alt

সারাদেশ

আদমদীঘি উপজেলায় শব্দের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেই

প্রতিনিধি, আদমদীঘি (বগুড়া) : সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ সান্তাহার পৌর শহরে ব্যাপক হারে বেড়েছে শব্দ দূষন । উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো, যাবাহনের হাইড্রলিক হর্ণ ব্যবহার মানুষজনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শব্দের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না থাকায় শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, আদমদীঘি ও সান্তাহার এলাকায় শব্দের মাত্রা অনেক আগেই সহনীয় পর্যায় ছড়িয়ে গেছে। ফলে দিনে রাতে নানা শব্দদুষণে অতিষ্ঠ পৌরবাসি। এখন পুরো উপজেলা অসহনীয় শব্দদুষণে অতিষ্ঠ মানুষ। ফলে অল্প বয়সেই শিশুদের দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। এসবের বিরুদ্ধে নেই কোন তদারকি।

উপজেলায় স্কুল-কলেজের সময়সহ নানা সময় বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপনে, পশুর মাংস বিক্রি, কোচিং সেন্টার, বিভিন্ন চিকিৎসকদের ঠিকানা সংবোলিত প্রচার উচ্চ শব্দে মাইকিং হয়। তাছাড়া বিবাহ, পিকিনিকসহ নানা অনুষ্ঠানে প্রায় সারারাত কোন কোন দিন উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার হয়।

আর এসবের বিরুদ্ধে নেই কোন প্রশাসনিক প্রচারণা, পদক্ষেপ। আদমদীঘি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বী বলেন, উচ্চমাত্রা শব্দদুষণে শিক্ষার্থীসহ সব মানুষেরই ক্ষতি হতে পারে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত শব্দদুষণের মধ্যে থাকলে মানুষের শ্রবনশক্তি কমে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ থেকে মানসিক চাপও সৃষ্ঠি হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি অনুযায়ী, নীরব এলাকার রাতে শব্দের সহনীয় মাত্রা ৪০ ডেসিবল (শব্দের একক)। দিনে ৫০ ডেসিবল। আবাসিক এলাকায় রাতে সহনশীল মাত্রা ৪৫ ডেসিবল ও দিনে ৬০ ডেসিবল। শুধু বাণিজ্যিক এলাকায় রাতে ৬০ ডেসিবল ও দিনে ৭০ ডেসিবল। আর শিল্প এলাকায় রাতে সহনীয় মাত্রা ৭০ ডেসিবেল ও দিনে ৭৫ ডেসিবেল।

সাধারনত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বিশেষ অফিস-আদালত এলাকাগুলিকে নীরব এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় শব্দের মাত্রা অনেক বেশি। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ক্ষমতাবলে শব্দদুষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা,২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় যানবাহনের হর্ণ (উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী নিউম্যাটিক, হাইড্রোলিক বা মাল্টি টিউনড) বাজানো নিষেধ। বিধিমালার আওতায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহিৃত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে প্রথমবার জরিমানাসহ বিভিন্ন দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্ত বেশি শব্দের কারণে কোনো যানবাহনের চালকের শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই।

পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আশরুফুজ্জামান বলেন, এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে পশ্চিম বগুড়ার অঞ্চলগুলি শব্দদুষণ ব্যাপব মাত্রায় জড়িয়ে গেছে। বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।

বগুড়া জেলা বিআরটিএ পরিদর্শক ফয়েজ উদ্দীন বলেন, সাধারনত কোনো যানবাহরে হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে, তাতে উচ্চ শব্দ হয়। এই যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেক যানবাহনে হর্ন খুলে নেওয়া হয়। কিন্ত এর দাম কম হওয়ায় আবার তারা লাগিয়ে নেন। এই সংকট সমাধানে হাইড্রোলিক হর্নের দোকানগুলিতে অভিযান চালানো হবে।

শব্দদুষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে, আবাসিক, বাণিজ্যিক,মিশ্র, শিল্প ও নিরব এলাকাগুলো চিহিৃত করে সাইনবোর্ড বা সংকেত ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। বিধিমালায় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। তবে এই উপজেলার কোথাও এ রকম সংকেত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্ঝল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে । প্রশাসনের পাশাপশি সাধারণ জনগন এ বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে শব্দ দূষণ বন্ধ করা সম্ভব।

রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক সংস্কারের দাবিতে রসিক-এর প্রতীকী কফিন নিয়ে বিক্ষোভ

পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

‘অবৈধ’ সম্পদ: ফতুল্লা থানার সাবেক ওসি হাছানের ২ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে নিউমার্কেট মোড়ে বাসে আগুন

ছবি

দশমিনায় দ্বিগুণ লাভে জিঙ্গা চাষে কৃষকরা খুশি

ছবি

নরসিংদীতে রামবুটানে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে

ছবি

বনাঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণী

খোকসায় কনের বাড়িতে ডাকাতি

ছবি

ঝালকাঠিতে আবার শুরু হয়েছে খাঁচায় মাছ চাষ

কুড়িগ্রামে দুই মাদক কারবারি আটক

কাপাসিয়ায় মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে স্কুল দপ্তরি নিহত

ছবি

ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারার হাট দেখে অভিভূত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত

তালায় দুই কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড

ভৈরবে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

ছবি

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দিন দিন কমেছে পাটের আবাদ

নাইক্ষ্যংছড়িতে বার্মিজ সিগারেট, সিএনজিসহ আটক ১

ঢাকা মহানগরের টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

ছবি

বদরগঞ্জে চিকলি নদীর ভাংড়িরঘাটে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্যাতনের অভিযোগ

