পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি খাস জমির রেকর্ডি ও ১০টি খাল ভরাট ও দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি খালের খাস জমিতে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান ঘর ও অবৈধস্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর এভাবেই কৃষি প্রধান এলাকার সেচ সুবিধার সহায়ক সরকারী রেকর্ডিও খালগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা শহর সংলগ্ন পিরতলা বাজারের খাল, আংঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি খাল, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলার খাল, মুন্সির হাটে ফেদিয়ার খাল, কচ্ছপিয়া, গোদার খাল, মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার সংলগ্ন খালসহ অন্তত ১০টি রেকর্ডিও সরকারী খাল ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের দখলীয় পৈত্রিক ও রেকর্ডিও সম্পত্তির অগ্রভাগ দাবিতে সরকারী খাল ভরাট করে দোকান ঘর ও স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নিচ্ছেন। সরেজমিন দেখা যায়, আংঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি মৌজার ২২৭নং খতিয়ানে ৪৩৭ নং দাগের রেকর্ডিও সরকারি খালটি আস্তে আস্তে ভরাট ও বেদখল হওয়ায় দুমকি সাতানী ও আঠারোগাছিয়া মৌজার প্রায় কয়েকশথ হেক্টর আবাদি জমির সেচের পানি উঠা নামা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। পিরতলা বাজার সংলগ্ন খালটি ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও খালটিতে অপরিকল্পিত ভাবে ময়লা আবর্জনা ফালানোর কারণে ও দূগন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জামলা খালটি ওয়াপদা ভেরিবাঁধে আটকে রাখায় এবং ১০০গজের ব্যবধানে ডানিডা সড়কের আরও একটি বাঁধ নির্মিত হওয়ায় খালটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ বদ্ধ খালের সরকারী রেকর্ডি জমি ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে স্থানীয় মালিকরা সম্পত্তির সাথে মিলিয়ে ভোগদখল করছেন। এভাবে পানি চলাচলের রেকর্ডিও খাল বেদখল ও ভরাট হয়ে অস্তিত্বের সংকটে পরায় ওই এলাকার কৃষি জমির চাষাবাদে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেচ সুবিধা বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় প্রতি বছর ফসলহানীর ঝুকিতে পড়েছে কৃষকরা।দুমকি সাতানী, ও শ্রীরারামপু ইউনিয়নের চরবয়ড়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের, কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুমকি সাতানী, মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার, এবং চরবয়ড়া গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অন্যান্যদের মতো সাতানী খালটি ভরাট করে অবৈধ ভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। একই ভাবে উপজেলা শহরের থানা ব্রীজ থেকে পীরতলা বাজারের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত খালের উভয় পাড়ের অধিকাংশ দোকান মালিকরা খালের জমি ভরাট করে তাদের দোকানের আয়াতন বৃদ্ধি করে ভোগদখল করছেন। কয়েক বছর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদারদের দোকান ঘর ও স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা প্রদান করলেও মাস খানেক কাজ বন্ধ রাখা হলেও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ফেলা হয় জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক বেদখল হওয়া রেকর্ডিও সরকারী খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিস এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাঝে মধ্যে নোটিশ দিলেও অজানা কারণে উচ্ছেদাভিযান থেমে গেছে। আর এ কারনেই অবৈধ দখলদাররা তাদের দোকান ঘর না সরিয়ে দোকান ঘর চালু করেছেন। শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া ও আঠারগাছিয়া, দুমকি সাতানি মৌজার এসব সরকারি খালের দুথপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি চাষাবাদে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবিলম্বে ওইসব খালের সকল অবৈধ্য স্থাপনা দোকান ঘর উচ্ছেদের দাবী করেছেন ভূক্তভোগী স্থানীয় জনসাধারণ।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ভূমি আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদের কোন তথ্য আমার জানা নেই। ফাইল দেখতে হবে। নূতন করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক স্যারের
