alt

সারাদেশ

সাক্ষীদের ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী ভাইকে হত্যা, ৩০ পরিবার বাড়িছাড়া

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ : বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জ : ৩০ বসতবাড়িতে লুটপাট প্রভাবশালীদের -সংবাদ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জমিতে হালচাষকে কেন্দ্র করে দুজনকে হত্যা করে প্রভাবশালীরা। এরপর দুটি হত্যা মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করা হয় বাদি পক্ষকে। এতে রাজি না হওয়ায় দুই হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষিদের ফাঁসাতে আসামিরা নিজেদের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে হত্যার পর আগের দুই হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষিদের বসতবাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। ৩০টি বসতবাড়ির আসবাবপত্র ও বেড়া খুলে নেয়া হয়। কোনো কোনো বাড়ির ভিটে মাটিটুকুও কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এ অবস্থায় ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক লোক বসতবাড়ি হারা হয়ে দুই বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে প্রতিবন্ধী হারিছ হত্যার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। খুব শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ জানিয়েছেন।

সরেজমিনে এলাকাঘুরে বিভিন্ন শ্রেডুপেশার লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামে জমি চাষকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুরে কৃষক মকদুম মিয়াকে প্রকাশ্য দিবালোকে বল্লম দিয়ে গুরুতর জখম করেন একই গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের ছেলে প্রভাবশালী আসাদ ও তার লোকজন। ঘটনার এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মকদুম মিয়া। এ ঘটনার পরে বছর না ঘুরতেই প্রভাবশালীরা আবারো আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এবারও প্রকাশ্য দিবালোকেই হত্যা করা হয় কৃষক বুলবুল মিয়াকে। এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসাদসহ তাদের লোকদেরকে আসামী করা হয়। একপর্যায়েভুক্তভোগী পরিবারকে চাপে রেখে দেয়া হয় মীমাংসার প্রস্তাব।

মীমাংসার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় আসামিরা। পরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আসাদ ও তার লোকজন আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন দুটি হত্যা মামলার আসামি আসাদের সহোদর বড় ভাই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হারিছ মিয়া। ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। হারিছ হত্যাকাণ্ডের পর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় প্রতিপক্ষের ৩০টি বসত বাড়ি। বেশিরভাগ বাড়ির চাল ও বেড়ারটিন পর্যন্ত খুলে নেয়া হয়েছে। ভিটেমাটি কেটে কোনো কোনো বাড়ির চিহ্ন পর্যন্ত রাখেনি। এসব জায়গা দখল করে কোথাও পুকুর আবার কোথাও করা হয়েছে সবজির বাগান, কেটে নেয়া হয়েছে ফসলি জমি ও গাছপালা। সেই থেকে বসতবাড়ি হারা হয়ে ত্রিশটি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বন্ধ হয়ে গেছে ওই ৩০টি পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া। এদিকে আসাদ ও তার লোকজন হারিছকে হত্যা করেছে- এমন কথা আশপাশ এলাকার মানুষের মুখে ভেসে বেড়াচ্ছে।

হারিছ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী শামীম মিয়া জানান, হারিছকে তার ছোট ভাই আসাদ ও তার লোকজন হত্যার সময় তিনি দেখে ফেলেন। পরে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয় তাকে। হুমকির বিষয়টি তিনি গ্রামের কয়েকজনকে জানালে তারা মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম নবাব জানান, ২০২০ সনে আসাদ ও তার লোকজন মকদুমকে তার সামনেই প্রকাশ্যে হত্যা করে। এ ঘটনার সাক্ষী হওয়ায় আসাদরা তিনিসহ তার বাবাকে একটি খুনের মামলাসহ তিনটি মামলার আসামি করে। আসাদরা তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে যায়। সেই থেকে তিনিসহ ত্রিশটি পরিবার বাড়িছাড়া। একই গ্রামের মোস্তফা বলেন, নিহত হারিছ কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। তাছাড়া হারিছের ছোট ভাই আসাদ মিয়ার সঙ্গে হারিছের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি আরও জানান, নিহত হারিছের কোন শত্রু ছিল না। মূলত দুটি হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আসাদ ও তার লোকজনই হারিছকে হত্যা করেছে বলে তিনি জানান। স্থানীয়রা আরও জানান, আসাদ প্রভাবশালী হওয়ায় হারিছ হত্যার পর এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে। চাঁদা না দিলে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে এসব চাঁদাবাজি করা হয়েছে বলে লোকজন জানান।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি আসাদসহ অভিযুক্তরা। তবে তাদের পক্ষে মোজাম্মেলক হক নামে একজন বলেন, এখন কোনো কিছু বললে আগে পুলিশ ও সিআইডির কাছে যা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা হলে সমস্যা হতে পারে। সে কারণে কিছু বলা যাবেনা বলে তিনি জানান।

এদিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হারিছ হত্যার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, সর্বোচ্চ তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ফিজিক্যাল এবং ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

মুগদায় দুই বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে একজন নিহত

গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে আরও এক যুবক নিহত

যশোরে ভাইয়ের হাতে ছোটবোন খুন

ছবি

গোপালগঞ্জে এনসিপি কর্মসূচিতে সহিংসতায় মোট ১০ মামলা

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছে চা সংসদ

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মোবারক হোসেনের করা আপিলের শুনানি শেষ

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৪৪ জন আক্রান্ত, ঢাকা দক্ষিণে ৩ জনের মৃত্যু

বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগে বরিশালে ৬ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

বিমান দুর্ঘটনায় স্থগিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ

১২ বছরের শিশু রিংকন হত্যা: ২ জন গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি

তালায় মাদকাসক্ত ছেলে হত্যায় মা গ্রেপ্তার

ছবি

পরলোকে দৈনিক সংবাদ গলাচিপা প্রতিনিধি

চীনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রংপুর মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতাদের বৈঠক

ছবি

লালপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

সিংড়ায় রাস্তা পাকা করার দাবি

লালপুরে ভাতাভোগীর তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রীরা

ছবি

টাঙ্গাইলের চিরনিদ্রায় শায়িত মাইলস্টোনের দুই শিক্ষার্থী

রামুতে খালে ডুবে শিশু নিখোঁজ

যশোরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিরোধ, পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি

সরকারি সহযোগিতায় ঐতিহ্যে ফিরতে পারে হোগলার কারিগররা

কুলিয়ারচরে রেললাইন গৃহবধূর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

ছবি

বড়াইগ্রামে ট্রাক-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬

দশমিনায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে

৭ মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা সামাদ আটক

ছবি

আগৈলঝাড়ায় বর্ষা মৌসুমে জমজমাট নৌকা হাট

সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ঠাকুরগাঁওয়ে যুবক আটক

ছবি

স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

দোয়ারাবাজারে দুপক্ষে সংঘর্ষ, নিহত এক

হবিগঞ্জ ডোবা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর-সর্দি কাশি, হাসপাতালে ভিড়

মুন্সীগঞ্জে নদী ভাঙন রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

উখিয়ার নুর হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

মাহিম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহীতে বিশেষ অভিযানে আটক ২০

ছবি

শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

tab

সারাদেশ

সাক্ষীদের ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী ভাইকে হত্যা, ৩০ পরিবার বাড়িছাড়া

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ : ৩০ বসতবাড়িতে লুটপাট প্রভাবশালীদের -সংবাদ

বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জমিতে হালচাষকে কেন্দ্র করে দুজনকে হত্যা করে প্রভাবশালীরা। এরপর দুটি হত্যা মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করা হয় বাদি পক্ষকে। এতে রাজি না হওয়ায় দুই হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষিদের ফাঁসাতে আসামিরা নিজেদের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে হত্যার পর আগের দুই হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষিদের বসতবাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। ৩০টি বসতবাড়ির আসবাবপত্র ও বেড়া খুলে নেয়া হয়। কোনো কোনো বাড়ির ভিটে মাটিটুকুও কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এ অবস্থায় ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক লোক বসতবাড়ি হারা হয়ে দুই বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে প্রতিবন্ধী হারিছ হত্যার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। খুব শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ জানিয়েছেন।

