জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
তিনি বলেছেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই কার্যক্রমের মধ্যে ফ্ল্যাট দেয়া কিংবা চাকরিতে কোটা দেয়া এসব বিষয় নেই।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭৭২ শহীদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্র আকারে ১০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এই সহায়তা শহীদের স্ত্রী পাবে নাকি বাবা-মা পাবে, এমন বিরোধ দেখা দিলে উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী বণ্টন করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা ফারুক।
জুলাই যোদ্ধাদের কীভাবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে। পুনর্বাসন নানাভাবে হতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান, সেভাবে করা হবে। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যদি হাঁস-মুরগি কিংবা পশু পালন, মৎস্য পালন যেভাবে তিনি জীবিকা সংস্থান করতে চাইবেন, সে ধরনের সুবিধাদি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’
উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণসহ যাবতীয় বিষয়াদির প্রশাসনিক দায়িত্ব গত ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন করার উদ্দেশে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য গত ২৮ এপ্রিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন করা হয়।
সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা ফারুক।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী গত ১৫ জানুয়ারি ৮৩৪ জন এবং ৩০ জুন আরও ১০ জনসহ সর্বমোট ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
আহত হওয়ার ধরন অনুসারে জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণীভুক্ত করে ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে ‘ক’ শ্রেণীতে, ৯০৮ জনকে ‘খ’ শ্রেণীতে এবং এক হাজার ৬৪২ জনকে ‘গ’ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
তিনি বলেছেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই কার্যক্রমের মধ্যে ফ্ল্যাট দেয়া কিংবা চাকরিতে কোটা দেয়া এসব বিষয় নেই।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭৭২ শহীদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্র আকারে ১০ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এই সহায়তা শহীদের স্ত্রী পাবে নাকি বাবা-মা পাবে, এমন বিরোধ দেখা দিলে উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী বণ্টন করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা ফারুক।
জুলাই যোদ্ধাদের কীভাবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে। পুনর্বাসন নানাভাবে হতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান, সেভাবে করা হবে। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যদি হাঁস-মুরগি কিংবা পশু পালন, মৎস্য পালন যেভাবে তিনি জীবিকা সংস্থান করতে চাইবেন, সে ধরনের সুবিধাদি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’
উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণসহ যাবতীয় বিষয়াদির প্রশাসনিক দায়িত্ব গত ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন করার উদ্দেশে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য গত ২৮ এপ্রিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠন করা হয়।
সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা ফারুক।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী গত ১৫ জানুয়ারি ৮৩৪ জন এবং ৩০ জুন আরও ১০ জনসহ সর্বমোট ৮৪৪ জন শহীদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
আহত হওয়ার ধরন অনুসারে জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি শ্রেণীভুক্ত করে ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে ‘ক’ শ্রেণীতে, ৯০৮ জনকে ‘খ’ শ্রেণীতে এবং এক হাজার ৬৪২ জনকে ‘গ’ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।