গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের কির্ত্তুনিয়া গ্রামে গতকাল রোববার দুপুরে মাদকাসক্ত যুবক আসাদুল্লাহর ছুড়িকাঘাতে প্রতিবেশি আরিফুল ইসলাম (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আরিফুল ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক ভূইয়ার ছেলে এবং কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক (দপ্তরি) পদে কর্মরত ছিল। আর ঘাতক আসাদুল্লাহ একই গ্রামের মৃত ফাইজুদ্দিন ফকিরের ছেলে।
কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের দোকানি প্রত্যক্ষদর্শী মো. হিরণ মিয়া জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আরিফুল তার দোকানে এসে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে আসাদুল্লাহ এসে পিছন দিক থেকে দাড়ালো ছুরি পিঠে ঢুকিয়ে দিয়ে দৌঁড়ে চলে যায়। এ সময় আরিফুল চিৎকার দিয়ে ছুরিটি বের করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উত্তেজিত জনগণ বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসাদুল্লাহকে আটক করে ওই বিদ্যালয়ের সামনে এনে বেধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
বারিষাব ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সুলতানউদ্দিন জানান, আসাদুল্লাহ স্থানীয় বীরউজুলী ও টোক বাজার থেকে কিশোরগঞ্জ সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় এলাকায় লোকজনের সাথে তেমন ভালো সম্পর্ক ছিল না। তবে আরিফুল এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়াত বলে সবার সাথেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল। দুজনের মাঝে তেমন কোনো দ্বন্দ্ব ছিল বলে তার জানা নেই।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, প্রায় দুই বছর আগে আসাদুল্লাহর অটো রিকশায় আরোহণ করে আরিফুল ভাড়া দেয়নি বলে দাবি করলে গত শনিবার বিকালে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আসাদুল্লাহকে আরিফুল কয়েকটি চর থাপ্পর দিলে সেই ক্ষোভ থেকেই পরের দিন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আসাদুল্লাহ স্বীকার করেছে।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের কির্ত্তুনিয়া গ্রামে গতকাল রোববার দুপুরে মাদকাসক্ত যুবক আসাদুল্লাহর ছুড়িকাঘাতে প্রতিবেশি আরিফুল ইসলাম (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আরিফুল ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক ভূইয়ার ছেলে এবং কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক (দপ্তরি) পদে কর্মরত ছিল। আর ঘাতক আসাদুল্লাহ একই গ্রামের মৃত ফাইজুদ্দিন ফকিরের ছেলে।
কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের দোকানি প্রত্যক্ষদর্শী মো. হিরণ মিয়া জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আরিফুল তার দোকানে এসে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে আসাদুল্লাহ এসে পিছন দিক থেকে দাড়ালো ছুরি পিঠে ঢুকিয়ে দিয়ে দৌঁড়ে চলে যায়। এ সময় আরিফুল চিৎকার দিয়ে ছুরিটি বের করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উত্তেজিত জনগণ বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসাদুল্লাহকে আটক করে ওই বিদ্যালয়ের সামনে এনে বেধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
বারিষাব ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সুলতানউদ্দিন জানান, আসাদুল্লাহ স্থানীয় বীরউজুলী ও টোক বাজার থেকে কিশোরগঞ্জ সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় এলাকায় লোকজনের সাথে তেমন ভালো সম্পর্ক ছিল না। তবে আরিফুল এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়াত বলে সবার সাথেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল। দুজনের মাঝে তেমন কোনো দ্বন্দ্ব ছিল বলে তার জানা নেই।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, প্রায় দুই বছর আগে আসাদুল্লাহর অটো রিকশায় আরোহণ করে আরিফুল ভাড়া দেয়নি বলে দাবি করলে গত শনিবার বিকালে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আসাদুল্লাহকে আরিফুল কয়েকটি চর থাপ্পর দিলে সেই ক্ষোভ থেকেই পরের দিন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আসাদুল্লাহ স্বীকার করেছে।