রাজশাহী : ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় -সংবাদ
বাউন্ডারি ওয়াল ও ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় হুমকির মুখে বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে।
জানা গেছে, চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৩৬ সালে। বড়াল নদীতীরবর্তী এই বিদ্যালয়টির জমি প্রায় ৫৬ শতক।
ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর সফলতার সঙ্গে পাঠদান কর্মসূচির চালিয়ে আসছে। আশে পাশের গ্রাম থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসে। কিন্তু বেশ কয়েক বছরে বিদ্যালয়টির প্রায় ১৫ শতক জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, বড়াল নদীতীরবর্তী এই বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি না থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চেয়ার পেতে নদীর তীরে বসে থাকতে হয়। নিতে হয় বিশেষ যতœ। প্রায়ই ক্লাসে ক্লাশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হয়।
ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে ও শেষে সাধারণত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করেÑ যার কারণে মাঝে মধ্যেই খেলা সামগ্রী নদীতে পড়ে যায়। এ কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের প্রায় কয়েক মিটার সম্মুখে রয়েছে বড়াল নদী। নেয় বিদ্যালয়টির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল। শিক্ষার্থীরা ঝুঁিক নিয়ে পাঠদান নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবকরা। এ কারণে অনেক অভিভাবকগন এই বিদ্যালয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের পাঠানো বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জানান একাধিক অভিভাবকগণ। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড না থাকায় বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার সম্ভব হয়নি বলে জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ শতক জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ছোট হয়ে এসেছে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। ভাঙন প্রতিরোধে বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীতীরে ব্লক দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ দেয়ার জন্য ২০২৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নাটোর বরাবর আবেদন দিয়েছিলাম। সে সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানান তিনি। তাছাড়াও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নদীর তীরে বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ও ভাঙন সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ৫ লাখ টাকার গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। বাজেটটি অনুমোদিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার সাংবাদিকদের জানান, সাধারনত পানি উন্নয়ন বোর্ড জনস্বার্থে প্রয়োজন এমন প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। আমরা বিষয়টি অবগত হলাম এবং পরবর্তীতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
রাজশাহী : ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় -সংবাদ
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
বাউন্ডারি ওয়াল ও ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় হুমকির মুখে বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে।
জানা গেছে, চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৩৬ সালে। বড়াল নদীতীরবর্তী এই বিদ্যালয়টির জমি প্রায় ৫৬ শতক।
ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর সফলতার সঙ্গে পাঠদান কর্মসূচির চালিয়ে আসছে। আশে পাশের গ্রাম থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসে। কিন্তু বেশ কয়েক বছরে বিদ্যালয়টির প্রায় ১৫ শতক জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, বড়াল নদীতীরবর্তী এই বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি না থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চেয়ার পেতে নদীর তীরে বসে থাকতে হয়। নিতে হয় বিশেষ যতœ। প্রায়ই ক্লাসে ক্লাশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হয়।
ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে ও শেষে সাধারণত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করেÑ যার কারণে মাঝে মধ্যেই খেলা সামগ্রী নদীতে পড়ে যায়। এ কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের প্রায় কয়েক মিটার সম্মুখে রয়েছে বড়াল নদী। নেয় বিদ্যালয়টির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল। শিক্ষার্থীরা ঝুঁিক নিয়ে পাঠদান নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবকরা। এ কারণে অনেক অভিভাবকগন এই বিদ্যালয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের পাঠানো বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জানান একাধিক অভিভাবকগণ। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড না থাকায় বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার সম্ভব হয়নি বলে জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ শতক জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। ছোট হয়ে এসেছে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। ভাঙন প্রতিরোধে বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীতীরে ব্লক দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ দেয়ার জন্য ২০২৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নাটোর বরাবর আবেদন দিয়েছিলাম। সে সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানান তিনি। তাছাড়াও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নদীর তীরে বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ও ভাঙন সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ৫ লাখ টাকার গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। বাজেটটি অনুমোদিত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার সাংবাদিকদের জানান, সাধারনত পানি উন্নয়ন বোর্ড জনস্বার্থে প্রয়োজন এমন প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। আমরা বিষয়টি অবগত হলাম এবং পরবর্তীতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।