alt

সারাদেশ

পলাশে কাঠবিড়ালীর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী) : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

পলাশ উপজেলার সর্বত্র কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ফলজ বাগান মালিক ও স্থানীয়রা। কাঠবিড়ালিরা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে ও পেয়ারা থেকে শুরু করে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের লাখ টাকার ফলজ সম্পদ। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ লেখা ‘কাঠবিড়ালী কাঠবিড়ালী পেয়ারা তুমি খাও, দুধ ভাত খাও’ সেই বিখ্যাত ছড়াটি এখন শুধুই বুমেরাং হতে চলেছে। কাঠবিড়ালী হয়ে উঠেছে হিংস্র।

কাঠবিড়ালী প্রতি ৩০ সেকেন্ডে সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো এই প্রাণী। যখন মৌসুমী ফলের ঘাটতি দেখা দেয় তখন খুব বেশি নারিকেল গাছে নজড় পড়ে তার। কঁচি ডাবের পানিতে খাচ্ছে আবার পরিপক্ব নারকেল পর্যন্ত খেয়ে সাবার করছে। স্থানীয় লোকজন শান্ত এই প্রণীটিক হিংস্র প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পলাশে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে ৩/৪টি হতে ১০/১২টি নারকেল গাছ নেই। নারকেল বড় হবার আগেই কাঠবিড়ালের কারণে ডাব আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। বর্তমানে পলাশে প্রতি পিচ ডাব ১০০ হতে ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নারকেল প্রতি জোড়া ৩০০ হতে ৪০০টাকা।

সর্বত্র এই ক্ষুদে ভীতু প্রাণী কাঠবিড়ালীর ভয়াবহ আক্রমনে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে সবজি ও ফল-ফলাদি বাগান। ক্ষুদে এ প্রাণীটি এখন শুধু ফলফলাদিই খাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত খেতে চড়াও হচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েকলাখ মানুষের স্বপ্নের প্রত্যাশা সবজি ক্ষেতেও। শীতকালে ফলফলাদি কম থাকায় কাঠবিড়ালি বিভিন্ন ফুলের কলিও খেয়ে ফেলে। খুব সকালে ও দুপুরে লোকজন বিশ্রামে গেলে তাদের উপদ্রব বাড়ে।

উপজেলার একাধিক লোকজন জানায়, গ্রামীণ ফলজ নারিকেল, ডাব, কলা, পেয়ারা, বরই, আমড়া, পেঁপে আতা ও আনার ফল- ফলাদি থেকে শুরু করে সীম, লাউ, কুমড়া ও শসাসহ নানান ধরনের সবজি খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে। এই ক্ষুদে প্রাণীটি লাফিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এবং এক গাছ থেকে অন্য গাছে বেড়ানো কাঠবিড়ালীর গ্রামীণ ডাক নাম ছল্লা বা কডি।

তাদের ধরা যেমন কঠিন আবার মারার সকল কৌশল যেন আরো কঠিন। প্রতিনিয়ত ওই প্রাণীটির থাবায় সকালে প্রতিটি ফলজ ও সবজি গাছের তলে নষ্ট করা ফল ও সবজি পণ্যগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে সারা বছরই নারিকেল ও ডাবের পানি খাওয়া ছাড়াও বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আম, কাঠাল ও লিচু ফলের উপর হিংস্র তান্ডব চালায় ওই কাঠবিড়ালীর দল। আম কাঁঠালের মৌসুমে আমের গুটি, পাকা কাঁঠালও খাচ্ছে কাঠবিড়ালি।

বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে এ ক্ষুদে হিংস্র প্রাণীটি। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বাড়ীতে বাড়ীতে ওইসব ফলজ ও সবজির বাগানে কাঠবিড়ালীর দৌরাত্ব যেন থামছেনা। ওদের প্রতিরোধে স্থাণীয়ভাবে কোন ব্যবস্থা না থাকায় অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ফলগাছ বা সবজি বাগান মালিকরা।তবে প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে বলে সচেতনমহল মনে করছে।