হবিগঞ্জ পুকুর থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

মোংলায় নবজাতকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

ছবি

আহত ইমন টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না

ভৈরবে ভাত পচিয়ে তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ

সালথায় ইয়াবাসহ পাঁচজন আটক

ছবি

চাটখিলে সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ

শিবগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন

পাকুন্দিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

আগৈলঝাড়ায় আয়রন ব্রিজে কাঠের পাটাতন ২০ গ্রামের মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ

চিতলমারীতে অস্ত্রসহ গ্রাম লাঠিয়াল গ্রেপ্তার

রাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

বরুড়ায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা

দশমিনায় চরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ

শিবগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ীর হামলায় পরিবহন ব্যবসায়ী আহত

ছবি

চুনারুঘাটে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেল ব্রিজ, চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী

মশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না রাসিক

tab

সারাদেশ

আদমদীঘি উপজেলায় শব্দের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেই

প্রতিনিধি, আদমদীঘি (বগুড়া)

সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ সান্তাহার পৌর শহরে ব্যাপক হারে বেড়েছে শব্দ দূষন । উচ্চ শব্দে মাইক বাজানো, যাবাহনের হাইড্রলিক হর্ণ ব্যবহার মানুষজনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শব্দের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না থাকায় শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, আদমদীঘি ও সান্তাহার এলাকায় শব্দের মাত্রা অনেক আগেই সহনীয় পর্যায় ছড়িয়ে গেছে। ফলে দিনে রাতে নানা শব্দদুষণে অতিষ্ঠ পৌরবাসি। এখন পুরো উপজেলা অসহনীয় শব্দদুষণে অতিষ্ঠ মানুষ। ফলে অল্প বয়সেই শিশুদের দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। এসবের বিরুদ্ধে নেই কোন তদারকি।

উপজেলায় স্কুল-কলেজের সময়সহ নানা সময় বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপনে, পশুর মাংস বিক্রি, কোচিং সেন্টার, বিভিন্ন চিকিৎসকদের ঠিকানা সংবোলিত প্রচার উচ্চ শব্দে মাইকিং হয়। তাছাড়া বিবাহ, পিকিনিকসহ নানা অনুষ্ঠানে প্রায় সারারাত কোন কোন দিন উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার হয়।

আর এসবের বিরুদ্ধে নেই কোন প্রশাসনিক প্রচারণা, পদক্ষেপ। আদমদীঘি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বী বলেন, উচ্চমাত্রা শব্দদুষণে শিক্ষার্থীসহ সব মানুষেরই ক্ষতি হতে পারে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত শব্দদুষণের মধ্যে থাকলে মানুষের শ্রবনশক্তি কমে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ থেকে মানসিক চাপও সৃষ্ঠি হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি অনুযায়ী, নীরব এলাকার রাতে শব্দের সহনীয় মাত্রা ৪০ ডেসিবল (শব্দের একক)। দিনে ৫০ ডেসিবল। আবাসিক এলাকায় রাতে সহনশীল মাত্রা ৪৫ ডেসিবল ও দিনে ৬০ ডেসিবল। শুধু বাণিজ্যিক এলাকায় রাতে ৬০ ডেসিবল ও দিনে ৭০ ডেসিবল। আর শিল্প এলাকায় রাতে সহনীয় মাত্রা ৭০ ডেসিবেল ও দিনে ৭৫ ডেসিবেল।

সাধারনত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বিশেষ অফিস-আদালত এলাকাগুলিকে নীরব এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় শব্দের মাত্রা অনেক বেশি। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ক্ষমতাবলে শব্দদুষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা,২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় যানবাহনের হর্ণ (উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী নিউম্যাটিক, হাইড্রোলিক বা মাল্টি টিউনড) বাজানো নিষেধ। বিধিমালার আওতায় নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহিৃত করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আইন অমান্য করলে প্রথমবার জরিমানাসহ বিভিন্ন দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্ত বেশি শব্দের কারণে কোনো যানবাহনের চালকের শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই।

পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আশরুফুজ্জামান বলেন, এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে পশ্চিম বগুড়ার অঞ্চলগুলি শব্দদুষণ ব্যাপব মাত্রায় জড়িয়ে গেছে। বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।

বগুড়া জেলা বিআরটিএ পরিদর্শক ফয়েজ উদ্দীন বলেন, সাধারনত কোনো যানবাহরে হাইড্রোলিক হর্ন থাকলে, তাতে উচ্চ শব্দ হয়। এই যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেক যানবাহনে হর্ন খুলে নেওয়া হয়। কিন্ত এর দাম কম হওয়ায় আবার তারা লাগিয়ে নেন। এই সংকট সমাধানে হাইড্রোলিক হর্নের দোকানগুলিতে অভিযান চালানো হবে।

শব্দদুষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে, আবাসিক, বাণিজ্যিক,মিশ্র, শিল্প ও নিরব এলাকাগুলো চিহিৃত করে সাইনবোর্ড বা সংকেত ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। বিধিমালায় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। তবে এই উপজেলার কোথাও এ রকম সংকেত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্ঝল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে । প্রশাসনের পাশাপশি সাধারণ জনগন এ বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে শব্দ দূষণ বন্ধ করা সম্ভব।

back to top