‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের দায়ে ফতুল্লা থানার সাবেক ওসি মো. হাছান আলীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে হাছানের স্ত্রী মোছা. কামরুন্নাহার রুবির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। তবে এদিন তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। রায় ঘোষণার সময় হাছান আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হওয়ার তথ্য দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার সোহানুর রহমান।
মামলার তথ্য বলছে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওসি হাছান মোট ১৩ লাখ ৯১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। তাকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হলে তিনি এই পরিমাণ সম্পদের তথ্য দেননি। ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. হেলালউদ্দিন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এটির তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। পরে আবার মামলাটি পুনঃতদন্তে পাঠানো হয়।
তখন ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ওসি হাছান আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী রুবিকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন হেলালউদ্দিন শরীফ।
ওই বছর ২৮ নভেম্বর তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রবিবার এ রায় দেন।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনের দায়ে ফতুল্লা থানার সাবেক ওসি মো. হাছান আলীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে।
এদিকে হাছানের স্ত্রী মোছা. কামরুন্নাহার রুবির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। তবে এদিন তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। রায় ঘোষণার সময় হাছান আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হওয়ার তথ্য দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার সোহানুর রহমান।
মামলার তথ্য বলছে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওসি হাছান মোট ১৩ লাখ ৯১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। তাকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হলে তিনি এই পরিমাণ সম্পদের তথ্য দেননি। ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. হেলালউদ্দিন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এটির তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। পরে আবার মামলাটি পুনঃতদন্তে পাঠানো হয়।
তখন ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ওসি হাছান আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী রুবিকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন হেলালউদ্দিন শরীফ।
ওই বছর ২৮ নভেম্বর তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রবিবার এ রায় দেন।