নরসিংদী : রামবুটানের পরিচর্যা করছে খামারি -সংবাদ
নরসিংদীর শিবপুরে রাম্বুটান চাষ করে সফল হয়েছেন বেসরকারি বীমা কোম্পানির (বেলাবো) উপজেলা ইনচার্জ মো. সোহরাব হায়দার। তিনি শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দড়িপুরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদিরের ছেলে। চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজে সোহরাব হায়দারের ব্যাপক আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ১০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে রাম্বুটান, লিচু, মাল্টা ও লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। রামবুটান ফলটি দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ছাড়িয়ে নিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো। স্বাদও অনেকটা লিচুর মত। এটি বিদেশি ফল।রাম্বুটানের উৎসভূমি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। তবে ফলটি এখন নরসিংদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষকদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। একসময় লটকন ফল চাষে সফলতা পেয়েছিলেন এ অঞ্চলের চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, সবজি, কলা, লটকন ও নানা ধরনের ফলের পাশাপাশি নরসিংদীতে এবার নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যাচ্ছে রাম্বুটান।
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় রাম্বুটান দেখতে অনেকটা লিচুর মতো। গায়ে কাটাযুক্ত বলে বাইরে থেকে দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো।কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে লাল বা গোলাপি রঙ ধারণ করে। উপরের খোসা ফেলে দিয়ে ভেতরের অংশটা খেতে হয়। রামবুটানের উৎসভূমি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। তবে ফলটি এখন নরসিংদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষকদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। একসময় লটকন ফল চাষে সফলতা পেয়েছিলেন এ অঞ্চলের চাষীরা। এদিকে সোহরাব হায়দার এর রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে যান। তার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার ফাঁকে চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকারে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে।
রামবুটান চাষী সোহরাব হায়দার জানান, ইউটিউবে তিনি প্রথমে এই ফল দেখেন এবং চাষ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা নেন। পরে নিজের বাড়িতে চাষাবাদ করতে বীজ ও চারা সংগ্রহ করেন। এখন প্রায় তার বাগানে ৩০টিও অধিক গাছ রয়েছে যার মধ্যে ১০টি গাছে ফলন এসেছে। বর্তমানে বাগান থেকেই রাম্বুটান বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাম্বুটানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলটি ব্যাপক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। নরসিংদীর মাটি এ ফল চাষের উপযোগী হওয়ায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ইতোমধ্যে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আগামীতে এ ফল নরসিংদীর কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে বলেও প্রত্যাশা করেন এ কর্মকর্তা।
নরসিংদী : রামবুটানের পরিচর্যা করছে খামারি -সংবাদ
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
নরসিংদীর শিবপুরে রাম্বুটান চাষ করে সফল হয়েছেন বেসরকারি বীমা কোম্পানির (বেলাবো) উপজেলা ইনচার্জ মো. সোহরাব হায়দার। তিনি শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দড়িপুরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদিরের ছেলে। চাকরির পাশাপাশি কৃষি কাজে সোহরাব হায়দারের ব্যাপক আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ১০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে রাম্বুটান, লিচু, মাল্টা ও লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। রামবুটান ফলটি দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ছাড়িয়ে নিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো। স্বাদও অনেকটা লিচুর মত। এটি বিদেশি ফল।রাম্বুটানের উৎসভূমি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। তবে ফলটি এখন নরসিংদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষকদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। একসময় লটকন ফল চাষে সফলতা পেয়েছিলেন এ অঞ্চলের চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, সবজি, কলা, লটকন ও নানা ধরনের ফলের পাশাপাশি নরসিংদীতে এবার নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যাচ্ছে রাম্বুটান।
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় রাম্বুটান দেখতে অনেকটা লিচুর মতো। গায়ে কাটাযুক্ত বলে বাইরে থেকে দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো।কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে লাল বা গোলাপি রঙ ধারণ করে। উপরের খোসা ফেলে দিয়ে ভেতরের অংশটা খেতে হয়। রামবুটানের উৎসভূমি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। তবে ফলটি এখন নরসিংদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষকদের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। একসময় লটকন ফল চাষে সফলতা পেয়েছিলেন এ অঞ্চলের চাষীরা। এদিকে সোহরাব হায়দার এর রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে যান। তার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার ফাঁকে চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকারে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে।
রামবুটান চাষী সোহরাব হায়দার জানান, ইউটিউবে তিনি প্রথমে এই ফল দেখেন এবং চাষ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা নেন। পরে নিজের বাড়িতে চাষাবাদ করতে বীজ ও চারা সংগ্রহ করেন। এখন প্রায় তার বাগানে ৩০টিও অধিক গাছ রয়েছে যার মধ্যে ১০টি গাছে ফলন এসেছে। বর্তমানে বাগান থেকেই রাম্বুটান বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাম্বুটানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলটি ব্যাপক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। নরসিংদীর মাটি এ ফল চাষের উপযোগী হওয়ায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ইতোমধ্যে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আগামীতে এ ফল নরসিংদীর কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে বলেও প্রত্যাশা করেন এ কর্মকর্তা।