alt

সারাদেশ

বিরামপুরে ঝড়-বৃষ্টিকে সঙ্গী করে, মাটিতে বসেই চলছে ১৭০ শিশুর শিক্ষা, সরকারি সহায়তার আলো এখনও অদৃশ্য

প্রতিনিধি, বিরামপুর (দিনাজপুর) : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পুইনন্দা গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভাতী বিদ্যানিকেতন। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন সাহসী নারী মোছা. রেহেনা পারভীন। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৭০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে।

তবে শিক্ষার এই মহৎ প্রয়াসের পেছনে রয়েছে অবর্ণনীয় কষ্টের গল্প। একটিমাত্র ঘর ও দুই পাশের খোলা বারান্দা তিন ভাগে ভাগ করে দুই শিফটে চলে পাঠদান। ঝড়-বৃষ্টি, প্রচ- গরম কিংবা কনকনে শীত সব পরিস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা চটের ওপর মাটিতে বসে ক্লাস করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন জানান, শিশু শ্রেণীতে ৪২ জন, প্রথম শ্রেণীতে ৩০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ১৫ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ১৩ জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ১৩ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন নিয়মিত উপস্থিত থাকে। প্রতিদিন গড়ে ১৩৫ থেকে ১৫৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশ নেয়।

এই বিদ্যালয়টি শুধু বিনাইল ইউনিয়নের নয়, পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের ঝকঝকা, নয়াপাড়া, আরজিশাহপুর, তিলবাড়ি ও ঘাটপাইল গ্রামের শিক্ষার্থীরাও পায়ে হেঁটে এখানে আসে। পাঁচজন শিক্ষক খুব সামান্য পারিশ্রমিকে বিদ্যালয়টি চালিয়ে যাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকরা জানান, তাদের মাসিক বেতন ৩,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩,৫০০ টাকা মাত্র। বিদ্যালয়ের জন্য একটি টয়লেট ও টিউবওয়েলও স্থাপন করেছেন প্রধান শিক্ষিকা নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে।

শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সন্তান। অনেকেই বেতন দিতে পারে না। তবুও বিদ্যালয়টি সচল রাখতে শিক্ষকরা এবং প্রধান শিক্ষিকা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।

শিশু শ্রেণীর এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকেও সন্তানদের এখানে পড়াতে আনি। কিন্তু খোলা বারান্দায় মাটিতে বসে পড়াশোনা করা কষ্টকর।’

বিদ্যালয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নিবন্ধিত হওয়ায় সরকারি পাঠ্যবই পেলেও অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না। অথচ একই উপজেলার কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ১৭-৩০ জন হলেও সেখানে কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি সরকারি সহায়তায় যদি অন্তত বেঞ্চের ব্যবস্থা এবং একটি উপযুক্ত ভবন নির্মাণ করা যায়, তাহলে ঝরে পড়া অনেক শিক্ষার্থী আবার বিদ্যালয়ে ফিরে আসবে।

সারাদেশে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদ

ধানমন্ডিতে অটোরিকশা ছিনতাই, চালককে মাথায় আঘাত

ডেঙ্গুঃ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭৫ জন হাসপাতালে

গোপালগঞ্জে উন্মত্ত পরিস্থিতির দায় সরকারকে নিতে হবে: সিপিবি

ছবি

দোষীদের শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

ছবি

মোটরবাইক পেল স্যামসাংয়ের ‘দ্য গ্র্যান্ড ইনভাইট’ ক্যাম্পেইন বিজয়ীরা

ছবি

যমজ ভাই এমবিবিএস পাস করলেন একসঙ্গে

প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে মোহনগঞ্জে জৌলুস হারাচ্ছে বেত ও বাঁশ শিল্প

ছবি

শ্রীমঙ্গলে অজগর সাপ উদ্ধার

মাদারগঞ্জে জুলাই শহীদ দিবস পালিত

বেলকুচিতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু

ছবি

হবিগঞ্জে ২ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ভোলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, ক্ষুদে বিজ্ঞানী সংসদ

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

ছবি

হবিগঞ্জে কয়েলের আগুনে নিঃস্ব দুই দিনমজুর পরিবার

‘কাজ শুধু শিখলেই হবে না, এর মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে’