সরেজমিনে এলাকাঘুরে বিভিন্ন শ্রেডুপেশার লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামে জমি চাষকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুরে কৃষক মকদুম মিয়াকে প্রকাশ্য দিবালোকে বল্লম দিয়ে গুরুতর জখম করেন একই গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের ছেলে প্রভাবশালী আসাদ ও তার লোকজন। ঘটনার এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মকদুম মিয়া। এ ঘটনার পরে বছর না ঘুরতেই প্রভাবশালীরা আবারো আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এবারও প্রকাশ্য দিবালোকেই হত্যা করা হয় কৃষক বুলবুল মিয়াকে। এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসাদসহ তাদের লোকদেরকে আসামী করা হয়। একপর্যায়েভুক্তভোগী পরিবারকে চাপে রেখে দেয়া হয় মীমাংসার প্রস্তাব।

মীমাংসার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় আসামিরা। পরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আসাদ ও তার লোকজন আরেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন দুটি হত্যা মামলার আসামি আসাদের সহোদর বড় ভাই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হারিছ মিয়া। ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। হারিছ হত্যাকাণ্ডের পর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় প্রতিপক্ষের ৩০টি বসত বাড়ি। বেশিরভাগ বাড়ির চাল ও বেড়ারটিন পর্যন্ত খুলে নেয়া হয়েছে। ভিটেমাটি কেটে কোনো কোনো বাড়ির চিহ্ন পর্যন্ত রাখেনি। এসব জায়গা দখল করে কোথাও পুকুর আবার কোথাও করা হয়েছে সবজির বাগান, কেটে নেয়া হয়েছে ফসলি জমি ও গাছপালা। সেই থেকে বসতবাড়ি হারা হয়ে ত্রিশটি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বন্ধ হয়ে গেছে ওই ৩০টি পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া। এদিকে আসাদ ও তার লোকজন হারিছকে হত্যা করেছে- এমন কথা আশপাশ এলাকার মানুষের মুখে ভেসে বেড়াচ্ছে।

হারিছ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী শামীম মিয়া জানান, হারিছকে তার ছোট ভাই আসাদ ও তার লোকজন হত্যার সময় তিনি দেখে ফেলেন। পরে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয় তাকে। হুমকির বিষয়টি তিনি গ্রামের কয়েকজনকে জানালে তারা মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম নবাব জানান, ২০২০ সনে আসাদ ও তার লোকজন মকদুমকে তার সামনেই প্রকাশ্যে হত্যা করে। এ ঘটনার সাক্ষী হওয়ায় আসাদরা তিনিসহ তার বাবাকে একটি খুনের মামলাসহ তিনটি মামলার আসামি করে। আসাদরা তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে যায়। সেই থেকে তিনিসহ ত্রিশটি পরিবার বাড়িছাড়া। একই গ্রামের মোস্তফা বলেন, নিহত হারিছ কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। তাছাড়া হারিছের ছোট ভাই আসাদ মিয়ার সঙ্গে হারিছের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি আরও জানান, নিহত হারিছের কোন শত্রু ছিল না। মূলত দুটি হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আসাদ ও তার লোকজনই হারিছকে হত্যা করেছে বলে তিনি জানান। স্থানীয়রা আরও জানান, আসাদ প্রভাবশালী হওয়ায় হারিছ হত্যার পর এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে। চাঁদা না দিলে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে এসব চাঁদাবাজি করা হয়েছে বলে লোকজন জানান।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি আসাদসহ অভিযুক্তরা। তবে তাদের পক্ষে মোজাম্মেলক হক নামে একজন বলেন, এখন কোনো কিছু বললে আগে পুলিশ ও সিআইডির কাছে যা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা হলে সমস্যা হতে পারে। সে কারণে কিছু বলা যাবেনা বলে তিনি জানান।

এদিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হারিছ হত্যার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, সর্বোচ্চ তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ফিজিক্যাল এবং ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব শিগগির এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

back to top