alt

সারাদেশ

স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে ভুল তথ্য, বাল্যবন্ধুদের উদ্যোগে আড়াল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে স্থাপিত ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে’ জন্মতারিখসহ নানা তথ্যগত অসংগতি ধরা পড়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার দুপুরে লাল কাপড় দিয়ে সেটি ঢেকে দেন তাঁর সহযোদ্ধা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে এই ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন করা হয়। এটি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিইডি)। গত বছরের ১৬ জুলাই এই ফটকের সামনেই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ।

স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে লেখা হয়েছে, ‘রংপুরের ছেলে শহীদ আবু সাঈদ। জালেম ও জুলুমের বিরুদ্ধে যার শির ছিল চির উন্নত। তিনি বলতেন, “প্রয়োজনে শহীদ হব, তবু মাথা নত করব না।” ১৬ জুলাই আসমানের দিকে দুই হাত প্রসারিত করে শাহাদাত বরণ করলেন। এরপরই সারা বাংলাদেশ জেগে ওঠে অনন্ত বিপ্লবের ওয়াদা নিয়ে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, তথ্য বিভ্রাটের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক শামসুর রহমান, আরমান হোসেন এবং আবু সাঈদের বাল্যবন্ধু মাহিদ হাসান মেমোরি স্ট্যাম্পটি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন।

শামসুর রহমান বলেন, “প্রথমত, আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু সেটি সেখানে লেখা হয়নি। দ্বিতীয়ত, শহীদ আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত ছিল, কিন্তু সেখানে লেখা হয়েছে দুই হাত আসমানের দিকে ছিল। আর এটি যে স্পষ্টত একটি পুলিশি হত্যাকাণ্ড, সেটিও উল্লেখ করা হয়নি।” তিনি আরও জানান, আবু সাঈদের জন্ম ২০০০ সালের ১০ ডিসেম্বর, কিন্তু সেখানে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি লেখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক আরমান হোসেন বলেন, “আবু সাঈদের মৃত্যু এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সুতরাং এ নিয়ে ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাঁর ইতিহাস বিকৃত বা খামখেয়ালিভাবে লেখা আমরা মেনে নেব না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন-অর রশিদ জানান, স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল। উদ্বোধনের আগে এটি ঢাকা অবস্থায় ছিল বলে তাঁরা দেখতে পাননি। ভুল তথ্যের কারণে শিক্ষার্থীরা সেটি গ্রহণ করেননি এবং এটি আবার ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনের চেষ্টা চলছে।

ছবি

সর্বত্র এখন সুলভ মূল্যে মিলছে পুষ্টিকর ড্রাগন ফল

বরিশালে নিজ ঘর থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

কুয়াকাটায় নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬৪১

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

সুন্দরগঞ্জে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

গণতন্ত্রের চূড়ান্ত বিজয় হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে: খায়রুল কবির খোকন

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বগুড়ায় বিএনপির শোক মিছিল

ছবি

সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টেন্ট (সাফা) এর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

ছবি

গাজীপুরে কাভার্ড ভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত

ছবি

বিস্পোক এআই রেফ্রিজারেটরের সাথে বিনামূল্যে মাইক্রোওয়েভ ওভেন

ছবি

ক্রেতাদের জন্য রিভো বাংলাদেশের ‘মুনসুন অফার’

দৌলতদিয়ায় যৌনকর্মীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়

ছবি

ঈশ্বরদীর চরাঞ্চল থেকে অস্ত্র, গুলি, কংকালসহ গ্রেপ্তার ৩

জুলাই শহীদদের স্মরণে ৮৬৪ স্থানে ফলক স্থাপন করা হবে : উপদেষ্টা

আনোয়ারায় লাখ পিস ইয়াবাসহ নারী আটক

ছবি

ভালুকায় রাম্বুটান চাষ করে সফল দুই উদ্যোক্তা

বগুড়ায় যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

হাকালুকি হাওরে চলছে পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব

ঝিকরগাছায় এসিড নিক্ষেপের আসামি জসীম গ্রেপ্তার

ছবি

সরকারি খাল প্রভাবশালীদের দখলে, সেচ সুবিধা বঞ্চিত কৃষক

হবিগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের পাশ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ছবি

বদরগঞ্জে গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারায় সফল কাউসার

ক্যাম্পাসের পুকুরে ডুবে ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পাঁচবিবিতে পরিত্যক্ত জমিতে ড্রাগন আবাদে লাভবান ২ ভাই

নাটোর বিএনপির মৌন মিছিল

ছবি

টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র : অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে সম্ভাবনাময় জাতীয় সম্পদ

হিলিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

ভারি বর্ষণে আমন বীজতলায় পচন, বিপাকে কৃষক

সরিষাবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ

মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

মহেশপুরে দলিল লেখকদের আধুনিক ব্যারাক নির্মাণ

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

ছবি

সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের ভাঙা বাঁশের সাঁকো মেরামতে প্রশাসন

মির্জাগঞ্জে বাবা ছেলেসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

tab

সারাদেশ

স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে ভুল তথ্য, বাল্যবন্ধুদের উদ্যোগে আড়াল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে স্থাপিত ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে’ জন্মতারিখসহ নানা তথ্যগত অসংগতি ধরা পড়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার দুপুরে লাল কাপড় দিয়ে সেটি ঢেকে দেন তাঁর সহযোদ্ধা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে এই ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন করা হয়। এটি বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিইডি)। গত বছরের ১৬ জুলাই এই ফটকের সামনেই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ।

স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পে লেখা হয়েছে, ‘রংপুরের ছেলে শহীদ আবু সাঈদ। জালেম ও জুলুমের বিরুদ্ধে যার শির ছিল চির উন্নত। তিনি বলতেন, “প্রয়োজনে শহীদ হব, তবু মাথা নত করব না।” ১৬ জুলাই আসমানের দিকে দুই হাত প্রসারিত করে শাহাদাত বরণ করলেন। এরপরই সারা বাংলাদেশ জেগে ওঠে অনন্ত বিপ্লবের ওয়াদা নিয়ে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, তথ্য বিভ্রাটের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক শামসুর রহমান, আরমান হোসেন এবং আবু সাঈদের বাল্যবন্ধু মাহিদ হাসান মেমোরি স্ট্যাম্পটি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন।

শামসুর রহমান বলেন, “প্রথমত, আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু সেটি সেখানে লেখা হয়নি। দ্বিতীয়ত, শহীদ আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত ছিল, কিন্তু সেখানে লেখা হয়েছে দুই হাত আসমানের দিকে ছিল। আর এটি যে স্পষ্টত একটি পুলিশি হত্যাকাণ্ড, সেটিও উল্লেখ করা হয়নি।” তিনি আরও জানান, আবু সাঈদের জন্ম ২০০০ সালের ১০ ডিসেম্বর, কিন্তু সেখানে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি লেখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক আরমান হোসেন বলেন, “আবু সাঈদের মৃত্যু এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সুতরাং এ নিয়ে ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাঁর ইতিহাস বিকৃত বা খামখেয়ালিভাবে লেখা আমরা মেনে নেব না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন-অর রশিদ জানান, স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্পটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল। উদ্বোধনের আগে এটি ঢাকা অবস্থায় ছিল বলে তাঁরা দেখতে পাননি। ভুল তথ্যের কারণে শিক্ষার্থীরা সেটি গ্রহণ করেননি এবং এটি আবার ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনের চেষ্টা চলছে।

back to top