প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষ চঞ্চল ও শান্ত কাঠবিড়ালীর বেপরোয়া অত্যাচার থেকে বাগানের ফসল রক্ষার্থে টিন দিয়ে শব্দ বাজানোর মতো ফাঁদ তৈরি করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। একটা সময় কিন্তু এ ক্ষুদ্র প্রাণীটি মানুষের আনাগোনাকে ভয় পেতো এবং সুযোগ বুঝে দিনের বেলায়ও ফল-ফলাদি এবং সবজিবাগানে রাজত্ব চালাতো কিন্তু বর্তমানে দিন কিংবা সারারাত ধরে তাদের অবাধ রাজত্ব চলে আসছে।অনেকে ডিল দিয়ে বা গুলতি মেরে তাড়ানোর চেষ্টা করে। জৈববৈচিত্রের কারণে কেউই কাঠবিড়ালি মারার চেষ্টা করেনা।

ছবি

পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫টি ড্রেজার জব্দ, জরিমানা

চাকরিতে জুলাই যোদ্ধাদের কোটা থাকবে না : উপদেষ্টা

ছবি

লালপুরে জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ছবি

আগৈলঝাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের লোকজনের চলাচলের পথ বন্ধ

মতলবে খুনের আসামি গ্রেপ্তার

নিখোঁজের ৫ দিন পর কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

পটিয়ায় উচ্ছেদের পাঁচ বছরেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি লবণ শিল্পের মালিকরা

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স উল্টে ৫ জন আহত

নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, নিহত ১

ছবি

চান্দিনায় নির্মাণাধীন সড়কে জনদুর্ভোগ

সাবেক ইসি আবদুল মোবারকের মৃত্যু

বিমান বিধ্বস্তে নিহত রজনীর দাফন সম্পন্ন

শান্তি আনতে পাহাড়ি-বাঙালি ঐক্য গড়তে হবে-নাহিদ

ডিমলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪

ছবি

জলাভূমি ও জনজীবন বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

বগুড়ায় কৃষকরা ফিরছে আউশ আবাদে, খরচ কম হওয়ায় বাড়ছে আগ্রহ

গোবিন্দগঞ্জে হ্যাকার চক্রের দুই মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার

ছবি

পাঁচবিবিতে জুলাই অভ্যুথান দিবসের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

গোপালগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা

ছবি

নলছিটিতে নদীভাঙন রোধে মানববন্ধন

বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় ইউপিডিএফের শোক

গঙ্গাচড়ায় ইউপি সদস্যের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

অস্ত্রসহ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মাদারগঞ্জ পৌরসভার ২৪ কোটি টাকার বাজেট

ছবি

মঠবাড়িয়ার পৌরসভাটি দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে দুর্নীতির আখড়া

চান্দিনায় মাদকবিরোধী সমাবেশ

চাঁদাবাজি-দখলদার প্রতিরোধে কুষ্টিয়া বিএনপির অভিযোগ বক্স

ছবি

ঘিওরে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

তাহিরপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, আটক ১

আদমদীঘির পাঠাগারগুলোতে বই আছে, পাঠক নেই

ছবি

মুন্সীগঞ্জে হিমাগারের ভাড়া কমানোর দাবিতে মানববন্ধন

চিতলমারীতে প্রতিবন্ধী তরুণীর আত্মহত্যা

শিবালয়ে দুই বিদ্যালয়ের মাঝে দেয়াল, শিশুদের খেলাধুলা বন্ধের উপক্রম

গফরগাঁওয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

রাজানগরের কমলা রানীর দীঘি ও রূপকথা

ঢাকায় বিধ্বস্ত বিমানের পাইলটের বাড়ি রাজশাহীতে শোকের ছায়া

tab

সারাদেশ

পলাশে কাঠবিড়ালীর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী)

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

পলাশ উপজেলার সর্বত্র কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ফলজ বাগান মালিক ও স্থানীয়রা। কাঠবিড়ালিরা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে ও পেয়ারা থেকে শুরু করে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের লাখ টাকার ফলজ সম্পদ। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ লেখা ‘কাঠবিড়ালী কাঠবিড়ালী পেয়ারা তুমি খাও, দুধ ভাত খাও’ সেই বিখ্যাত ছড়াটি এখন শুধুই বুমেরাং হতে চলেছে। কাঠবিড়ালী হয়ে উঠেছে হিংস্র।

