ঝালকাঠি : বাসন্ডা নদীর তীরে খাঁচায় চাষ হচ্ছে মাছ -সংবাদ
ঝালকাঠি জেলায় আবার শুরু হয়েছে খাঁচায় মাছ চাষের লাভজনক প্রকল্প। বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে ঝালকাঠি সদর ও রাজাপুর উপজেলায় একটি করে খাচায় মাছ চাষ প্রকল্প সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
২০ জন সুবিধাভোগীদের নিয়ে একটি দল গঠন করে তাদের তত্ত্ববধায়নের মাধ্যমে খাঁচায় মাছ চাষের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।৮ বছর পূর্বে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় খাঁচায় মাছ চাষের একাধিক প্রকল্প ছিল। তবে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা নদীর তীরে একটি খাচায় তৈরি মাছ চাষ প্রকল্প চালু হয়েছে।
তেলের বড় ড্রাম দিয়ে ভাসমান রাখার জন্য ১২টি খাঁচা তৈরি করতে ২৬টি ড্রাম এর জন্য প্রয়োজন হয়। ড্রামের উপরে নেট দিয়ে খাঁচা তৈরী করে এই মাছ চাষ করতে হয়। যেসকল খালে রাতে কম এবং কচুরীপানাসহ ময়লা আবর্জনা কম জমে সেইসকল খালের মধ্যে এই চাষের জন্য চিহ্নিত করা হয়। একটি প্রকল্প তৈরি করতে ৩লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়।
প্রতিটি খাঁচায় ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি মাছ উত্তোলন করা যায়। পোনা ছাড়ার পরে ৭ থেকে ৮ইঞ্চি মাছের আকার বৃদ্ধি পেলে উত্তোলন করা যায়। এই মাছ চাষের খাঁচাগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় এতে ময়লা জমলে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে পারে যা মাছ চাষে ক্ষতি বয়ে আনে। সাধারণত এই মাছের খাঁচায় তেলাপিয়ার চাষ ভালো হয়। এই প্রকল্প খাতে ১২ হাজার মাছের পোনা ছাড়া হয়ে থাকে এবং এর থেকে ৪ থেকে ৫ মেট্রিক টন মাছ বছরে উৎপাদন করা যায়। ২০ জন সুবিধাভোগীদের মধ্য থেকে ১জনকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এই প্রকল্প খাত থেকে সূচনালগ্নে মৎস্য বিভাগ থেকে প্রকল্পের অনুকূলে প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে সমুদয় ব্যয়ের ৫০ ভাগ মৎস্য বিভাগ বহন করে এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সুবিধাভোগীরা নিজেদের অর্থায়নে এই খরচ বহন করে। পরবর্তীতে এই খাতে মৎস্য বিভাগ অন্যকোন অর্থায়ন করে না।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইয়েদা জানান, খাঁচায় মাছ একটি লাভবান প্রকল্প এবং সুবিধাভোগীরা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এই চাষের তেমন কোন খরচ নেই শুধুমাত্র সূচনালগ্নে ৩% থেকে ৫% খাবারের জন্য খরচ ব্যয় করতে হয়। এই প্রকল্পে চাষ করা মাছের স্বাদ আবদ্ধ পানিতে চাষ করার চেয়ে স্বাদ বেশি হয়। এতে চাষিদের ব্যাপক লাভ হয়।
ঝালকাঠি : বাসন্ডা নদীর তীরে খাঁচায় চাষ হচ্ছে মাছ -সংবাদ
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
ঝালকাঠি জেলায় আবার শুরু হয়েছে খাঁচায় মাছ চাষের লাভজনক প্রকল্প। বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে ঝালকাঠি সদর ও রাজাপুর উপজেলায় একটি করে খাচায় মাছ চাষ প্রকল্প সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
২০ জন সুবিধাভোগীদের নিয়ে একটি দল গঠন করে তাদের তত্ত্ববধায়নের মাধ্যমে খাঁচায় মাছ চাষের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।৮ বছর পূর্বে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় খাঁচায় মাছ চাষের একাধিক প্রকল্প ছিল। তবে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা নদীর তীরে একটি খাচায় তৈরি মাছ চাষ প্রকল্প চালু হয়েছে।
তেলের বড় ড্রাম দিয়ে ভাসমান রাখার জন্য ১২টি খাঁচা তৈরি করতে ২৬টি ড্রাম এর জন্য প্রয়োজন হয়। ড্রামের উপরে নেট দিয়ে খাঁচা তৈরী করে এই মাছ চাষ করতে হয়। যেসকল খালে রাতে কম এবং কচুরীপানাসহ ময়লা আবর্জনা কম জমে সেইসকল খালের মধ্যে এই চাষের জন্য চিহ্নিত করা হয়। একটি প্রকল্প তৈরি করতে ৩লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়।
প্রতিটি খাঁচায় ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি মাছ উত্তোলন করা যায়। পোনা ছাড়ার পরে ৭ থেকে ৮ইঞ্চি মাছের আকার বৃদ্ধি পেলে উত্তোলন করা যায়। এই মাছ চাষের খাঁচাগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় এতে ময়লা জমলে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে পারে যা মাছ চাষে ক্ষতি বয়ে আনে। সাধারণত এই মাছের খাঁচায় তেলাপিয়ার চাষ ভালো হয়। এই প্রকল্প খাতে ১২ হাজার মাছের পোনা ছাড়া হয়ে থাকে এবং এর থেকে ৪ থেকে ৫ মেট্রিক টন মাছ বছরে উৎপাদন করা যায়। ২০ জন সুবিধাভোগীদের মধ্য থেকে ১জনকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এই প্রকল্প খাত থেকে সূচনালগ্নে মৎস্য বিভাগ থেকে প্রকল্পের অনুকূলে প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে সমুদয় ব্যয়ের ৫০ ভাগ মৎস্য বিভাগ বহন করে এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সুবিধাভোগীরা নিজেদের অর্থায়নে এই খরচ বহন করে। পরবর্তীতে এই খাতে মৎস্য বিভাগ অন্যকোন অর্থায়ন করে না।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইয়েদা জানান, খাঁচায় মাছ একটি লাভবান প্রকল্প এবং সুবিধাভোগীরা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এই চাষের তেমন কোন খরচ নেই শুধুমাত্র সূচনালগ্নে ৩% থেকে ৫% খাবারের জন্য খরচ ব্যয় করতে হয়। এই প্রকল্পে চাষ করা মাছের স্বাদ আবদ্ধ পানিতে চাষ করার চেয়ে স্বাদ বেশি হয়। এতে চাষিদের ব্যাপক লাভ হয়।