টানা ভারি বর্ষণে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় আমনের বীজতলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা পানিতে তলিয়ে পচে গেছে। ফলে সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার পাঁচ হাজার কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে আমন মৌসুমে বেতাগী উপজেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রান্তিক চাষিরা জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে পুরো আষাঢ়জুড়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরি বীজ বপন করে। এরপর শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরো ভাদ্র মাস এবং আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এইসব আমনের বীজ তুলে জমিতে রোপন করে।
জুলাই মাসের শুরু থেকেই টানা ভারি বর্ষণ এবং এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ বীজতলা পানিতে ডুবে যায় এবং পচে নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা, হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশা, বিবিচিনি, পুটিয়াখালী, গাবুয়া, দেশান্তরকাঠী, মোকামিয়া, চরখালী, মাছুয়া বাজার, বটতলা, বুড়ামজুমদার, কুমড়াখালী, বলইবুনিয়া, কাজিরাবাদ ও মায়ারহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা বীজগুলো পচন ধরতে শুরু করেছে। বীজগুলো পানির সাথে শুয়ে রয়েছে। এইসব দৃশ্যে ভুক্তভোগী কৃষকরা হতাশায় রয়েছেন। অনেকেই নতুন করে বীজতলা তৈরি করার চিন্তা করলেও উপযুক্ত জমি, সময় ও আর্থিক সংকটে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বেতাগী ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ (৬২) বলেন, ৪০ শতক জমিতে বীজতলা করেছিলাম। কিন্তু চারার মাথা পর্যন্ত পানি ওঠায় সব পচে গেছে। এখন আবার নতুন করে করতে গেলে বীজ কিনতে হবে, শ্রম দিতে হবে, সেই সামর্থ্য নেই। একইভাবে বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক স্বপন মোল্লা (৫২) বলেন, আমন ধান চাষ এই অঞ্চলের কৃষকদের বছরের সবচেয়ে বড় মৌসুম। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি না করতে পারলে পুরো মৌসুমটাই ফসল উৎপাদন নিয়ে হতাশায় থাকতে হবে।
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, “বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি উপসহকারীরা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিচ্ছেন। প্রয়োজনে পুনরায় বীজ সহায়তা এবং কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হবে।”এদিকে কৃষকেরা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সরকারি সহায়তা প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রান্তিক চাষিরা । সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বেতাগীতে চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
টানা ভারি বর্ষণে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় আমনের বীজতলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা পানিতে তলিয়ে পচে গেছে। ফলে সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার পাঁচ হাজার কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে আমন মৌসুমে বেতাগী উপজেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রান্তিক চাষিরা জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে পুরো আষাঢ়জুড়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরি বীজ বপন করে। এরপর শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরো ভাদ্র মাস এবং আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এইসব আমনের বীজ তুলে জমিতে রোপন করে।
জুলাই মাসের শুরু থেকেই টানা ভারি বর্ষণ এবং এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ বীজতলা পানিতে ডুবে যায় এবং পচে নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা, হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিশা, বিবিচিনি, পুটিয়াখালী, গাবুয়া, দেশান্তরকাঠী, মোকামিয়া, চরখালী, মাছুয়া বাজার, বটতলা, বুড়ামজুমদার, কুমড়াখালী, বলইবুনিয়া, কাজিরাবাদ ও মায়ারহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা বীজগুলো পচন ধরতে শুরু করেছে। বীজগুলো পানির সাথে শুয়ে রয়েছে। এইসব দৃশ্যে ভুক্তভোগী কৃষকরা হতাশায় রয়েছেন। অনেকেই নতুন করে বীজতলা তৈরি করার চিন্তা করলেও উপযুক্ত জমি, সময় ও আর্থিক সংকটে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বেতাগী ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ (৬২) বলেন, ৪০ শতক জমিতে বীজতলা করেছিলাম। কিন্তু চারার মাথা পর্যন্ত পানি ওঠায় সব পচে গেছে। এখন আবার নতুন করে করতে গেলে বীজ কিনতে হবে, শ্রম দিতে হবে, সেই সামর্থ্য নেই। একইভাবে বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক স্বপন মোল্লা (৫২) বলেন, আমন ধান চাষ এই অঞ্চলের কৃষকদের বছরের সবচেয়ে বড় মৌসুম। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি না করতে পারলে পুরো মৌসুমটাই ফসল উৎপাদন নিয়ে হতাশায় থাকতে হবে।
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, “বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি উপসহকারীরা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিচ্ছেন। প্রয়োজনে পুনরায় বীজ সহায়তা এবং কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হবে।”এদিকে কৃষকেরা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সরকারি সহায়তা প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রান্তিক চাষিরা । সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বেতাগীতে চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।