মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে এবং ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের আড়াই লাখ টাকা আদায়ের হুমকি দেয়ার পারিবারিক কলোহের জেরে স্ত্রী রূপালী বেগমকে (৩৬) ঘরের বঁটি-দা দিয়ে কুপিয়ে মেরেছেন স্বামী জামাল গাজী (৩৮)। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য রূপালীর মৃতদেহ টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর ফেলে দেয় জামাল। গতকাল সোমবার দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মতলবের রূপালী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও ঘাতককে গ্রেপ্তার করার এসব কথা বলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।
জানা যায়, ফাতেমা বেগম রূপালী হচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপাদী দক্ষিণের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়াধারী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির কালু পাটোয়ারী ও মরিয়ম বেগমের কন্যা। অন্যদিকে মো. জামাল গাজী হচ্ছেন পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি, গেড়ামর্ধন গ্রামের মো. মোস্তফা গাজীর ছেলে। গত ১১ জুলাই রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় জামাল গাজী ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে রূপালীর মাথায়, মুখম-লে, ঘাড়ে ও গলায় এলোপাতাড়ি একাধিক কোপ মেরে তাকে মেরে ফেলে। পরে ঐ দিনই রূপালীর ১ম সংসারের ছেলে টিপু পাটওয়ারী (২১) বাদী হয়ে জামাল গাজীর বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় এজাহার দায়ের করে। মামলা নং-০৭, তারিখ- (১১/০৭/২০২৫)। পরে পুলিশ ঐ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা রূপালীর বসত বাড়ির গোয়াল ঘর হতে উদ্ধার করে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, টিকটকে পরিচয়ের পর রূপালী ও জামাল ভালোবেসে বিয়ে করে। রূপালীর এটি ২য় এবং জামালের এটি ৩য় বিয়ে। কিন্তু বিয়ের মাসখানের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হলে জামাল ঘর হতে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়। পরে তাকে রূপালী লোকজনের সহায়তায় ধরে আনলে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত দিলেও নগদ টাকা ফেরত দেয়নি। আর এরপরই রূপালী হুমকি-ধমকি দিলে রাতে ঘুমের মধ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় জামাল। পরে সে পালিয়ে গেলে থানায় হত্যা মামলার পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে অবশেষে সক্ষম হয়েছি। আসামি খুনের কথা স্বীকার করেছে।
আটক খুনিকে মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন সাঈদী, শারমিন রহমান, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহমেদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে এবং ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের আড়াই লাখ টাকা আদায়ের হুমকি দেয়ার পারিবারিক কলোহের জেরে স্ত্রী রূপালী বেগমকে (৩৬) ঘরের বঁটি-দা দিয়ে কুপিয়ে মেরেছেন স্বামী জামাল গাজী (৩৮)। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য রূপালীর মৃতদেহ টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর ফেলে দেয় জামাল। গতকাল সোমবার দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মতলবের রূপালী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও ঘাতককে গ্রেপ্তার করার এসব কথা বলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম।
জানা যায়, ফাতেমা বেগম রূপালী হচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের উপাদী দক্ষিণের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়াধারী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির কালু পাটোয়ারী ও মরিয়ম বেগমের কন্যা। অন্যদিকে মো. জামাল গাজী হচ্ছেন পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি, গেড়ামর্ধন গ্রামের মো. মোস্তফা গাজীর ছেলে। গত ১১ জুলাই রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় জামাল গাজী ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে রূপালীর মাথায়, মুখম-লে, ঘাড়ে ও গলায় এলোপাতাড়ি একাধিক কোপ মেরে তাকে মেরে ফেলে। পরে ঐ দিনই রূপালীর ১ম সংসারের ছেলে টিপু পাটওয়ারী (২১) বাদী হয়ে জামাল গাজীর বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় এজাহার দায়ের করে। মামলা নং-০৭, তারিখ- (১১/০৭/২০২৫)। পরে পুলিশ ঐ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা রূপালীর বসত বাড়ির গোয়াল ঘর হতে উদ্ধার করে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, টিকটকে পরিচয়ের পর রূপালী ও জামাল ভালোবেসে বিয়ে করে। রূপালীর এটি ২য় এবং জামালের এটি ৩য় বিয়ে। কিন্তু বিয়ের মাসখানের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হলে জামাল ঘর হতে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়। পরে তাকে রূপালী লোকজনের সহায়তায় ধরে আনলে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত দিলেও নগদ টাকা ফেরত দেয়নি। আর এরপরই রূপালী হুমকি-ধমকি দিলে রাতে ঘুমের মধ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় জামাল। পরে সে পালিয়ে গেলে থানায় হত্যা মামলার পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে অবশেষে সক্ষম হয়েছি। আসামি খুনের কথা স্বীকার করেছে।
আটক খুনিকে মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন সাঈদী, শারমিন রহমান, মতলব দক্ষিণ থানার ওসি সালেহ আহমেদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।