বাগাতিপাড়া (নাটোর) : ওষুধহীন কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবাবঞ্চনায় হাজারো মানুষ -সংবাদ
কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন চিকিৎসা নিতে, কিন্তু ফিরতে হয় ওষুধ না পেয়েই। নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এমন চিত্র এখন প্রতিদিনের। উপজেলার ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রায় প্রতিটিতেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ওষুধ সংকট।
রোগীরা আসছেন, দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, তবে নেই মৌলিক ও জরুরি ওষুধ। নেই জ্বর বা ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল, নেই পানিশূন্যতায় ব্যবহৃত ওআরএস, নেই গ্যাস্ট্রিকের জন্য ফ্যামোটিডিন বা অ্যান্টিবায়োটিক।
ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। রোববার বাগাতিপাড়ার বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ রাখার তাকগুলো ফাঁকা। রোগীরা বসে আছেন, কেউবা হতাশ হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। টুনিপাড়া গ্রামের গৃহবধূ মর্জিনা খাতুন বলেন,“জ্বর নিয়ে এসেছিলাম।
ডাক্তার আছেন ঠিকই, কিন্তু ওষুধ নেই। তাহলে আমরা যাব কোথায়?” চাঁদপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন,“গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পুরোনো। আগে এখানে আসলেই ওষুধ পেতাম। এখন দোকান থেকে কিনতে হয়। খরচ বাড়ছে, সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে।”একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, সর্বশেষ ওষুধ পেয়েছেন প্রায় ছয় মাস আগে। তখন যে পরিমাণ এসেছিল, তা এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এরপর আর কিছুই আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা আছে, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে অন্তত ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করার কথা।
এর মধ্যে গর্ভবতী নারীদের জন্য আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড, শিশুদের জন্য ওআরএস এবং সাধারণ ব্যথা বা সংক্রমণের জন্য মৌলিক ওষুধও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্লিনিকেই এসবের কিছুই নেই। বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সূচনা মনোহরা বলেন, “বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আশা করছি দ্রুতই ওষুধ সরবরাহ শুরু হবে।”স্থানীয়ভাবে অনেকেই মনে করছেন, এই দীর্ঘ ওষুধ সংকট শুধু স্বাস্থ্যসেবাকে বাধাগ্রস্ত করছে না, সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থাও কমিয়ে দিচ্ছে।
বাগাতিপাড়া (নাটোর) : ওষুধহীন কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবাবঞ্চনায় হাজারো মানুষ -সংবাদ
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন চিকিৎসা নিতে, কিন্তু ফিরতে হয় ওষুধ না পেয়েই। নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এমন চিত্র এখন প্রতিদিনের। উপজেলার ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রায় প্রতিটিতেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ওষুধ সংকট।
রোগীরা আসছেন, দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, তবে নেই মৌলিক ও জরুরি ওষুধ। নেই জ্বর বা ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল, নেই পানিশূন্যতায় ব্যবহৃত ওআরএস, নেই গ্যাস্ট্রিকের জন্য ফ্যামোটিডিন বা অ্যান্টিবায়োটিক।
ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। রোববার বাগাতিপাড়ার বেশ কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ রাখার তাকগুলো ফাঁকা। রোগীরা বসে আছেন, কেউবা হতাশ হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। টুনিপাড়া গ্রামের গৃহবধূ মর্জিনা খাতুন বলেন,“জ্বর নিয়ে এসেছিলাম।
ডাক্তার আছেন ঠিকই, কিন্তু ওষুধ নেই। তাহলে আমরা যাব কোথায়?” চাঁদপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন,“গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পুরোনো। আগে এখানে আসলেই ওষুধ পেতাম। এখন দোকান থেকে কিনতে হয়। খরচ বাড়ছে, সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে।”একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, সর্বশেষ ওষুধ পেয়েছেন প্রায় ছয় মাস আগে। তখন যে পরিমাণ এসেছিল, তা এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এরপর আর কিছুই আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা আছে, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে অন্তত ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করার কথা।
এর মধ্যে গর্ভবতী নারীদের জন্য আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড, শিশুদের জন্য ওআরএস এবং সাধারণ ব্যথা বা সংক্রমণের জন্য মৌলিক ওষুধও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্লিনিকেই এসবের কিছুই নেই। বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সূচনা মনোহরা বলেন, “বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আশা করছি দ্রুতই ওষুধ সরবরাহ শুরু হবে।”স্থানীয়ভাবে অনেকেই মনে করছেন, এই দীর্ঘ ওষুধ সংকট শুধু স্বাস্থ্যসেবাকে বাধাগ্রস্ত করছে না, সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থাও কমিয়ে দিচ্ছে।