পলাশ উপজেলার সর্বত্র কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ফলজ বাগান মালিক ও স্থানীয়রা। কাঠবিড়ালিরা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে ও পেয়ারা থেকে শুরু করে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের লাখ টাকার ফলজ সম্পদ। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ লেখা ‘কাঠবিড়ালী কাঠবিড়ালী পেয়ারা তুমি খাও, দুধ ভাত খাও’ সেই বিখ্যাত ছড়াটি এখন শুধুই বুমেরাং হতে চলেছে। কাঠবিড়ালী হয়ে উঠেছে হিংস্র।
কাঠবিড়ালী প্রতি ৩০ সেকেন্ডে সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো এই প্রাণী। যখন মৌসুমী ফলের ঘাটতি দেখা দেয় তখন খুব বেশি নারিকেল গাছে নজড় পড়ে তার। কঁচি ডাবের পানিতে খাচ্ছে আবার পরিপক্ব নারকেল পর্যন্ত খেয়ে সাবার করছে। স্থানীয় লোকজন শান্ত এই প্রণীটিক হিংস্র প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পলাশে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে ৩/৪টি হতে ১০/১২টি নারকেল গাছ নেই। নারকেল বড় হবার আগেই কাঠবিড়ালের কারণে ডাব আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। বর্তমানে পলাশে প্রতি পিচ ডাব ১০০ হতে ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নারকেল প্রতি জোড়া ৩০০ হতে ৪০০টাকা।
সর্বত্র এই ক্ষুদে ভীতু প্রাণী কাঠবিড়ালীর ভয়াবহ আক্রমনে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে সবজি ও ফল-ফলাদি বাগান। ক্ষুদে এ প্রাণীটি এখন শুধু ফলফলাদিই খাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত খেতে চড়াও হচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েকলাখ মানুষের স্বপ্নের প্রত্যাশা সবজি ক্ষেতেও। শীতকালে ফলফলাদি কম থাকায় কাঠবিড়ালি বিভিন্ন ফুলের কলিও খেয়ে ফেলে। খুব সকালে ও দুপুরে লোকজন বিশ্রামে গেলে তাদের উপদ্রব বাড়ে।
উপজেলার একাধিক লোকজন জানায়, গ্রামীণ ফলজ নারিকেল, ডাব, কলা, পেয়ারা, বরই, আমড়া, পেঁপে আতা ও আনার ফল- ফলাদি থেকে শুরু করে সীম, লাউ, কুমড়া ও শসাসহ নানান ধরনের সবজি খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে। এই ক্ষুদে প্রাণীটি লাফিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এবং এক গাছ থেকে অন্য গাছে বেড়ানো কাঠবিড়ালীর গ্রামীণ ডাক নাম ছল্লা বা কডি।
তাদের ধরা যেমন কঠিন আবার মারার সকল কৌশল যেন আরো কঠিন। প্রতিনিয়ত ওই প্রাণীটির থাবায় সকালে প্রতিটি ফলজ ও সবজি গাছের তলে নষ্ট করা ফল ও সবজি পণ্যগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে সারা বছরই নারিকেল ও ডাবের পানি খাওয়া ছাড়াও বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আম, কাঠাল ও লিচু ফলের উপর হিংস্র তান্ডব চালায় ওই কাঠবিড়ালীর দল। আম কাঁঠালের মৌসুমে আমের গুটি, পাকা কাঁঠালও খাচ্ছে কাঠবিড়ালি।
বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে এ ক্ষুদে হিংস্র প্রাণীটি। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বাড়ীতে বাড়ীতে ওইসব ফলজ ও সবজির বাগানে কাঠবিড়ালীর দৌরাত্ব যেন থামছেনা। ওদের প্রতিরোধে স্থাণীয়ভাবে কোন ব্যবস্থা না থাকায় অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ফলগাছ বা সবজি বাগান মালিকরা।তবে প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে বলে সচেতনমহল মনে করছে।
প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষ চঞ্চল ও শান্ত কাঠবিড়ালীর বেপরোয়া অত্যাচার থেকে বাগানের ফসল রক্ষার্থে টিন দিয়ে শব্দ বাজানোর মতো ফাঁদ তৈরি করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। একটা সময় কিন্তু এ ক্ষুদ্র প্রাণীটি মানুষের আনাগোনাকে ভয় পেতো এবং সুযোগ বুঝে দিনের বেলায়ও ফল-ফলাদি এবং সবজিবাগানে রাজত্ব চালাতো কিন্তু বর্তমানে দিন কিংবা সারারাত ধরে তাদের অবাধ রাজত্ব চলে আসছে।অনেকে ডিল দিয়ে বা গুলতি মেরে তাড়ানোর চেষ্টা করে। জৈববৈচিত্রের কারণে কেউই কাঠবিড়ালি মারার চেষ্টা করেনা।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
