসেন, বিনায়েকপুরের আলমগীর হোসেন, হাওড়ার আজাদ বলেন উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলে স্বাভাবিক বন্যা হলেই মোহনপুর, বড় পাঙ্গাসী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা ইউনিয়ন এলাকার মাঠ ও নীচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া তাড়াশ উপজেলার মনোহরপুর, কুসুম্বি গ্রামের আব্দুস সালাম, সাহেব আলী জানান, প্রায় প্রতি বছরই এই সময় আমাদের এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় কিন্তু এবছর এখনও পানি আসে নাই।
এবারে এখনো বন্যার পানি নেই বলে মাঠগুলো পানি শূন্য অবস্থায় আছে। অনেকেই মাঠে সকাল বিকাল গরু চড়াচ্ছেন। এদিকে বন্যা হলেই মাঠগুলোয় দেশিয় মাছের বংশ বাড়ে এবং মুক্ত জলাশয়ে অবাধ চলাচল করে। এবারে তা নেই। নদীতে বন্যার পানি হয়েছে।
উল্লাপাড়ায় কাশেম বিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সেখানকার মাঠে নীচু কয়েক বিঘা জায়গায় বৃষ্টির হালকা পানি জমে আছে। আর পানি শূন্য পুরো মাঠে এলাকার গৃহস্থ কৃষকদের পালের গরু চড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, এই উপজেলায় ১ হাজার ২শ ৯৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়নি। বন্যার কারনে এই জমিগুলি প্রতি বছরের মত এবারও অনাবাদি রয়েছে। তিনি আরো বলেন পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে এখানকার কৃষকরা সরিষার আবাদ করে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্মা কৃষিবিদ সুবর্না ইয়াসমিন সুমি বলেন, এই এলাকা বন্যা প্রবন হওয়ায় প্রাকৃতিক কারনেই এই জমি গুলি এক ফসলী। যে কারনে আত্র উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। তিনি আরো জানান বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা আবাদ করে কৃষকরা। আবার সরিষা তুলে ধানের আবাদ করে এতে কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়।