ভৈরবে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার ওইদিনই ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ভিকটিম ১৭ জুন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়াকে ২০ জুলাই রোববার রাত ১০টার দিকে কালিপুরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করলেও অর্থের বিনিময়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামি বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। সে প্রায় সময় সেখানে বিভিন্ন মানুষজন নিয়ে আড্ডা ও নেশা করতে আসতো। এছাড়া আসামি আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে আমার বসত ঘরে আমি একা কাজ করছিলাম। এই সুবাদে আমার ননদের স্বামী বাবুল মিয়া আমাকে একা পেয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি কোনো রকম আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন। এসময় লম্পট বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা আর যেন কারো সাথে না ঘটে। আমি আসামি বাবুল এর দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
ভুক্তভোগীর স্বামী সুমন মিয়া জানান, আমার স্ত্রীকে বাবুল ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এই বিষয়ে আমার স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা করে। পরে মামলাটি থানায় এফআইআর হয়।
গতকাল রোববার রাতে আমরা যখন জানতে পারি আসামি বাড়িতে আছে তখন আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে ভৈরব থানার এসআই রাকিবসহ ৬ জন পুলিশ এবং আমি নিজে আসামির বাড়িতে যায়। আসামিকে তখন বাড়িতে পেয়ে পুলিশ আমার সামনে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়। তখন এসআই রাকিব আমাকে বলে আপনি এইখান থেকে চলে যান। পরে আমি থানায় চলে আসি। থানায় এসে প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করি কিন্তু পুলিশ আসামি থানায় নিয়ে আসে না। পরবর্তীতে আমি এসআই রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসামি নাকি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে গেছে। পুলিশ যে কথাটি বলতেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা তারা আসামি ছেড়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে আমি সঠিক বিচার চাই এবং আসামি বাবুলের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তার শাস্তির দাবি জানাই।
এই বিষয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম বলেন, আমরা আসামি ধরে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে জেল পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করেও কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
ভৈরবে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার ওইদিনই ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ভিকটিম ১৭ জুন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়াকে ২০ জুলাই রোববার রাত ১০টার দিকে কালিপুরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করলেও অর্থের বিনিময়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামি বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। সে প্রায় সময় সেখানে বিভিন্ন মানুষজন নিয়ে আড্ডা ও নেশা করতে আসতো। এছাড়া আসামি আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে আমার বসত ঘরে আমি একা কাজ করছিলাম। এই সুবাদে আমার ননদের স্বামী বাবুল মিয়া আমাকে একা পেয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি কোনো রকম আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন। এসময় লম্পট বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা আর যেন কারো সাথে না ঘটে। আমি আসামি বাবুল এর দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
ভুক্তভোগীর স্বামী সুমন মিয়া জানান, আমার স্ত্রীকে বাবুল ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এই বিষয়ে আমার স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা করে। পরে মামলাটি থানায় এফআইআর হয়।
গতকাল রোববার রাতে আমরা যখন জানতে পারি আসামি বাড়িতে আছে তখন আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে ভৈরব থানার এসআই রাকিবসহ ৬ জন পুলিশ এবং আমি নিজে আসামির বাড়িতে যায়। আসামিকে তখন বাড়িতে পেয়ে পুলিশ আমার সামনে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়। তখন এসআই রাকিব আমাকে বলে আপনি এইখান থেকে চলে যান। পরে আমি থানায় চলে আসি। থানায় এসে প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করি কিন্তু পুলিশ আসামি থানায় নিয়ে আসে না। পরবর্তীতে আমি এসআই রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসামি নাকি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে গেছে। পুলিশ যে কথাটি বলতেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা তারা আসামি ছেড়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে আমি সঠিক বিচার চাই এবং আসামি বাবুলের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তার শাস্তির দাবি জানাই।
এই বিষয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম বলেন, আমরা আসামি ধরে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে জেল পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করেও কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।