কক্সবাজার : “বিচার সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জোরদারকরণ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া -সংবাদ
বিচারপ্রার্থী ও সেবাগ্রহীতাদের সহায়তায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৪ ঘণ্টার ‘বিচারিক হেল্পলাইন’ চালু করতে যাচ্ছে। শিগগিরই এই সেবা সপ্তাহের সাত দিন, ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে “বিচার সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জোরদারকরণ” শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এই হেল্পলাইন চালু হয়। প্রথমে এটি শুধুমাত্র অফিস সময়ের মধ্যে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) চালু ছিল।”
বর্তমানে সহকারী রেজিস্ট্রারদের মাধ্যমে পরিচালিত এই হেল্পলাইন থেকে সরাসরি ফোনের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন কার্যকর হলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য সেবাগ্রহণ সহজতর হবে বলে জানান রেজিস্ট্রার জেনারেল।
আলোচনায় তিনি বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার নিয়েও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবটিতে রয়েছে একটি খসড়া অধ্যাদেশ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রয়োজনীয় বিধিবিধান সংশোধনের সুপারিশ।”
প্রস্তাবিত জুডিশিয়াল সেক্রেটারিয়েট গঠিত হলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব প্রশাসনিক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে আসবে, যা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কর্মশালায় রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, “বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিচার বিভাগের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
কর্মশালাটি আয়োজন করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (ঘওগঈ), সহযোগিতায় সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (টঘউচ), এবং সমর্থনে সুইডিশ দূতাবাস। এতে সভাপতিত্ব করেন ঘওগঈ-এর মহাপরিচালক মো. হিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদ মাহবুবুল হক, টঘউচ’র উপদেষ্টা রোমানা শোয়াইগার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম চৌধুরী ও বদরুদ্দোজা বাবু প্রধান সক্ষমতা উন্নয়ন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সহায়তা ডেস্ক।
কক্সবাজার : “বিচার সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জোরদারকরণ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া -সংবাদ
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
বিচারপ্রার্থী ও সেবাগ্রহীতাদের সহায়তায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৪ ঘণ্টার ‘বিচারিক হেল্পলাইন’ চালু করতে যাচ্ছে। শিগগিরই এই সেবা সপ্তাহের সাত দিন, ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে “বিচার সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জোরদারকরণ” শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এই হেল্পলাইন চালু হয়। প্রথমে এটি শুধুমাত্র অফিস সময়ের মধ্যে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) চালু ছিল।”
বর্তমানে সহকারী রেজিস্ট্রারদের মাধ্যমে পরিচালিত এই হেল্পলাইন থেকে সরাসরি ফোনের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন কার্যকর হলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য সেবাগ্রহণ সহজতর হবে বলে জানান রেজিস্ট্রার জেনারেল।
আলোচনায় তিনি বিচার বিভাগের কাঠামোগত সংস্কার নিয়েও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবটিতে রয়েছে একটি খসড়া অধ্যাদেশ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রয়োজনীয় বিধিবিধান সংশোধনের সুপারিশ।”
প্রস্তাবিত জুডিশিয়াল সেক্রেটারিয়েট গঠিত হলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব প্রশাসনিক কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে আসবে, যা বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কর্মশালায় রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, “বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিচার বিভাগের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
কর্মশালাটি আয়োজন করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (ঘওগঈ), সহযোগিতায় সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (টঘউচ), এবং সমর্থনে সুইডিশ দূতাবাস। এতে সভাপতিত্ব করেন ঘওগঈ-এর মহাপরিচালক মো. হিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইদ মাহবুবুল হক, টঘউচ’র উপদেষ্টা রোমানা শোয়াইগার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম চৌধুরী ও বদরুদ্দোজা বাবু প্রধান সক্ষমতা উন্নয়ন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সহায়তা ডেস্ক।