উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : উলিপুরে রাতের আঁধারে রড ছাড়াই সড়কে আরসিসি ঢালাই -সংবাদ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে রাতের অন্ধকারে আরসিসি সড়কে রড ছাড়াই ঢালাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকরা পালিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল শনিবার রাত এগারোটার দিকে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হামিদ বাড়ির সামন হতে নাড়িকেলবাড়ী খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সড়কে। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউজিআইপি) আওতাধীন পৌর সদরের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হামিদ বাড়ির সামন হতে নাড়িকেলবাড়ী খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গামী সড়কে ২ হাজার ২০ মিটারের মধ্যে ৬শ ৭৫ মিটার সড়কে আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মানের বরাদ্দ হয়। প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে।
মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটির কাজ পান। ওই কাজ লালমনিরহাট জেলার জনৈক শাহাদৎ হোসেন ও কুড়িগ্রামের রব্বানী নামে দুই ব্যক্তি সাব-ঠিকাদার হিসাবে কাজ পরিচালনা করে আসছেন। এলাকাবাসী জানায়, কাজের শুরু থেকে সড়কের মাটি তুলে খানা খন্দ সৃষ্টি করে রাখা হয়। এরপর অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে ধীরে ধীরে কাজ করার কারনে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সড়কের কাজে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেই ঠিকাদার দিনের পর দিন কাজ বন্ধ রাখেন। এভাবেই সড়কটি ফেলে রাখায় তা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ওই এলাকার মঞ্জুরুল করিম, রফিকুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, বিলকিস বেগম, শিরিন খানসহ অনেকে জানান, শনিবার রাতের আধারে পৌরসভার প্রকৌশলীদের যোগসাজশে ঠিকাদারের লোকজন রড ছাড়াই সড়কের ঢালাই এর কাজ শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিটারের মত সড়কে রড ছাড়াই ঢালাই এর কাজ করেন। এ সময় পথচারীসহ স্থানীয়দের বিষয়টি নজরে আসলে তারা প্রতিবাদ করলে শ্রমিকরা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে কাজ চালিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে শ্রমিকসহ ঠিকাদারের লোকজন কাজ অসমাপ্ত রেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার শাহাদৎ হোসেন ও রব্বানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। এ কারনে তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। উলিপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম রাতের অন্ধকারে সড়কে ঢালাইয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের শ্রমিক কম থাকায় রড বেঁধে সড়কে ফেলে ঢালাই করতে সমস্যা হয়েছে। সিমেন্ট মেশানো ঢালাই সামগ্রি বেশি থাকায় তা সড়কে ফেলা হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা আপত্তি করায় তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওই সময় পৌরসভার দায়িত্বশীল কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, এতো ছোট বিষয় নিয়ে সোরগোল না করাই ভালো।
উলিপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা জানান, এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : উলিপুরে রাতের আঁধারে রড ছাড়াই সড়কে আরসিসি ঢালাই -সংবাদ
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামের উলিপুরে রাতের অন্ধকারে আরসিসি সড়কে রড ছাড়াই ঢালাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকরা পালিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল শনিবার রাত এগারোটার দিকে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হামিদ বাড়ির সামন হতে নাড়িকেলবাড়ী খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সড়কে। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউজিআইপি) আওতাধীন পৌর সদরের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল হামিদ বাড়ির সামন হতে নাড়িকেলবাড়ী খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গামী সড়কে ২ হাজার ২০ মিটারের মধ্যে ৬শ ৭৫ মিটার সড়কে আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মানের বরাদ্দ হয়। প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে।
মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কটির কাজ পান। ওই কাজ লালমনিরহাট জেলার জনৈক শাহাদৎ হোসেন ও কুড়িগ্রামের রব্বানী নামে দুই ব্যক্তি সাব-ঠিকাদার হিসাবে কাজ পরিচালনা করে আসছেন। এলাকাবাসী জানায়, কাজের শুরু থেকে সড়কের মাটি তুলে খানা খন্দ সৃষ্টি করে রাখা হয়। এরপর অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে ধীরে ধীরে কাজ করার কারনে স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সড়কের কাজে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেই ঠিকাদার দিনের পর দিন কাজ বন্ধ রাখেন। এভাবেই সড়কটি ফেলে রাখায় তা ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ওই এলাকার মঞ্জুরুল করিম, রফিকুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, বিলকিস বেগম, শিরিন খানসহ অনেকে জানান, শনিবার রাতের আধারে পৌরসভার প্রকৌশলীদের যোগসাজশে ঠিকাদারের লোকজন রড ছাড়াই সড়কের ঢালাই এর কাজ শুরু করেন। প্রায় ১৫ মিটারের মত সড়কে রড ছাড়াই ঢালাই এর কাজ করেন। এ সময় পথচারীসহ স্থানীয়দের বিষয়টি নজরে আসলে তারা প্রতিবাদ করলে শ্রমিকরা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে কাজ চালিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে শ্রমিকসহ ঠিকাদারের লোকজন কাজ অসমাপ্ত রেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার শাহাদৎ হোসেন ও রব্বানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। এ কারনে তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। উলিপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম রাতের অন্ধকারে সড়কে ঢালাইয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের শ্রমিক কম থাকায় রড বেঁধে সড়কে ফেলে ঢালাই করতে সমস্যা হয়েছে। সিমেন্ট মেশানো ঢালাই সামগ্রি বেশি থাকায় তা সড়কে ফেলা হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা আপত্তি করায় তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওই সময় পৌরসভার দায়িত্বশীল কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, এতো ছোট বিষয় নিয়ে সোরগোল না করাই ভালো।
উলিপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা জানান, এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।