লালমাই (কুমিল্লা) : খানাখন্দে বেহাল সড়ক -সংবাদ
যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই বল্লেই চলে বরুড়ার সড়ক গুলোতে। কুমিল্লা থেকে সরাসরি বরুড়া কিংবা বিজরা বাজার থেকে বরুড়া এই সড়ক গুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। এছাড়া, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জুড়ে ৩৩৫টি গ্রামের সড়কগুলো বেশির ভাগই কোন প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যুগের পর যুগ বরুড়ার মাটিতে শিল্পপতি, কিংবা দেশ বরন্য রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়েছে কিন্তু জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
রাস্তার বেহাল দশার কারনে শাকিল হোসেন নামক একজন বলেন, আমার বাড়ি উপজেলার ধনিশ্বর গ্রামে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন কুমিল্লা থেকে বাড়ি পর্যন্ত মোটরসাইকেল যাতায়ত করি কিন্তু শিলমুড়ি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সাথে রোড দিয়েই বেশির ভাগ সময় আসা যাওয়া করি। দীর্ঘ কয়েক বছর হয়েছে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু কার কাছে বলবো। প্রতিকার কোথায় গেলে পাবো। আমরা সাধারন মানুষ আমাদের সময়ের দাম নেই। এসময় তিনি রাগান্বিত হয়েও অনেক কথা বলতে থাকেন। বিজরা বাজারে কামাল হোসেন নামক একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ তাকে নিয়ে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবো। কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। রাস্তার বেহাল দশার কারনে মন চাইছেনা। রাস্তা গুলো যদি দ্রুত মেরামত করে দিতো। তাহলে, আমাদের কষ্ট লাগব হতো। বৃষ্টি হলেই সড়কে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে, যার কারনে প্রায় স্থানে দূর্ঘটনার প্রবণতাও বেড়েছে। এছাড়া বৃষ্টির দিনে গ্রামীণ সড়ক গুলোও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। এমতাবস্থায় সড়ক মেরামত ও গ্রামীণ সড়ক গুলোর উন্নয়ন কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, বরুড়ায় সমগ্র উপজেলা জুড়ে ৩০০ কি.মি. নতুন সড়কের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন দিলে যথাযত পক্রিয়া শেষ করে আমরা সড়ক গুলোর কাজ শুরু করবো। তাছাড়া, পুরাতন সড়কগুলোর জন্য মেরামত বাজেট আমাদের কম। কিন্তু রাস্তাই মেরামতের যোগ্য হয়ে পরেছে।
এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু-এমং মারমা মং বলেন, যে সমস্ত রাস্তগুলো বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ সে গুলো আমি পরিদর্শন করেছি। এবং স্থানীয় সরকারের প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানিয়েছি, তারা বলেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো মেরামত করে দিবে।
গোবিন্দগঞ্জ
প্রতিনিধি, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে জানান, গোবিন্দগঞ্জে সংস্কার না হওয়ায় এবং বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সীমহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিশ^নাথপুর-বালুয়াবাজার এলাকায় চলাচলকারী ৪টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ এমপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবী জানিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পায়নি এলাকার মানুষ। উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর, বিশ^নাথ পুর শাকপালা সাতারপাড়া, সাপগাছি হাতিয়া দহ সহ ওই এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ করতোয়া নদীর পাড় দিয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচলা করে। কিন্তু, বন্যায় বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে যাওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভ্যান, অটোরিক্স, বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল চলাচলে অযোগ্য ও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পরেছে। মাঝে মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় অনেকেই। বিশেষ করে হাটবাজারে কৃষিপন্য সহ মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বাজারে না এসে বাড়ী থেকেই কম দামে তাদের কৃষি পন্য বিক্রি করে দেয় অকে কৃষক। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা প্রায় ২/৩ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বালুয়া বাজার হয়ে গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। স্থানীয়রা জানান অসুস্থ রোগি আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও পরতে নানা বিরম্বনায়। গুরুতর রোগী আনা নেয়া হয় এ্যাম্বুলেন্স চলাচল ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় বেশী ভাগ সঠিক চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আগেই মারা যায়। বিশ^নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সোবাহান আলী বলেন, যাতায়াতের জন্য আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ব্যবহার করা হয়। কিন্ত বাঁধের দুরাবস্থার করনে নিত্যদিনের কাজ কর্ম সারতে পায়ে হেঁটে গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলা করতে হয়। যে কারণে এলাকার কোমলমতির শিশু শিক্ষার্থীদের ভাল কোন বিদ্যালয়ে পড়ানো যায় না। খরা মৌসুমে হাঁটু পরিমাণ বালি আর বৃষ্টি হলে কাঁদায় চলাচল করা কঠিন। একই এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন , ভোটের সময় অনেক নেতাই সড়কটি পাকাকরণ কাজের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। বাঁধের এই সড়কটি দ্রুত পাকাকরনের মাধ্যমে চলাচলের সুযোগ করে দেয়ার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।