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে সরকারি খাস জমির রেকর্ডি ও ১০টি খাল ভরাট ও দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি খালের খাস জমিতে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান ঘর ও অবৈধস্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর এভাবেই কৃষি প্রধান এলাকার সেচ সুবিধার সহায়ক সরকারী রেকর্ডিও খালগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা শহর সংলগ্ন পিরতলা বাজারের খাল, আংঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি খাল, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলার খাল, মুন্সির হাটে ফেদিয়ার খাল, কচ্ছপিয়া, গোদার খাল, মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার সংলগ্ন খালসহ অন্তত ১০টি রেকর্ডিও সরকারী খাল ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের দখলীয় পৈত্রিক ও রেকর্ডিও সম্পত্তির অগ্রভাগ দাবিতে সরকারী খাল ভরাট করে দোকান ঘর ও স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নিচ্ছেন। সরেজমিন দেখা যায়, আংঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি মৌজার ২২৭নং খতিয়ানে ৪৩৭ নং দাগের রেকর্ডিও সরকারি খালটি আস্তে আস্তে ভরাট ও বেদখল হওয়ায় দুমকি সাতানী ও আঠারোগাছিয়া মৌজার প্রায় কয়েকশথ হেক্টর আবাদি জমির সেচের পানি উঠা নামা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। পিরতলা বাজার সংলগ্ন খালটি ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও খালটিতে অপরিকল্পিত ভাবে ময়লা আবর্জনা ফালানোর কারণে ও দূগন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জামলা খালটি ওয়াপদা ভেরিবাঁধে আটকে রাখায় এবং ১০০গজের ব্যবধানে ডানিডা সড়কের আরও একটি বাঁধ নির্মিত হওয়ায় খালটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ বদ্ধ খালের সরকারী রেকর্ডি জমি ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে স্থানীয় মালিকরা সম্পত্তির সাথে মিলিয়ে ভোগদখল করছেন। এভাবে পানি চলাচলের রেকর্ডিও খাল বেদখল ও ভরাট হয়ে অস্তিত্বের সংকটে পরায় ওই এলাকার কৃষি জমির চাষাবাদে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেচ সুবিধা বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় প্রতি বছর ফসলহানীর ঝুকিতে পড়েছে কৃষকরা।দুমকি সাতানী, ও শ্রীরারামপু ইউনিয়নের চরবয়ড়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের, কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুমকি সাতানী, মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার, এবং চরবয়ড়া গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অন্যান্যদের মতো সাতানী খালটি ভরাট করে অবৈধ ভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। একই ভাবে উপজেলা শহরের থানা ব্রীজ থেকে পীরতলা বাজারের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত খালের উভয় পাড়ের অধিকাংশ দোকান মালিকরা খালের জমি ভরাট করে তাদের দোকানের আয়াতন বৃদ্ধি করে ভোগদখল করছেন। কয়েক বছর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদারদের দোকান ঘর ও স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা প্রদান করলেও মাস খানেক কাজ বন্ধ রাখা হলেও পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ফেলা হয় জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক বেদখল হওয়া রেকর্ডিও সরকারী খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিস এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাঝে মধ্যে নোটিশ দিলেও অজানা কারণে উচ্ছেদাভিযান থেমে গেছে। আর এ কারনেই অবৈধ দখলদাররা তাদের দোকান ঘর না সরিয়ে দোকান ঘর চালু করেছেন। শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া ও আঠারগাছিয়া, দুমকি সাতানি মৌজার এসব সরকারি খালের দুথপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি চাষাবাদে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবিলম্বে ওইসব খালের সকল অবৈধ্য স্থাপনা দোকান ঘর উচ্ছেদের দাবী করেছেন ভূক্তভোগী স্থানীয় জনসাধারণ।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ভূমি আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদের কোন তথ্য আমার জানা নেই। ফাইল দেখতে হবে। নূতন করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক স্যারের