alt

সারাদেশ

ভৈরবে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ভৈরবে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার ওইদিনই ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ভিকটিম ১৭ জুন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়াকে ২০ জুলাই রোববার রাত ১০টার দিকে কালিপুরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করলেও অর্থের বিনিময়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামি বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। সে প্রায় সময় সেখানে বিভিন্ন মানুষজন নিয়ে আড্ডা ও নেশা করতে আসতো। এছাড়া আসামি আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে আমার বসত ঘরে আমি একা কাজ করছিলাম। এই সুবাদে আমার ননদের স্বামী বাবুল মিয়া আমাকে একা পেয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি কোনো রকম আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন। এসময় লম্পট বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা আর যেন কারো সাথে না ঘটে। আমি আসামি বাবুল এর দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

ভুক্তভোগীর স্বামী সুমন মিয়া জানান, আমার স্ত্রীকে বাবুল ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এই বিষয়ে আমার স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা করে। পরে মামলাটি থানায় এফআইআর হয়।

গতকাল রোববার রাতে আমরা যখন জানতে পারি আসামি বাড়িতে আছে তখন আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে ভৈরব থানার এসআই রাকিবসহ ৬ জন পুলিশ এবং আমি নিজে আসামির বাড়িতে যায়। আসামিকে তখন বাড়িতে পেয়ে পুলিশ আমার সামনে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়। তখন এসআই রাকিব আমাকে বলে আপনি এইখান থেকে চলে যান। পরে আমি থানায় চলে আসি। থানায় এসে প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করি কিন্তু পুলিশ আসামি থানায় নিয়ে আসে না। পরবর্তীতে আমি এসআই রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসামি নাকি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে গেছে। পুলিশ যে কথাটি বলতেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা তারা আসামি ছেড়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে আমি সঠিক বিচার চাই এবং আসামি বাবুলের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তার শাস্তির দাবি জানাই।

এই বিষয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম বলেন, আমরা আসামি ধরে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে জেল পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করেও কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

রংপুর নগরীর প্রধান সড়ক সংস্কারের দাবিতে রসিক-এর প্রতীকী কফিন নিয়ে বিক্ষোভ

পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

‘অবৈধ’ সম্পদ: ফতুল্লা থানার সাবেক ওসি হাছানের ২ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে নিউমার্কেট মোড়ে বাসে আগুন

ছবি

দশমিনায় দ্বিগুণ লাভে জিঙ্গা চাষে কৃষকরা খুশি

ছবি

নরসিংদীতে রামবুটানে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে

ছবি

বনাঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণী

খোকসায় কনের বাড়িতে ডাকাতি

ছবি

ঝালকাঠিতে আবার শুরু হয়েছে খাঁচায় মাছ চাষ

কুড়িগ্রামে দুই মাদক কারবারি আটক

কাপাসিয়ায় মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে স্কুল দপ্তরি নিহত

ছবি

ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারার হাট দেখে অভিভূত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত

তালায় দুই কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড

ছবি

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দিন দিন কমেছে পাটের আবাদ

নাইক্ষ্যংছড়িতে বার্মিজ সিগারেট, সিএনজিসহ আটক ১

ঢাকা মহানগরের টিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

ছবি

বদরগঞ্জে চিকলি নদীর ভাংড়িরঘাটে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্যাতনের অভিযোগ

হবিগঞ্জ পুকুর থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

ছবি

আদমদীঘি উপজেলায় শব্দের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেই

মোংলায় নবজাতকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

ছবি

আহত ইমন টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না

ভৈরবে ভাত পচিয়ে তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ

সালথায় ইয়াবাসহ পাঁচজন আটক

ছবি

চাটখিলে সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ

শিবগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন

পাকুন্দিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

আগৈলঝাড়ায় আয়রন ব্রিজে কাঠের পাটাতন ২০ গ্রামের মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ

চিতলমারীতে অস্ত্রসহ গ্রাম লাঠিয়াল গ্রেপ্তার

রাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

বরুড়ায় গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা

দশমিনায় চরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ

শিবগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ীর হামলায় পরিবহন ব্যবসায়ী আহত

ছবি

চুনারুঘাটে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেল ব্রিজ, চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী

মশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না রাসিক

tab

সারাদেশ

ভৈরবে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ভৈরবে এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার ওইদিনই ভৈরব থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ভিকটিম ১৭ জুন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণে অভিযুক্ত পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বাবুল মিয়াকে ২০ জুলাই রোববার রাত ১০টার দিকে কালিপুরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করলেও অর্থের বিনিময়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম আসামিকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী নারী জানান, আমার ঘরের পাশে আসামি বাবুলের একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। সে প্রায় সময় সেখানে বিভিন্ন মানুষজন নিয়ে আড্ডা ও নেশা করতে আসতো। এছাড়া আসামি আমার আপন ননদের স্বামী হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদের ঘরেও মাঝেমধ্যে আসা যাওয়া করতো। গত ১৫ জুন মঙ্গলবার সকালে আমার বসত ঘরে আমি একা কাজ করছিলাম। এই সুবাদে আমার ননদের স্বামী বাবুল মিয়া আমাকে একা পেয়ে আমার বসত ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি কোনো রকম আমার শ্বাশুড়িকে ফোন করলে তিনি স্থানীয়দের নিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন। এসময় লম্পট বাবুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা আর যেন কারো সাথে না ঘটে। আমি আসামি বাবুল এর দ্রুত গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

ভুক্তভোগীর স্বামী সুমন মিয়া জানান, আমার স্ত্রীকে বাবুল ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে এই বিষয়ে আমার স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা করে। পরে মামলাটি থানায় এফআইআর হয়।

গতকাল রোববার রাতে আমরা যখন জানতে পারি আসামি বাড়িতে আছে তখন আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে ভৈরব থানার এসআই রাকিবসহ ৬ জন পুলিশ এবং আমি নিজে আসামির বাড়িতে যায়। আসামিকে তখন বাড়িতে পেয়ে পুলিশ আমার সামনে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়। তখন এসআই রাকিব আমাকে বলে আপনি এইখান থেকে চলে যান। পরে আমি থানায় চলে আসি। থানায় এসে প্রায় ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করি কিন্তু পুলিশ আসামি থানায় নিয়ে আসে না। পরবর্তীতে আমি এসআই রাকিব এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আসামি নাকি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে গেছে। পুলিশ যে কথাটি বলতেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা তারা আসামি ছেড়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে আমি সঠিক বিচার চাই এবং আসামি বাবুলের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তার শাস্তির দাবি জানাই।

এই বিষয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বিন ইসলাম বলেন, আমরা আসামি ধরে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে জেল পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করেও কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

back to top