গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া মাওনা আঞ্চলিক সড়কের বড়চালা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান।
নিহতরা হলেন—বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, ছেলে আবু হুমায়রা, সিএনজি যাত্রী শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম এবং চালক মেহেদী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মাওনা এলাকা থেকে ভাড়ায় চালিত সিএনজিতে ৪ জন যাত্রী কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সিএনজিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই সিএনজি যাত্রী জাহিদ ও তার ছেলে নিহত হন। এ সময় জাহিদের স্ত্রী, যাত্রী সফিকুল ইসলাম এবং চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কুমুদিনী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদের স্ত্রী নাসরিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সফিকুল ইসলামকে শ্রীপুর আল হেরা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিএনজি অটোরিকশার চালক মেহেদী।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন নিহতদের স্বজনরা। তারা মরদেহগুলো সনাক্ত করেন এবং দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকের শাস্তি দাবি করেন।
কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুরুজ্জামান বলেন, “কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে।”
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া মাওনা আঞ্চলিক সড়কের বড়চালা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান।
নিহতরা হলেন—বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, ছেলে আবু হুমায়রা, সিএনজি যাত্রী শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম এবং চালক মেহেদী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মাওনা এলাকা থেকে ভাড়ায় চালিত সিএনজিতে ৪ জন যাত্রী কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সিএনজিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই সিএনজি যাত্রী জাহিদ ও তার ছেলে নিহত হন। এ সময় জাহিদের স্ত্রী, যাত্রী সফিকুল ইসলাম এবং চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কুমুদিনী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদের স্ত্রী নাসরিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সফিকুল ইসলামকে শ্রীপুর আল হেরা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিএনজি অটোরিকশার চালক মেহেদী।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন নিহতদের স্বজনরা। তারা মরদেহগুলো সনাক্ত করেন এবং দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকের শাস্তি দাবি করেন।
কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুরুজ্জামান বলেন, “কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে।”