কাঠবিড়ালী প্রতি ৩০ সেকেন্ডে সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো এই প্রাণী। যখন মৌসুমী ফলের ঘাটতি দেখা দেয় তখন খুব বেশি নারিকেল গাছে নজড় পড়ে তার। কঁচি ডাবের পানিতে খাচ্ছে আবার পরিপক্ব নারকেল পর্যন্ত খেয়ে সাবার করছে। স্থানীয় লোকজন শান্ত এই প্রণীটিক হিংস্র প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পলাশে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে ৩/৪টি হতে ১০/১২টি নারকেল গাছ নেই। নারকেল বড় হবার আগেই কাঠবিড়ালের কারণে ডাব আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। বর্তমানে পলাশে প্রতি পিচ ডাব ১০০ হতে ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নারকেল প্রতি জোড়া ৩০০ হতে ৪০০টাকা।

সর্বত্র এই ক্ষুদে ভীতু প্রাণী কাঠবিড়ালীর ভয়াবহ আক্রমনে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে সবজি ও ফল-ফলাদি বাগান। ক্ষুদে এ প্রাণীটি এখন শুধু ফলফলাদিই খাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত খেতে চড়াও হচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েকলাখ মানুষের স্বপ্নের প্রত্যাশা সবজি ক্ষেতেও। শীতকালে ফলফলাদি কম থাকায় কাঠবিড়ালি বিভিন্ন ফুলের কলিও খেয়ে ফেলে। খুব সকালে ও দুপুরে লোকজন বিশ্রামে গেলে তাদের উপদ্রব বাড়ে।

উপজেলার একাধিক লোকজন জানায়, গ্রামীণ ফলজ নারিকেল, ডাব, কলা, পেয়ারা, বরই, আমড়া, পেঁপে আতা ও আনার ফল- ফলাদি থেকে শুরু করে সীম, লাউ, কুমড়া ও শসাসহ নানান ধরনের সবজি খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে। এই ক্ষুদে প্রাণীটি লাফিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এবং এক গাছ থেকে অন্য গাছে বেড়ানো কাঠবিড়ালীর গ্রামীণ ডাক নাম ছল্লা বা কডি।

তাদের ধরা যেমন কঠিন আবার মারার সকল কৌশল যেন আরো কঠিন। প্রতিনিয়ত ওই প্রাণীটির থাবায় সকালে প্রতিটি ফলজ ও সবজি গাছের তলে নষ্ট করা ফল ও সবজি পণ্যগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে সারা বছরই নারিকেল ও ডাবের পানি খাওয়া ছাড়াও বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আম, কাঠাল ও লিচু ফলের উপর হিংস্র তান্ডব চালায় ওই কাঠবিড়ালীর দল। আম কাঁঠালের মৌসুমে আমের গুটি, পাকা কাঁঠালও খাচ্ছে কাঠবিড়ালি।

বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে এ ক্ষুদে হিংস্র প্রাণীটি। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বাড়ীতে বাড়ীতে ওইসব ফলজ ও সবজির বাগানে কাঠবিড়ালীর দৌরাত্ব যেন থামছেনা। ওদের প্রতিরোধে স্থাণীয়ভাবে কোন ব্যবস্থা না থাকায় অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ফলগাছ বা সবজি বাগান মালিকরা।তবে প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে বলে সচেতনমহল মনে করছে।

প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষ চঞ্চল ও শান্ত কাঠবিড়ালীর বেপরোয়া অত্যাচার থেকে বাগানের ফসল রক্ষার্থে টিন দিয়ে শব্দ বাজানোর মতো ফাঁদ তৈরি করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। একটা সময় কিন্তু এ ক্ষুদ্র প্রাণীটি মানুষের আনাগোনাকে ভয় পেতো এবং সুযোগ বুঝে দিনের বেলায়ও ফল-ফলাদি এবং সবজিবাগানে রাজত্ব চালাতো কিন্তু বর্তমানে দিন কিংবা সারারাত ধরে তাদের অবাধ রাজত্ব চলে আসছে।অনেকে ডিল দিয়ে বা গুলতি মেরে তাড়ানোর চেষ্টা করে। জৈববৈচিত্রের কারণে কেউই কাঠবিড়ালি মারার চেষ্টা করেনা।

back to top