পলাশ উপজেলার সর্বত্র কাঠবিড়ালির অত্যাচারে অতিষ্ঠ ফলজ বাগান মালিক ও স্থানীয়রা। কাঠবিড়ালিরা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেঁপে ও পেয়ারা থেকে শুরু করে সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের লাখ টাকার ফলজ সম্পদ। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ লেখা ‘কাঠবিড়ালী কাঠবিড়ালী পেয়ারা তুমি খাও, দুধ ভাত খাও’ সেই বিখ্যাত ছড়াটি এখন শুধুই বুমেরাং হতে চলেছে। কাঠবিড়ালী হয়ে উঠেছে হিংস্র।
কাঠবিড়ালী প্রতি ৩০ সেকেন্ডে সময়ে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট লাফিয়ে বেড়ানো এই প্রাণী। যখন মৌসুমী ফলের ঘাটতি দেখা দেয় তখন খুব বেশি নারিকেল গাছে নজড় পড়ে তার। কঁচি ডাবের পানিতে খাচ্ছে আবার পরিপক্ব নারকেল পর্যন্ত খেয়ে সাবার করছে। স্থানীয় লোকজন শান্ত এই প্রণীটিক হিংস্র প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পলাশে এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে ৩/৪টি হতে ১০/১২টি নারকেল গাছ নেই। নারকেল বড় হবার আগেই কাঠবিড়ালের কারণে ডাব আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। বর্তমানে পলাশে প্রতি পিচ ডাব ১০০ হতে ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নারকেল প্রতি জোড়া ৩০০ হতে ৪০০টাকা।
সর্বত্র এই ক্ষুদে ভীতু প্রাণী কাঠবিড়ালীর ভয়াবহ আক্রমনে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে সবজি ও ফল-ফলাদি বাগান। ক্ষুদে এ প্রাণীটি এখন শুধু ফলফলাদিই খাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত খেতে চড়াও হচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েকলাখ মানুষের স্বপ্নের প্রত্যাশা সবজি ক্ষেতেও। শীতকালে ফলফলাদি কম থাকায় কাঠবিড়ালি বিভিন্ন ফুলের কলিও খেয়ে ফেলে। খুব সকালে ও দুপুরে লোকজন বিশ্রামে গেলে তাদের উপদ্রব বাড়ে।
উপজেলার একাধিক লোকজন জানায়, গ্রামীণ ফলজ নারিকেল, ডাব, কলা, পেয়ারা, বরই, আমড়া, পেঁপে আতা ও আনার ফল- ফলাদি থেকে শুরু করে সীম, লাউ, কুমড়া ও শসাসহ নানান ধরনের সবজি খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে। এই ক্ষুদে প্রাণীটি লাফিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এবং এক গাছ থেকে অন্য গাছে বেড়ানো কাঠবিড়ালীর গ্রামীণ ডাক নাম ছল্লা বা কডি।
তাদের ধরা যেমন কঠিন আবার মারার সকল কৌশল যেন আরো কঠিন। প্রতিনিয়ত ওই প্রাণীটির থাবায় সকালে প্রতিটি ফলজ ও সবজি গাছের তলে নষ্ট করা ফল ও সবজি পণ্যগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে সারা বছরই নারিকেল ও ডাবের পানি খাওয়া ছাড়াও বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আম, কাঠাল ও লিচু ফলের উপর হিংস্র তান্ডব চালায় ওই কাঠবিড়ালীর দল। আম কাঁঠালের মৌসুমে আমের গুটি, পাকা কাঁঠালও খাচ্ছে কাঠবিড়ালি।
বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে এ ক্ষুদে হিংস্র প্রাণীটি। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে বাড়ীতে বাড়ীতে ওইসব ফলজ ও সবজির বাগানে কাঠবিড়ালীর দৌরাত্ব যেন থামছেনা। ওদের প্রতিরোধে স্থাণীয়ভাবে কোন ব্যবস্থা না থাকায় অপূরনীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ফলগাছ বা সবজি বাগান মালিকরা।তবে প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে বলে সচেতনমহল মনে করছে।
প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষ চঞ্চল ও শান্ত কাঠবিড়ালীর বেপরোয়া অত্যাচার থেকে বাগানের ফসল রক্ষার্থে টিন দিয়ে শব্দ বাজানোর মতো ফাঁদ তৈরি করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। একটা সময় কিন্তু এ ক্ষুদ্র প্রাণীটি মানুষের আনাগোনাকে ভয় পেতো এবং সুযোগ বুঝে দিনের বেলায়ও ফল-ফলাদি এবং সবজিবাগানে রাজত্ব চালাতো কিন্তু বর্তমানে দিন কিংবা সারারাত ধরে তাদের অবাধ রাজত্ব চলে আসছে।অনেকে ডিল দিয়ে বা গুলতি মেরে তাড়ানোর চেষ্টা করে। জৈববৈচিত্রের কারণে কেউই কাঠবিড়ালি মারার চেষ্টা করেনা।