লালমাই (কুমিল্লা) : খানাখন্দে বেহাল সড়ক -সংবাদ
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই বল্লেই চলে বরুড়ার সড়ক গুলোতে। কুমিল্লা থেকে সরাসরি বরুড়া কিংবা বিজরা বাজার থেকে বরুড়া এই সড়ক গুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। এছাড়া, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জুড়ে ৩৩৫টি গ্রামের সড়কগুলো বেশির ভাগই কোন প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যুগের পর যুগ বরুড়ার মাটিতে শিল্পপতি, কিংবা দেশ বরন্য রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়েছে কিন্তু জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
রাস্তার বেহাল দশার কারনে শাকিল হোসেন নামক একজন বলেন, আমার বাড়ি উপজেলার ধনিশ্বর গ্রামে জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন কুমিল্লা থেকে বাড়ি পর্যন্ত মোটরসাইকেল যাতায়ত করি কিন্তু শিলমুড়ি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সাথে রোড দিয়েই বেশির ভাগ সময় আসা যাওয়া করি। দীর্ঘ কয়েক বছর হয়েছে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু কার কাছে বলবো। প্রতিকার কোথায় গেলে পাবো। আমরা সাধারন মানুষ আমাদের সময়ের দাম নেই। এসময় তিনি রাগান্বিত হয়েও অনেক কথা বলতে থাকেন। বিজরা বাজারে কামাল হোসেন নামক একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ তাকে নিয়ে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবো। কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। রাস্তার বেহাল দশার কারনে মন চাইছেনা। রাস্তা গুলো যদি দ্রুত মেরামত করে দিতো। তাহলে, আমাদের কষ্ট লাগব হতো। বৃষ্টি হলেই সড়কে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে, যার কারনে প্রায় স্থানে দূর্ঘটনার প্রবণতাও বেড়েছে। এছাড়া বৃষ্টির দিনে গ্রামীণ সড়ক গুলোও যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। এমতাবস্থায় সড়ক মেরামত ও গ্রামীণ সড়ক গুলোর উন্নয়ন কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, বরুড়ায় সমগ্র উপজেলা জুড়ে ৩০০ কি.মি. নতুন সড়কের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন দিলে যথাযত পক্রিয়া শেষ করে আমরা সড়ক গুলোর কাজ শুরু করবো। তাছাড়া, পুরাতন সড়কগুলোর জন্য মেরামত বাজেট আমাদের কম। কিন্তু রাস্তাই মেরামতের যোগ্য হয়ে পরেছে।
এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু-এমং মারমা মং বলেন, যে সমস্ত রাস্তগুলো বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ সে গুলো আমি পরিদর্শন করেছি। এবং স্থানীয় সরকারের প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানিয়েছি, তারা বলেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো মেরামত করে দিবে।
গোবিন্দগঞ্জ
প্রতিনিধি, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে জানান, গোবিন্দগঞ্জে সংস্কার না হওয়ায় এবং বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সীমহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিশ^নাথপুর-বালুয়াবাজার এলাকায় চলাচলকারী ৪টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ এমপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবী জানিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পায়নি এলাকার মানুষ। উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর, বিশ^নাথ পুর শাকপালা সাতারপাড়া, সাপগাছি হাতিয়া দহ সহ ওই এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ করতোয়া নদীর পাড় দিয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচলা করে। কিন্তু, বন্যায় বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে যাওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভ্যান, অটোরিক্স, বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল চলাচলে অযোগ্য ও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পরেছে। মাঝে মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় অনেকেই। বিশেষ করে হাটবাজারে কৃষিপন্য সহ মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বাজারে না এসে বাড়ী থেকেই কম দামে তাদের কৃষি পন্য বিক্রি করে দেয় অকে কৃষক। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা প্রায় ২/৩ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বালুয়া বাজার হয়ে গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। স্থানীয়রা জানান অসুস্থ রোগি আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও পরতে নানা বিরম্বনায়। গুরুতর রোগী আনা নেয়া হয় এ্যাম্বুলেন্স চলাচল ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় বেশী ভাগ সঠিক চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আগেই মারা যায়। বিশ^নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সোবাহান আলী বলেন, যাতায়াতের জন্য আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ব্যবহার করা হয়। কিন্ত বাঁধের দুরাবস্থার করনে নিত্যদিনের কাজ কর্ম সারতে পায়ে হেঁটে গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলা করতে হয়। যে কারণে এলাকার কোমলমতির শিশু শিক্ষার্থীদের ভাল কোন বিদ্যালয়ে পড়ানো যায় না। খরা মৌসুমে হাঁটু পরিমাণ বালি আর বৃষ্টি হলে কাঁদায় চলাচল করা কঠিন। একই এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন , ভোটের সময় অনেক নেতাই সড়কটি পাকাকরণ কাজের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। বাঁধের এই সড়কটি দ্রুত পাকাকরনের মাধ্যমে চলাচলের সুযোগ করে দেয়ার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।