শহরের পাশাপাশি এখন গ্রামের ছোট-বড় ফলের দোকানেও সহজেই মিলছে পুষ্টিগুণে ভরপুর বর্ষাকালীন সুস্বাদু ড্রাগন ফল। এক সময় বিদেশ থেকে আমদানি হলেও এখন ফলটি শোভা পাচ্ছে গ্রামের ঘরের পাশেই। কেউ ছাদে, কেউ টবে, আবার কেউ কয়েকটি গাছের সঙ্গে ড্রাগন ফল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজেদের প্রয়োজনে চাষ করছেন।
বাংলাদেশে পুষ্টিকর ফলের নতুন সংযোজন হিসেবে ড্রাগন ফল এখন ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। শহর পেরিয়ে গ্রামের হাটবাজারেও এটি সমাদৃত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়েও চাষাবাদ শুরু হয়েছে। মীরসরাই উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এখানে নিবন্ধিত চাষির সংখ্যা ৫০ জন। প্রতি হেক্টরে গড়ে ১০ টন ফল উৎপাদন হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রতি টনে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ফলে প্রতিবছর গড়ে দেড় কোটি টাকার ড্রাগন ফল উৎপাদিত হচ্ছে এই উপজেলায়।
কিছু বছর আগেও এ ফল সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। কেউ কেউ শখের বসে চাষ শুরু করেছিলেন, এখন সেটাই বাণিজ্যিক রূপ পেয়েছে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম ঐুষড়পবৎবঁং ঁহফধঃঁং। ক্যাকটাস জাতীয় এই গাছটি দেখতে কিছুটা অদ্ভুত হলেও বর্তমানে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন না হওয়ায় খরচ কম, আর লাভ বেশি। মীরসরাইয়ের নাহার এগ্রোর উদ্যোগে সর্ববৃহৎ আকারে এই চাষ শুরু হয়েছে। শুরুতে নিজেদের খাওয়ার জন্য ছোট পরিসরে চাষ শুরু করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছেন ড্রাগন চাষি রাকিবুল ইসলাম টুটুল।
তিনি জানান, নাহার এগ্রো গ্রুপের পশ্চিম অলিনগর, সোনাপাহাড়, করেরহাট, কুমিরা ও ফটিকছড়ি এলাকায় ড্রাগনের বাগান রয়েছে। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে চাহিদা ও উৎপাদন দুটোই বেড়ে যাওয়ায় একই আয়ের পরিমাণ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
দশ বছর আগে থাইল্যান্ড ভ্রমণের সময় কয়েকটি চারা এনে শখের বশে এই ফলের চাষ শুরু করেছিলেন টুটুল। এখন তার বাগানের পরিমাণ প্রায় ৫ একর, আর শত শত কৃষক এই ফল চাষে উৎসাহী হয়েছেন। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এখন কয়েকজন করে ড্রাগন ফল চাষ করছেন।
উপজেলার সাহেরখালীর শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ইছাখালীর মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই ড্রাগন ফল চাষ করে সফল হয়েছেন। মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, ‘এলাকার পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলের পরিবেশ ড্রাগন ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি।’
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
শহরের পাশাপাশি এখন গ্রামের ছোট-বড় ফলের দোকানেও সহজেই মিলছে পুষ্টিগুণে ভরপুর বর্ষাকালীন সুস্বাদু ড্রাগন ফল। এক সময় বিদেশ থেকে আমদানি হলেও এখন ফলটি শোভা পাচ্ছে গ্রামের ঘরের পাশেই। কেউ ছাদে, কেউ টবে, আবার কেউ কয়েকটি গাছের সঙ্গে ড্রাগন ফল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজেদের প্রয়োজনে চাষ করছেন।
বাংলাদেশে পুষ্টিকর ফলের নতুন সংযোজন হিসেবে ড্রাগন ফল এখন ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। শহর পেরিয়ে গ্রামের হাটবাজারেও এটি সমাদৃত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়েও চাষাবাদ শুরু হয়েছে। মীরসরাই উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এখানে নিবন্ধিত চাষির সংখ্যা ৫০ জন। প্রতি হেক্টরে গড়ে ১০ টন ফল উৎপাদন হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রতি টনে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ফলে প্রতিবছর গড়ে দেড় কোটি টাকার ড্রাগন ফল উৎপাদিত হচ্ছে এই উপজেলায়।
কিছু বছর আগেও এ ফল সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। কেউ কেউ শখের বসে চাষ শুরু করেছিলেন, এখন সেটাই বাণিজ্যিক রূপ পেয়েছে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম ঐুষড়পবৎবঁং ঁহফধঃঁং। ক্যাকটাস জাতীয় এই গাছটি দেখতে কিছুটা অদ্ভুত হলেও বর্তমানে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন না হওয়ায় খরচ কম, আর লাভ বেশি। মীরসরাইয়ের নাহার এগ্রোর উদ্যোগে সর্ববৃহৎ আকারে এই চাষ শুরু হয়েছে। শুরুতে নিজেদের খাওয়ার জন্য ছোট পরিসরে চাষ শুরু করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছেন ড্রাগন চাষি রাকিবুল ইসলাম টুটুল।
তিনি জানান, নাহার এগ্রো গ্রুপের পশ্চিম অলিনগর, সোনাপাহাড়, করেরহাট, কুমিরা ও ফটিকছড়ি এলাকায় ড্রাগনের বাগান রয়েছে। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে চাহিদা ও উৎপাদন দুটোই বেড়ে যাওয়ায় একই আয়ের পরিমাণ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
দশ বছর আগে থাইল্যান্ড ভ্রমণের সময় কয়েকটি চারা এনে শখের বশে এই ফলের চাষ শুরু করেছিলেন টুটুল। এখন তার বাগানের পরিমাণ প্রায় ৫ একর, আর শত শত কৃষক এই ফল চাষে উৎসাহী হয়েছেন। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এখন কয়েকজন করে ড্রাগন ফল চাষ করছেন।
উপজেলার সাহেরখালীর শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ইছাখালীর মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই ড্রাগন ফল চাষ করে সফল হয়েছেন। মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, ‘এলাকার পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলের পরিবেশ ড্রাগন ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি।’