শেরপুর (বগুড়া) : জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি -সংবাদ
অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সময়মতো ড্রেন পরিস্কার না করা এবং অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণের কারণে মাঝারি বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর পৌর শহর ও আশপাশের এলাকা। এতে করে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে, নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র ও গবাদি পশুর খাবার। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত মঙ্গলবার ও বুধবারের মাঝারি বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং শহরতলির শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় মানুষকে ভ্যান বা নৌকায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উপরেও হাঁটুপানি জমেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে জমে গেছে।
মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ, রামচরণ মুকুন্দ,ব্র্যাক বটতলা, আড়ংশাইল ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা ও সাধুবাড়ীর বাসিন্দারা জানান, তাদের বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে রান্না-বান্না, গবাদি পশু রাখাসহ দৈনন্দিন সব কাজে বিঘœ ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক ও রমজান আলী জানান, ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় পানিনিষ্কাশনের জন্য সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি তুলতে হচ্ছে। তবু পানি বের হচ্ছে না। ব্র্যাক বটতলার বাসিন্দা ফারুক বলেন, গরু, ছাগল, ভেড়া নিয়ে বিপদে পড়েছি। পানি বাড়ছে, মাটির ঘর হওয়ায় তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পশুগুলো বের করাও যাচ্ছে না, রাখার জায়গাও নেই। তিনি আরও জানান, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং নিচু জমির ধান ও সবজি ক্ষেতে পানি উঠে গেছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. আশিক খান বলেন, বর্ষার আগেই প্রধান ড্রেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সময়ের ভারি বৃষ্টির কারণে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হয়েছে। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, যেসব এলাকায় রাস্তা ভেঙে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
শেরপুর (বগুড়া) : জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সময়মতো ড্রেন পরিস্কার না করা এবং অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণের কারণে মাঝারি বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর পৌর শহর ও আশপাশের এলাকা। এতে করে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে, নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র ও গবাদি পশুর খাবার। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত মঙ্গলবার ও বুধবারের মাঝারি বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং শহরতলির শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় মানুষকে ভ্যান বা নৌকায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উপরেও হাঁটুপানি জমেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত পথ না থাকায় বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে জমে গেছে।
মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ, রামচরণ মুকুন্দ,ব্র্যাক বটতলা, আড়ংশাইল ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা ও সাধুবাড়ীর বাসিন্দারা জানান, তাদের বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে রান্না-বান্না, গবাদি পশু রাখাসহ দৈনন্দিন সব কাজে বিঘœ ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক ও রমজান আলী জানান, ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় পানিনিষ্কাশনের জন্য সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি তুলতে হচ্ছে। তবু পানি বের হচ্ছে না। ব্র্যাক বটতলার বাসিন্দা ফারুক বলেন, গরু, ছাগল, ভেড়া নিয়ে বিপদে পড়েছি। পানি বাড়ছে, মাটির ঘর হওয়ায় তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পশুগুলো বের করাও যাচ্ছে না, রাখার জায়গাও নেই। তিনি আরও জানান, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং নিচু জমির ধান ও সবজি ক্ষেতে পানি উঠে গেছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. আশিক খান বলেন, বর্ষার আগেই প্রধান ড্রেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সময়ের ভারি বৃষ্টির কারণে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হয়েছে। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, যেসব এলাকায় রাস্তা ভেঙে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।