আদমদীঘি উপজেলায় সকল কলেজ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠাগার আছে। পাঠাগারগুলোতে শত শত বই পাঠাগারের তাকে তাকে সাজানো আছে। সব কটি কলেজে একজন করে লাইব্রেরিয়ান ও সহকারি লাইব্রেরিয়ান থাকলেও সেখানে থাকেনা তেমন পাঠক। অনেক শিক্ষার্থী জানেই না পাঠাগারের, ঠিকানা, নিয়মকানুন বলে জানা গেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীরা সাথে কথা বলে। শিক্ষকরাও আগের মতো পাঠাগার চর্চা করেন না বলে জানা গেল কয়েকটি পাঠাগারের রোজিস্টার দেখে।
সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার সকল ডিগ্রি ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ পর্যায়ে পাঠাগার আছে। সেখানে পর্যপ্ত বইও আছে। খবরের কাগজ রাখা হয় এইসব পাঠাগারে। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, দামি-নামি লেখকদের বইও এসব পাঠাগারে আছে। কিন্তু পাঠক নেই এবং ক্রমান্বয়ে পাঠক শুন্য হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন একাধিক লাইব্রেরিয়ান। কিন্তু এসব পাঠাগারে নেই কোন প্রশাসনিক মনিটরিং। এমনকি কলেজের অধ্যক্ষরা পাঠাগারে মনিটরিং করেন না।
উপজেলার একমাত্র অনুদানপ্রাপ্ত সান্তাহার পৌর শহরে নতুন বাজার এলাকায় কবি বন্দে আলী মিঞা স্মৃতি পাঠাগারটিও পাঠক শূন্য। কবি বন্দে আলী মিঞার পত্নির সরকারিবাসাতে এই পাঠাগারটি অবস্থিত। কবি পত্নির পরি বানু (৯৫) অনুদান পান বলে জানালেন কবিপুত্র জাহেদুল হক। কিন্তু পাঠাগার পরিচালনার কোন লাইব্রেরিয়ান নেই। প্রায় ৩ শতাধিক বই এখানে আছে। সরকারিভাবে বই পাওয়া যায় এই পাঠাগারে।
আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ ভবনে একটি পাঠাগার থাকলেও সেখানে লাইব্রেরিয়ন নেই বলে জানা গেছে। পাঠাগারে বই আছে। উপজেলা পর্যায়ে লাইব্রেরি কাম মিলানায়তন হারিয়ে গেছে; সরকারি উদ্যেগে উপজেলা পর্যায়ে লাইব্রেরি কাম মিলানায়তন করার কথা আশির দশকের দিকে। লাইব্রেরি তৈরি হলেও সেখানে দেওয়া হয়নি লাইব্রেরিয়ান। ফলে সে উদ্যোগ সফল হয়নি। বেসরকারি সংস্থা ব্রাক উপজেলায় কিছু লাইব্রেরি পরিচালনা করেন। সম্প্রতি সান্তাহার রেলওয়ে জংসন স্টেশনে জৈনক খাদেমুল ইসলাম নামে একজন একটি ছোট আকারে পাঠাগারের ব্যবস্থা করেছে এবং অনেকের প্রশংসা কৃড়িয়েছে। যদিও সেখানে পাঠক শুণ্য। সান্তাহারে ৯০ দশকে মাসিক আপ্রকাশি দপ্তরে একটি পাঠাগার ছিল। বর্তমানে তা বিলুপ্ত।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুটিনে লাইব্রেরি ঘন্টা যুক্ত করার নির্দেশনা জারি করেছে। প্রতিটি শ্রেণীতে সপ্তাহে একটি ক্লাস থাকবে বই পড়ার জন্য। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তিবান্ধব তরুণ প্রজন্মকে বইমুখী করতে গ্রন্থাগারগুলোকে আধুনিক করতে হবে। বইকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
আদমদীঘি উপজেলায় সকল কলেজ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠাগার আছে। পাঠাগারগুলোতে শত শত বই পাঠাগারের তাকে তাকে সাজানো আছে। সব কটি কলেজে একজন করে লাইব্রেরিয়ান ও সহকারি লাইব্রেরিয়ান থাকলেও সেখানে থাকেনা তেমন পাঠক। অনেক শিক্ষার্থী জানেই না পাঠাগারের, ঠিকানা, নিয়মকানুন বলে জানা গেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীরা সাথে কথা বলে। শিক্ষকরাও আগের মতো পাঠাগার চর্চা করেন না বলে জানা গেল কয়েকটি পাঠাগারের রোজিস্টার দেখে।
সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার সকল ডিগ্রি ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ পর্যায়ে পাঠাগার আছে। সেখানে পর্যপ্ত বইও আছে। খবরের কাগজ রাখা হয় এইসব পাঠাগারে। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, দামি-নামি লেখকদের বইও এসব পাঠাগারে আছে। কিন্তু পাঠক নেই এবং ক্রমান্বয়ে পাঠক শুন্য হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন একাধিক লাইব্রেরিয়ান। কিন্তু এসব পাঠাগারে নেই কোন প্রশাসনিক মনিটরিং। এমনকি কলেজের অধ্যক্ষরা পাঠাগারে মনিটরিং করেন না।
উপজেলার একমাত্র অনুদানপ্রাপ্ত সান্তাহার পৌর শহরে নতুন বাজার এলাকায় কবি বন্দে আলী মিঞা স্মৃতি পাঠাগারটিও পাঠক শূন্য। কবি বন্দে আলী মিঞার পত্নির সরকারিবাসাতে এই পাঠাগারটি অবস্থিত। কবি পত্নির পরি বানু (৯৫) অনুদান পান বলে জানালেন কবিপুত্র জাহেদুল হক। কিন্তু পাঠাগার পরিচালনার কোন লাইব্রেরিয়ান নেই। প্রায় ৩ শতাধিক বই এখানে আছে। সরকারিভাবে বই পাওয়া যায় এই পাঠাগারে।
আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ ভবনে একটি পাঠাগার থাকলেও সেখানে লাইব্রেরিয়ন নেই বলে জানা গেছে। পাঠাগারে বই আছে। উপজেলা পর্যায়ে লাইব্রেরি কাম মিলানায়তন হারিয়ে গেছে; সরকারি উদ্যেগে উপজেলা পর্যায়ে লাইব্রেরি কাম মিলানায়তন করার কথা আশির দশকের দিকে। লাইব্রেরি তৈরি হলেও সেখানে দেওয়া হয়নি লাইব্রেরিয়ান। ফলে সে উদ্যোগ সফল হয়নি। বেসরকারি সংস্থা ব্রাক উপজেলায় কিছু লাইব্রেরি পরিচালনা করেন। সম্প্রতি সান্তাহার রেলওয়ে জংসন স্টেশনে জৈনক খাদেমুল ইসলাম নামে একজন একটি ছোট আকারে পাঠাগারের ব্যবস্থা করেছে এবং অনেকের প্রশংসা কৃড়িয়েছে। যদিও সেখানে পাঠক শুণ্য। সান্তাহারে ৯০ দশকে মাসিক আপ্রকাশি দপ্তরে একটি পাঠাগার ছিল। বর্তমানে তা বিলুপ্ত।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুটিনে লাইব্রেরি ঘন্টা যুক্ত করার নির্দেশনা জারি করেছে। প্রতিটি শ্রেণীতে সপ্তাহে একটি ক্লাস থাকবে বই পড়ার জন্য। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তিবান্ধব তরুণ প্রজন্মকে বইমুখী করতে গ্রন্থাগারগুলোকে আধুনিক করতে হবে। বইকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে।