গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতার পর জারি করা কারফিউর মধ্যেও আজ শুক্রবার সকালে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে জনজীবন। সকাল থেকেই আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে।
গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক। এরপর রাত থেকেই পুরো শহরে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার কারফিউর সময়সীমা বাড়িয়ে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং আংশিক শিথিল করে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
তবে আজ সকাল থেকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট ও গোপালগঞ্জ-ব্যাসপুরসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার ও বিসিক এলাকায় ছিল সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও ব্যস্ততা।
রিকশাচালক উজ্জ্বল হাওলাদার বলেন, ‘পেটের দায়ে বের হয়েছি। দুই দিন রিকশা চালাতে পারিনি, ঘরে চাল নেই। ঘরে বসে থাকলে পেটে ভাত যাবে না।’
একইভাবে আম ব্যবসায়ী মামুন ব্যাপারী বলেন, ‘গ্যাঞ্জামের কারণে দুই দিন কিছুই বিক্রি করতে পারিনি। আজ কিছু আম নিয়ে বসেছি বিক্রির জন্য।’
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গুলিবিদ্ধ অটোরিকশাচালক রমজান মুন্সী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচজনে।
ঘটনার পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অস্থিরতা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্কে শহরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বহু নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে গেছেন বলে জানা গেছে। শহরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও থমথমে অবস্থা এখনো বিরাজ করছে।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংসতার পর জারি করা কারফিউর মধ্যেও আজ শুক্রবার সকালে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে জনজীবন। সকাল থেকেই আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে।
গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে গোপালগঞ্জে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় চারজন নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক। এরপর রাত থেকেই পুরো শহরে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার কারফিউর সময়সীমা বাড়িয়ে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং আংশিক শিথিল করে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
তবে আজ সকাল থেকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট ও গোপালগঞ্জ-ব্যাসপুরসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার ও বিসিক এলাকায় ছিল সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও ব্যস্ততা।
রিকশাচালক উজ্জ্বল হাওলাদার বলেন, ‘পেটের দায়ে বের হয়েছি। দুই দিন রিকশা চালাতে পারিনি, ঘরে চাল নেই। ঘরে বসে থাকলে পেটে ভাত যাবে না।’
একইভাবে আম ব্যবসায়ী মামুন ব্যাপারী বলেন, ‘গ্যাঞ্জামের কারণে দুই দিন কিছুই বিক্রি করতে পারিনি। আজ কিছু আম নিয়ে বসেছি বিক্রির জন্য।’
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গুলিবিদ্ধ অটোরিকশাচালক রমজান মুন্সী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচজনে।
ঘটনার পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অস্থিরতা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্কে শহরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বহু নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে গেছেন বলে জানা গেছে। শহরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও থমথমে অবস্থা এখনো বিরাজ করছে।