মহেশপুরে নদী থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

শেরপুর শহর ও আশপাশের এলাকা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ দুর্ভোগ চরমে

ছবি

পরিবেশ রক্ষায় কালীগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ছবি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের মঝে চারা বিতরণ

ছবি

গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান সেনাবাহিনীর

নোয়াখালীতে বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ২

বগুড়ায় এক শিক্ষক বেতন তুলছেন দুই স্কুল থেকে

ছবি

সিরাজগঞ্জে বর্ষাকালেও পাথারে পানি নেই

কারফিউ চলবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত, গ্রেপ্তার ২৫

মীরসরাইয়ে মৎস্য খামার দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হবিগঞ্জে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

পলিতে নদী ভরাট-অপরিকল্পিত মাছের ঘের কেশবপুর ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী

সোনাইমুড়িতে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, আটক ১

সিদ্ধিরগঞ্জে সৎমাকে পিটিয়ে হত্যা, দুই ছেলে গ্রেপ্তার

ছবি

আনোয়ারায় পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার

পবিপ্রবিতে জুলাই শহীদ দিবস পালিত

বিস্ফোরক মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়ায় দুই নারী খুন, আহত এক

রাজবাড়ীতে মাদকসহ গ্রেপ্তার এক

ছবি

ময়মনসিংহে জুলাই শহীদদের স্মরণে কফিন মিছিল

tab

সারাদেশ

বিরামপুরে ঝড়-বৃষ্টিকে সঙ্গী করে, মাটিতে বসেই চলছে ১৭০ শিশুর শিক্ষা, সরকারি সহায়তার আলো এখনও অদৃশ্য

প্রতিনিধি, বিরামপুর (দিনাজপুর)

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পুইনন্দা গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভাতী বিদ্যানিকেতন। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন সাহসী নারী মোছা. রেহেনা পারভীন। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৭০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে।

তবে শিক্ষার এই মহৎ প্রয়াসের পেছনে রয়েছে অবর্ণনীয় কষ্টের গল্প। একটিমাত্র ঘর ও দুই পাশের খোলা বারান্দা তিন ভাগে ভাগ করে দুই শিফটে চলে পাঠদান। ঝড়-বৃষ্টি, প্রচ- গরম কিংবা কনকনে শীত সব পরিস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা চটের ওপর মাটিতে বসে ক্লাস করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন জানান, শিশু শ্রেণীতে ৪২ জন, প্রথম শ্রেণীতে ৩০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ১৫ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ১৩ জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ১৩ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন নিয়মিত উপস্থিত থাকে। প্রতিদিন গড়ে ১৩৫ থেকে ১৫৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশ নেয়।

এই বিদ্যালয়টি শুধু বিনাইল ইউনিয়নের নয়, পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের ঝকঝকা, নয়াপাড়া, আরজিশাহপুর, তিলবাড়ি ও ঘাটপাইল গ্রামের শিক্ষার্থীরাও পায়ে হেঁটে এখানে আসে। পাঁচজন শিক্ষক খুব সামান্য পারিশ্রমিকে বিদ্যালয়টি চালিয়ে যাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকরা জানান, তাদের মাসিক বেতন ৩,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩,৫০০ টাকা মাত্র। বিদ্যালয়ের জন্য একটি টয়লেট ও টিউবওয়েলও স্থাপন করেছেন প্রধান শিক্ষিকা নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে।

শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সন্তান। অনেকেই বেতন দিতে পারে না। তবুও বিদ্যালয়টি সচল রাখতে শিক্ষকরা এবং প্রধান শিক্ষিকা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।

শিশু শ্রেণীর এক অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকেও সন্তানদের এখানে পড়াতে আনি। কিন্তু খোলা বারান্দায় মাটিতে বসে পড়াশোনা করা কষ্টকর।’

বিদ্যালয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নিবন্ধিত হওয়ায় সরকারি পাঠ্যবই পেলেও অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না। অথচ একই উপজেলার কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ১৭-৩০ জন হলেও সেখানে কোটি টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি সরকারি সহায়তায় যদি অন্তত বেঞ্চের ব্যবস্থা এবং একটি উপযুক্ত ভবন নির্মাণ করা যায়, তাহলে ঝরে পড়া অনেক শিক্ষার্থী আবার বিদ্যালয়ে ফিরে আসবে।

back to top